Connect with us

পরামর্শ

৫০ পেরিয়েও মা হওয়া যায়! বেশি বয়সে সন্তানধারণের উপায়গুলি কী?

Published

on

পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ কউর। ২০২২ সালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রয়াত হন সিধু। ছেলের মৃত্যুর দুই বছরের মাথায় দ্বিতীয় বার মা হলেন তিনি। রোববার সকালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন চরণ। গত মাসের শেষ দিকে প্রকাশ্যে আসে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর। ৫৫ বছর বয়সে মা হওয়ার খবরে শুরু হয় জোর চর্চা।

৫০ পেরিয়ে মা হওয়া সহজ নয়। একটা বয়সের পর আর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে কোনও আশার আলো নেই, এমনও নয়। ৫৫ বছর বয়সে মা হয়েছেন প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ কউর। এর আগেও এমন অসাধ্য সাধনের উদাহরণ রয়েছে।

স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের নির্দিষ্ট একটা বয়স থাকে। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে সন্তানধারণ করার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। মেয়েদের ঋতুস্রাবের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৪০-৪৫ পর্যন্ত ঋতুস্রাব চলার কথা। ৫০ তো দূরের কথা, ৩৫ বছরের পর সন্তানধারণ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু নাওমি বা সিধুর মা চরণ কীভাবে পারলেন?

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আসলে এই বয়সে প্রজননে সহায়ক হরমোনগুলির মাত্রা কমে যায়। তাই স্বাভাবিক নিয়মে সন্তানধারণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আইভিএফ পদ্ধতিতে ডিম্বাণু প্রতিস্থাপন করতে হয়। তার পর বাইরে থেকে হরমোনের সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের সহযোগিতা ছাড়া ৯ মাস পর্যন্ত সন্তানধারণ করা সম্ভব নয়। আসলে অনেকেরই ধারণা, ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুও নিঃশেষিত হয়ে যায়। সত্যিই কি তাই?

প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সঙ্গে একটি করে ডিম্বাণু বেরিয়ে যায়। এই ভাবে প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত ৩৬০ থেকে ৩৭০টি ডিম্বাণু বেরিয়ে যায়। কিন্তু ডিম্বাশয়ে হাজার হাজার ডিম্বাণু থাকে। তার মধ্যে থেকে যদি ৩৭০টি বেরিয়েও যায়, তা হলেও অসুবিধা নেই। ফলে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরেও ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু থাকে। কিন্তু নিস্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে, একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কেউ চাইলে নিজের ডিম্বাণু হিমায়িত অবস্থায় রাখতে পারেন। ডিম্বাণু ফ্রিজ় করে রাখা হয়। ৫০-এর পর স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সন্তানধারণ একেবারেই সম্ভব নয়। হয় অন্য কারও থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করতে হবে, না হয় বিশেষ পদ্ধতিতে তা নিজের শরীর থেকে ডিম্বাণু নিয়ে নিষিক্ত করার পরই প্রতিস্থাপন করা হয় জরায়ুতে। তবে এই চিকিৎসাপদ্ধতি যথেষ্ট ব্যয়বহুল।

৫০-এর পর মা হওয়ার কিছু ঝুঁকিও থাকে। অনেকে ক্ষেত্রেই অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের মতো ঘটনা ঘটে। ডায়াবিটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রি-ক্ল্যাম্পসিয়া অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যা অনেক সময় জীবনহানির কারণ হয়েও উঠতে পারে।

Advertisement

পরামর্শ

লেবুতে রস আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

Published

on

সারাদেশেই বইছে তীব্র দাবদাহ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ঘরে বা ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। বার বার পানি পান করেও তৃপ্ত হচ্ছে না দেহ। শরীর চাঙ্গা রাখতে লেবুর শরবতে জোঁকছে অনেকে। বাইরে থেকে ঘেমেনেয়ে ফেরার পর কেউ যদি এক গ্লাস লেবুর শরবত এগিয়ে দেন, উল্টো দিকের মানুষটির মুখে হাসি ফুটতে বাধ্য। এই গরমে চাঙ্গা এবং চনমনে থাকতে লেবু জলের জুড়ি মেলা ভার।

