Connect with us

বাংলাদেশ

বিএনপি দুর্গত-পীড়িতদের নিয়ে রাজনীতি করে : ড. হাছান মাহমুদ

Published

on

দল ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের পাশে আছে, অতীতেও ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। অপরদিকে বিএনপি কখনো দুর্গত-পীড়িতদের পাশে যায় না বরং তাদের নিয়ে রাজনীতি করে। বললেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।

আজ শুক্রবার (২৪জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে বন্যাত্রাণের অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম ও নেত্রকোনা জেলার দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়  একথা বলেন। আওয়ামী লীগের  ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

 

ড. হাছান বলেন, দুর্গত-পীড়িত মানুষের কাছে সর্বাগ্রে ছুটে যাওয়া আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতো আওয়ামী লীগ সবসময় সেটি করে আসছে। অতীতের দিকে দৃকপাত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'মনে আছে নিশ্চয়ই, ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড়ের পর বেগম খালেদা জিয়াকে সংসদে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আপনারা  কোনো ব্যবস্থা নিলেন না যার দরুন দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেলো। জ্যেষ্ঠ মানুষকে শ্রদ্ধা করা আমার পরিবার শিখিয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনাও সে শিক্ষা দিয়েছেন, কিন্তু কথার পিঠে কথা আসে তাই বলতেই হয়- তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দেশে এসেছিলেন এবং চট্টগ্রামের বাতাসে যখন লাশের গন্ধ ভাসছে, তখন বেগম খালেদা জিয়া একদিনে সাতটি শাড়ি বদলেছেন। আর সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা, তত মানুষ মারা যায়নি। অর্থাৎ, তারা মানুষকে নিয়ে উপহাস করেন, রাজনীতি করে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'এবার সিলেটে বন্যা দেখা দেওয়ার পর অতীতের মতোই সেখানে সর্বাগ্রে ছুটে গেছে আওয়ামী লীগ। অনেক জায়গায় প্রশাসনের মানুষ যাওয়ার আগেই আমাদের দলের নেতাকর্মীরা ছুটে গেছেন। তাদের নিজেদের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে, তারপরও যাদের সামর্থ্য আছে, তারা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে ছুটে গেছেন। এখন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে, আমাদের নেতাকর্মীরা সেগুলো পৌঁছে দিচ্ছেন।'
'অন্যদিকে বিএনপি ও কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি যাদের আবার এনজিও আছে, তারা এখন কোথায়' প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, 'তাদের তো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ টক শো'তে আছে, কিন্তু মানুষের পাশে তাদের দেখা যাচ্ছে না। আর মির্জা ফখরুল সাহেবরা ঢাকায় বসে বকবক করছেন। আসলে বিএনপি কখনো দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায় না, তদের নিয়ে রাজনীতি করে।

Advertisement

আওয়ামী লীগের  ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এড. সফুরা খাতুন বিশেষ অতিথি এবং মহানগর দক্ষিণের নেতা আকতার হোসেন ও ত্রাণ সহযোগী স্বেচ্ছাসেবী ড. কামরুন নাহার আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য দেন।

অপরাধ

সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার করার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। মাদক পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গাড়িটি আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাত লাখ ইয়াবা।

র‌্যাব জানায়,  সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে ওই গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের চেস্টা করছিলো মাদক কারবারীরা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব । পরে গাড়ি তল্লাশী করে ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) । তার সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬) কে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা পাচারে ওই গাড়ি ব্যবহার করে।

প্রাথমিকভাবে র‌্যাব ধারণা করছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তৎপর এসব চক্রের সদস্যরা। গাজীপুরে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট জব্দসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাতে মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকুর বটতলা মোড়ের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গি উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন পক্ষিয়া এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে মো. শিবলু (৩৯)। ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ছয়গ্রাম এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল হাসান (২৭)।

পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে এসব টাকা ছড়িয়ে দিতে সরব হয়ে উঠেছে এসব চক্রের সদস্যরা। জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি চক্র অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জাল নোট জব্দসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের সাথে জড়িত আরও ৩/৪ জনের তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গাছা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাপাতি ধরে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে গলায় চাপাতি ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে ) সকালে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলী, মো. ইমন, আকাশ ও মো. তারেক।

মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে সাতমসজিদ রোড দিয়ে ধানমন্ডির অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন উত্তর পাশের ফুটপাতে পৌঁছালে, ৪ জন যুবক এসে তাকে অতর্কিত কিলঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার গলায় চাপাতি ধরে একটি মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেয় পুলিশ।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version