Connect with us

বাংলাদেশ

জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে মোনাজাতেও যোগ দেবেন তিনি।

আজ শনিবার (২৫ জুন) সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে টোল পরিশোধ শেষে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। এর পর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। এসময় মাঝ সেতুতে দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর ৩১টি বিমান ও হেলিকপ্টারের সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ ‘ফ্লাইং ডিসপ্লের’ উপভোগ করেন তিনি। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্যরা।

এরপর তিনি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত দলের জনসভায় যোগ দেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে গত তিন দিন ধরেই পদ্মাপার এলাকা সেজেছে বর্ণিল রূপে। নানা রঙ-বেরঙের ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পদ্মাপার। পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রমত্তা পদ্মায় লাল-সবুজের ৮০টি নৌকা প্রস্তুত রয়েছে।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মান কাজে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়।

Advertisement

পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, মূল সেতু নির্মাণের কাজটি করেছে চীনের ঠিকাদার কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদী শাসন করেছে চীনের সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। মোট ৩০, ১৯৩৩.৭ কোটি টাকা ব্যয়ে স্ব-অর্থায়নে সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের ব্যয় ১২,১৩৩.৩৯ কোটি টাকা (৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার এবং গ্যাস লাইনের জন্য ১০০০ কোটি টাকা সহ) এবং ১৩.৮ কিলোমিটার নদী শাসন কাজের ব্যয় ৯,৪০০০.০ কোটি টাকা।

টোল প্লাজা এবং এসএ-২ সহ ১২ কিমি অ্যাপ্রোচ রোডের নির্মাণ ব্যয় ১,৯০৭.৬৮ কোটি টাকা (২টি টোল প্লাজা, ২টি থানা ভবন এবং ৩টি পরিষেবা এলাকা সহ) যেখানে পুনর্বাসনের ব্যয় ১,৫১৫.০০ কোটি টাকা, ২৬৯৩.২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় ব্যয় ১২৯০.৩ কোটি টাকা, কনসালটেন্সি ৬৭৮৩.৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য (বেতন, পরিবহন, সিডি ভ্যাট এবং ট্যাক্স, ফিজিক্যাল এবং প্রাইস কন্টিনজেন্সি, ইন্টারেস্ট ইত্যাদি) ১,৭৩১.১৭ টাকা।

শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয় ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর।

Advertisement

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পয়েন্টে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নদী প্রশিক্ষণের কাজ এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে তিনি জাপান সফর করেন। তিনি পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেন। জাপান সরকার দুটি নদীর ওপর সেতু নির্মাণে সম্মত হয়। যেহেতু পদ্মা নদী একটি শক্তিশালী নদী যার প্রবল স্রোত, জাপান পদ্মা নদী জরিপ শুরু করে এবং তারা তার অনুরোধে রূপসা নদীতে নির্মাণ কাজ শুরু করে।

জাপান ২০০১ সালে পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষা প্রতিবেদন বাংলাদেশের কাছে জমা দেয়। জাপানি জরিপে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টকে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

জরিপের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

Advertisement

দায়িত্ব গ্রহণের ২২ তম দিনে, নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক পরামর্শদাতা সংস্থা মনসেল আইকমকে পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ নকশা প্রস্তুত করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

সেতু প্রকল্পে শুরুতে রেলের সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলওয়ের সুবিধা রেখে সেতুর চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হয়।

ডিজাইনটি ২০১০ সালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়। পরের বছর জানুয়ারিতে, ডিপিপি সংশোধন করা হয়। সংশোধনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ২০ হাজার ৫ শ’ ৭ কোটি টাকা। খরচ বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। শুরুতে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ছিল ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার যা পরবর্তীতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারে উন্নীত হয়।

প্রথম ডিপিপিতে, সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে তিনটির নিচে নৌযান চলাচলের জন্য জায়গা রেখে নকশা তৈরি করা হয়েছিল। পরে, ডিপিপি সংশোধন করার মাধ্যমে ৩৭টি স্প্যানের নীচে জাহাজ চলাচলের সুযোগ রাখা হয়।

