Connect with us

সিলেট

গুলি করে হত্যার পর কিশোরের মরদেহ নিয়ে গেলো বিএসএফ

Published

on

মৌলভীবাজার

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। এমনকি হত্যার পর কিশোরের মরদেহ সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৭ মার্চ) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরইছড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর সাদ্দাম হোসেন (১৫) কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সাদ্দামের মামাতো ভাই সিদ্দিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছিদ্দিকুর রহমান একই গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএসএফের গুলিতে আহত সিদ্দিকুর রহমানের ছোট ভাই আব্দুর রহমান বলেন, তার মামাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন সীমান্তের কাছাকাছি জিরো লাইনে গেলে বিএসএফ আটক করে। তাকে ছাড়াতে সিদ্দিকুর রহমান ছুটে গেলে দুইজনকে নিয়ে দৌড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাজিদ সরদারের বাড়িতে ঢোকে বিএসএফ। সেখানে গুলি করলে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া ছিদ্দিকুর রহমান বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক জখম হন। পরে স্থানীয় লোকজন ছিদ্দিকুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে হত্যার পর বিএসএফ সাদ্দামের মরদেহ নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ সীমান্তের ওপারে রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ বিজিবিকে হস্তান্তর করলে পুরো ঘটনা জানা যাবে।

Advertisement

তিনি বলেন, নিহতের পরিবার বলছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে গুলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসএফের কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। দু’পক্ষের বক্তব্য পাওয়া গেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

সিলেট

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি ৫ লাখের বেশি মানুষ

Published

on

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাসহ মোট সাত উপজেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন প্রায় ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন মানুষ। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সিলেটের কয়েকটি নদীর পানি।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে সিলেটের কানাইঘাট সুরমা পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার এবং জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়।

সিলেট জেলা প্রশাসনের জানায়, সিলেট জেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি উপজেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত এলাকার ৪ হাজার ৮০২ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। প্লাবিত উপজেলাগুলোর মধ্যে কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, শুকনো খাবার ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সিলেটের বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো হলো- জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ।

এদিকে গতকাল জৈন্তাপুর উপজেলায় উদ্ধার ও ত্রান কার্যক্রম চালিয়েছে বিজিবি।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

সিলেটে বন্যার্তদের উদ্ধারে বিজিবি

Published

on

সিলেটে টানা বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় বিজিবি এ উদ্ধার কার্যক্রম চালায় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সিলেট সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।

কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান,  বন্যা দুর্গত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসেন বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ রক্ষা করতে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে কাজ করেন তারা। এ সময় বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবারও বিতরণ করেন তাঁরা।

তিনি জানান, বন্যায় পানিবন্দি দুই শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষদের জন্য ৪৫০ প্যাকেট রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত সিলেট, প্রস্তুত সেনাবাহিনী

Published

on

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের চারটি উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পানিবন্দি হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। সুরমা, কুশিয়ারা, ডাউকি, সারি ও সারিগাঙ্গ নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে নামতে প্রস্তুতি নিয়েছে সেনাবাহিনী। বন্যায় প্লাবিত এলাকা রেকিও করেছে সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদী কানাইঘাটে, কুশিয়ারা অমসিদে, সারি নদী সারিঘাটে, ডাউকি জাফলংয়ে, সারিগাঙ্গ গোয়াইনঘাট বিপৎসীমার প্রায় এক মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগিল, কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পানিতে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে।’

তবে তিনি আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘এই পানি আরেকটু বৃদ্ধি পাবে; তারপর নেমে যাবে।’

জানা যায়, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ এখন পানিবন্দি। এ ছাড়া উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং ও মধ্য জাফলং বেশি প্লাবিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় উপজেলার ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। উপজেলার ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।’

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, ‘২০২২ সালের মে মাসে সিলেট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৩৯ মিলিমিটার। ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৩৩০ মিলিমিটার এবং ২০২৪ সালের মে মাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭০৫ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।’

Advertisement

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসাইন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতোমধ্যে বৈঠক করেছে। দ্রুত উদ্ধার অভিযান চলছে। সেনাবাহিনীও ইতোমধ্যে রেকি করেছে। প্রয়োজনে তারাও উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে যোগ দেবে।’

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version