তবে তার জন্য বাড়িতে পাতিলেবু থাকা চাই। শুধু পাতিলেবু থাকলে চলবে না, তাতে রসও থাকতে হবে। পাতিলেবু চিপে রস বেরোবে কিনা, তা আগে থেকে বলা যায় না। বাইরে থেকে দেখে তরতাজা মনে হলেও, বাড়ি নিয়ে আসার পর ভুল ভাঙে। তবে রসে টইটুম্বর লেবু চেনার কিছু টোটকা রয়েছে। জেনে রাখলে ঠকতে হবে না।

১. লেবুর খোসার অংশটিতে হাত বুলিয়ে পরখ করে নিন মসৃণ কিনা। যদি মসৃণ না হয়, তা হলে সেটা না নেওয়াই শ্রেয়। কারণ অমসৃণ খোসাযুক্ত লেবুতে রসের পরিমাণ কম থাকে। চকচকে, মসৃণ ত্বক দেখেই লেবু কিনে আনুন।

২. রসালো লেবু চেনার ক্ষেত্রে রং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে লেবুগুলিক পাক ধরেছে, হলুদ রং এসেছে সেগুলি নিশ্চিন্তে নিতে পারেন। সবুজ লেবু কচি হলেও, তাতে রস বেশি নয়। গন্ধই আছে শুধুমাত্র।

৩. রসের ভারে লেবুর ওজনও বেশি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই হাতে নিয়ে দেখুন ভারী লাগছে কিনা। যদি ওজনদার মনে হয়, তা হলে নিতে পারেন। ছোট, হালকা ওজনের লেবুতে রসের পরিমাণ কম।

Advertisement

৪. হাড়িতে চাল টিপে যেমন বোঝা যায় ভাত হয়েছে কিনা, তেমনই লেবুর গায়ে চাপ দিয়ে বোঝা যায় সেটা শুকনো না রসালো। রস থাকলে লেবু নরম হয়। কিন্তু শুকনো লেবু বেশ শক্ত হয়। হাতে নিয়ে পরখ করে দেখলেই দু’টো অবস্থার ফারাক বোঝা যাবে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

Published

on

কর্মব্যস্ত জীবনে আমরা সময় বাঁচানোর জন্য কয়েকদিনের খাবার একসঙ্গে রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেই এবং পরে সেটা অল্প অল্প করে গরম করে খাই। এটি আসলেই একটি ভালো অভ্যাস। কথায় বলে, অলস ব্যক্তির ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নাকি ওভেন। টেবিলে খাবার রেখে মুঠোফোন স্ক্রলিংয়ে ব্যস্ত। দুই ঘণ্টা পর চায়ের কাপে চোখ পড়লো। মনে পড়লো, চায়ে তো আর চুমুক দেয়া হয়নি। সহজ সমাধান হিসেবে ঠান্ডা চা ঢুকিয়ে দিলেন ওভেনে। এ রকম ঘটনা সচরাচর ঘটছেই। চুলায় গরম করাও ক্ষতিকর। ওভেনে সেই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। পুষ্টিমান কমতেই থাকে। জেনে নিন, কোন খাবারগুলো পুনরায় গরম করলে বিষাক্ত হতে থাকে।

এক. চা

বিশ্বের জনপ্রিয় পানীয়গুলোর একটি চা। অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় চা বানিয়ে উষ্ণ থাকতেই তা পান করা হয়ে ওঠে না। ঠান্ডা হয়ে গেলে সে চা অনেকেই গরম করে খেয়ে থাকেন। এটা করা যাবে না। চা দ্বিতীয়বার গরম করলে তাতে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা পান করলে বদহজম বা পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দুই. আলু

