Connect with us

রাজনীতি

তারেক রহমানের ভুয়া ভিডিও বানিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে: রিজভী

Published

on

রিজভী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভুয়া ভিডিও বানিয়ে দেশ- বিদেশে থাকা বিএনপির শুভানুধ্যায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। বললেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমানের জুম মিটিংয়ে দেওয়া বক্তব্যকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে বিকৃত ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করে দেশে—বিদেশে থাকা বিএনপির শুভানুধ্যায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এটি এমন একটি লজ্জাজনক এবং ঘৃণ্য চক্রান্তের বিষয়, যা কেবল বাংলাদেশ নয় সমগ্র বিশ্বের রাজনীতিতে বিরোধী মতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা প্রচারের একটি জঘন্য উদাহরণ হিসেবে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু লন্ডনে বসে প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের আনাচে—কানাচে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। এই যোগাযোগের জন্য প্রধানত ব্যবহার করা হয় জুম নামে একটি অ্যাপ। সম্প্রতি সরকারপন্থী কয়েকটি অনলাইন প্লাটফর্ম এবং মিডিয়া আউটলেট থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জুম মিটিংয়ে দেওয়া বক্তব্যকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে বিকৃত ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করে দেশে—বিদেশে থাকা বিএনপির শুভানুধ্যায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আবার সেই চাঁদাবাজির ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, ‘শুধু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই নন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়েও একই ধরনের ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় ফেসবুক এবং ইউটিউবে থাকা এমন ডিপ ফেইক ভিডিওগুলোকে শনাক্ত করে সেগুলো অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এহেন রীতিবিরুদ্ধ অশালীন ও অপকর্মের হোতারা হয়ত এসব ভিডিও দিয়ে মেসেজ আদান—প্রদানকারী অ্যাপ মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো বা ভাইবার ব্যবহার করে আবারো এমন তৎপরতা চালাতে পারে। মিথ্যা অপপ্রচার আর অনাচারের সৃষ্টি ডামি সরকারের সারাক্ষণের সঙ্গী।’

Advertisement

বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ দেশ—বিদেশের সব মানুষকে অবহিত করে রিজভী বলেন, ‘আপনারা এসব ডিপ ফেইক ভিডিও থেকে সতর্ক থাকবেন। বিএনপির কোনো নেতা কখনোই এভাবে ভিডিও কল করে কারও কাছে টাকা চাইবেন না- এই বিশ্বাসটা আপনাদের নিজেদের মধ্যে রাখবেন। কেউ এভাবে ভিডিওকলে আপনাদের কাছে টাকা চাইলে সাথে সাথে সেটা দলীয় নেতাদের অবহিত করুন, যাতে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার অ্যাঙ্কর ও লোগো ব্যবহার করে বেশ কিছু ডিপ ফেইক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হয়েছিল। একই সাথে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়ের অফিশিয়াল বক্তব্য প্রদানের ভিডিওকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে বিকৃত ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদক বেঞ্জামিন পার্কিন ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেখানে দেখানো হয়েছিল কীভাবে আওয়ামী লীগ সরকারপন্থী একটি দুষ্কৃতিকারী চক্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এমন ভিডিও তৈরি করছে।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘বিএনপির তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, আওয়ামী লীগের হয়ে বিরোধী দলকে হেয় করার জন্য এহেন অপতৎপরতার নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘নাহিদ রেইন’ নামে একজন প্রতারক ও জেল খাটা দাগি অপরাধী। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই দাগি অপরাধীকে অনলাইনে এবং অফলাইনে প্রকাশ্যে প্রমোট করছে ভিন দেশের প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি। নাহিদ রেইনের টুইটার হ্যান্ডেলের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করলেই এই দুঃখজনক অপকর্মের সত্যতা পাওয়া যায়।’

এসময় তিনি ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করে বিএনপি নেতাদের নামে চাঁদাবাজির অপরাধে অবিলম্বে ‘নাহিদ রেইন’ নামক প্রতারক দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেফতারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাহিদা রফিক, তাহসিনা রুশদির লুনা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগ

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছে : কাদের

Published

on

বিএনপি নেতারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন। যা খুশি তা–ই বলেন, ফ্রি স্টাইলে। এর বাস্তবতা নেই। তাঁরা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। ৪২ শতাংশ যদি ভোট দেয়, তাহলে ভোটাররা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করল কেমন করে? বললেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠান শেষে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোকজনই ভোট দিতে যায়নি। বিএনপি নেতাদের এ দাবি সত্য নয়। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪২ শতাংশের বেশি। তাঁরা কি এদেশের মানুষ নন?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আন্দোলন করার অধিকার আছে। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবে। আর যদি আন্দোলন রূপ নেয় আগুন–সন্ত্রাসে, যে চেহারা তারা অতীতে দেখিয়েছে, তাহলে সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে মেট্রো রেলের ব্র্যান্ডিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয় পার্টি

আওয়ামী লীগ জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে : জিএম কাদের

Published

on

আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন সেগুলো জনগণ আর বিশ্বাস করে না। বললেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে কাদের এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন,  আওয়ামী লীগ আগে গাছের মতো ছিল। যেখানে জনগণ আশ্রয় নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সামনের অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। আর সেজন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।

তিনি দাবি করেন, দেশের রিজার্ভ এখন ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই, প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের বিপরীতে দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে

প্রসঙ্গত, এর আগে সার্কিট হাউসে এসে পৌছালে প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগিত জানান।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

বাংলাদেশ ব্যাংকে কি ঋণখেলাপিরা ঢুকবে, কাদেরকে প্রশ্ন রিজভীর

Published

on

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না,তাহলে কি মাফিয়া,মাস্তান,ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে? বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবে কেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে এ কথা বললেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয  এক  অনুষ্ঠানের আগে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন,  সাংবাদিকতার দেশের বাইরে কানাডা, মালয়েশিয়া, দুবাইয়ে বাড়ি করেনি। ওবায়দুল কাদের সাহেব এসব কী কথা বলছেন। তাদের কাছের লোক যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে অনেক বৃত্তের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

এ বিএনপি নেতা বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২০০০ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা তাঁর বক্তব্য না, এটা সিডিপির বক্তব্য। দেশের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী কারা এরা সবাই ক্ষমতাসীনের আত্মীয়-স্বজন কাছের লোক।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রিজার্ভ এখন তলানিতে। সরকার বলছে ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে। রিজার্ভ তো তলানিতেই।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বক্তব্য শেষে ফরিদপুরের মধুখালিতে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে অর্থ সহায়তা তুলে দেয়া হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version