আলু আমাদের সবচেয়ে ‘আপন’ সবজি। সবকিছুর সঙ্গেই তার ভাব। রান্নার পর আলু পুনরায় গরম করার ফলে এর পুষ্টিমান কমতে থাকে। এমনকি রান্না করা আলু লম্বা সময় ধরে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখলেও এর পুষ্টিমান কমতে থাকে। এমনকি বিষাক্তও হয়ে পড়ে। তাই যে খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাবেন, সেখানে আলু দেবেন না।

Advertisement

তিন. ডিম

ডিম এতটাই সহজলভ্য যে একে বলা হয় ‘গরিবের প্রোটিন’। ব্যাচেলররা তো ‘দিন আনি দিন খাই’ কথাটাকে পাল্টে ‘ডিম আনি ডিম খাই’তে পরিণত করেছেন। প্রোটিনের ‘পাওয়ার হাউস’ ডিম অত্যধিক তাপমাত্রায় পুনরায় গরম করলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। কেননা, পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে তা ‘টক্সিক’ হয়ে পড়ে।

চার. পালংশাক

পালংশাকে থাকে প্রচুর আয়রন। পালংশাক দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে আয়রন অক্সিডাইজড হয়ে যেতে পারে, যা থেকে দেহে নানা সমস্যা হতে পারে।

পাঁচ. রান্নার তেল

Advertisement

রান্নায় ব্যবহৃত তেল কোনোভাবেই পুনরায় ব্যবহার করবেন না। এর মধ্যে টক্সিন তৈরি হতে পারে।

সাত. মাশরুম

মাশরুম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই প্রোটিনে ভরপুর। দ্বিতীয়বার গরম করলে মাশরুমের প্রোটিনের কম্পোজিশন ভেঙে যেতে পারে।

আট. ভাত

ভাত দ্বিতীয়বার গরম করলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে ডায়রিয়া হতে পারে।

Advertisement

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ফ্রিজে সবজি টাটকা রাখবেন যেভাবে

Published

on

ফ্রিজে রাখলেও টাটকা থাকছে না সবজি। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সবজি খাওয়ার উপায় থাকছে না। তা ছাড়া সঠিক পদ্ধতিতে শাক সবজি সংরক্ষণ না করলে রান্না করা পর্যন্ত তার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে না। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিজে সবজি টাটকা রাখার পদ্ধতি।

১. সবজি বাড়িতে এনে অনেকেই ঝুড়িতে বা অন্য কোনও পাত্রে রেখে দেন। তাতে সবজি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সবজির পুষ্টিগুণও চলে যেতে পারে। শাক সবজি, ফলমূল তাজা ও সতেজ রাখতে সেগুলি ফ্রিজে তুলে রাখুন। কিংবা সুতির নরম কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে তাতে সবজি গুলি মুড়ে রাখতে পারেন। তবে এই টোটকা সব সবজির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। টমেটো বা কাঁচামরিচ এ ভাবে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একান্তই প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখলে ব্যাগে দু-একটা ছিদ্র করে রাখতে পারেন।

২. বাজার থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দেওয়া সবজি অনেকেই বাড়িতে এনে সে ভাবেই রেখে দেন। এতে সবজির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি পচেও যেতে পারে। তাই বাজার থেকে সবজি কিনে আনার পর তা প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে বার করে খোলা হাওয়ায় রাখুন। তাতে সবজি বেশ অনেক দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।

৩. শাকসবজির পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রান্নার পদ্ধতিও সঠিক হওয়া প্রয়োজন। শাক সবজির পুষ্টিগুণ নির্ভর করে তা কতটা আঁচে বা কত ক্ষণ ধরে রান্না হচ্ছে। বেশি ক্ষণ ধরে অতিরিক্ত আঁচে রান্না করা ঠিক নয়। এতে সব পুষ্টিগুণই চলে যায়। এ ছাড়াও রান্নায় কত জল দেবেন তার উপরও নির্ভর করছে রান্নার পরেও সবজি কতটা পুষ্টিকর থাকবে। তাই শাকসবজি দিয়ে তরকারি রান্না করার সময়ে কম আঁচে রান্না করুন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version