সংশোধিত ডিপিপিতে অনেক ওজন বহন করার ক্ষমতাসম্পন্ন রেল সংযোগ যুক্ত করা হয়েছে। কংক্রিটের পরিবর্তে ইস্পাত বা স্টিলের অবকাঠামো যুক্ত করা হয়।

Advertisement

সেতু নির্মাণের পাইলিং কাজের জন্যও অনেক গভীরে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পুনর্বাসনের খরচও বেড়েছে (জমি অধিগ্রহণের কারণে)।

২০১৬ সালে খরচ বাড়ানো হলে মূল সেতু নির্মাণ ও নদী শাসনসহ সব কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। এদিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৯ টাকা। নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১.৩ কিলোমিটার নদী শাসনের কাজ।

মূল সেতু নির্মাণ, নদী শাসন ও অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগে যে ব্যয় ধরা হয়েছিল তা প্রায় ৮ হাজার  কোটি টাকা বেড়েছে।

এছাড়া জমি অধিগ্রহণে খরচ বেড়েছে ও ফেরি ঘাট স্থানান্তরের জন্য খরচের প্রয়োজন হয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা মোতায়েন করা হয়।

পদ্মা বহুমুখী সেতু ব্যবহারের জন্য এরই মধ্যে টোল ঘোষণা করেছে সরকার। গত ১৭ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

Advertisement

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু পার হতে একটি মোটরসাইকেল ১০০ টাকা, একটি গাড়ি ও একটি জীপ ৭৫০ টাকা।

টোল চার্ট অনুযায়ী, একটি পিকআপের জন্য ১,২০০ টাকা, একটি মাইক্রোবাসের জন্য ১,৩০০ টাকা, একটি ছোট বাসের জন্য (৩১-সিটের জন্য ১,৪০০ টাকা), একটি মাঝারি আকারের বাসের জন্য ২,০০০ টাকা (৩২ আসনের  বেশি) এবং একটি বড় বাসের জন্য (তিন-অ্যাক্সেল) ২,৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ছোট ট্রাকের (৫ টন পর্যন্ত) জন্য ১,৬০০ টাকা, একটি মাঝারি ট্রাকের (৫-৮ টন) জন্য ২,১০০ টাকা এবং ৮-১১ টন ওজনের একটি ট্রাকের জন্য ২,৮০০ টাকা, একটি ট্রাকের (থ্রি-অ্যাক্সেল) জন্য ৫,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং একটি ট্রেলারের (চার-অ্যাক্সেল) জন্য ৬,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

জাতীয়

যেকারণে ঢাকা সফরে আসছেন ‘বাজপাখি কূটনীতিক’ ডোনাল্ড লু

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু। ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু আবারও দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বা ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাঁর সফরের তারিখ ঘোষণা না করলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি কোনো এক সময় তিনি ঢাকা সফর করবেন।

ঢাকার কূটনীতিক পাড়ার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি ঢাকা আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেট সেক্রেটারি হিসেবে এটি হবে তার তৃতীয় ঢাকা সফর আর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের  পর প্রথম সফর।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর ডোনাল্ড লু’র সফরের বিষয়টি এখন  ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার আলোচনায় অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করে থাকেন ডোনাল্ড লু।

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের উদ্দেশ্য কী হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘তার সফরের উদ্দেশ্যটি এখনও ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট বা ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়নি। কবে আসছেন তাও বলেনি।  ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন অবাধ ‍ও সুষ্ঠু হয়নি বলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানায়। ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকেও একই বার্তা দিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। যেহেতু তিনি এই অঞ্চলের দেশগুলোতে মার্কিন স্বার্থ দেখভাল করেন তাই ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আলোচনার জন্য ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের উদ্দেশ্য হতে পারে।’

একই মত দিয়েছেন  সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে  নিজেদের ইচ্ছে পূরণ না হলেও আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী হয়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লেখার পরই সম্পর্ক উন্নয়নে ওই মাসের শেষের দিকে ঢাকা সফরে আসেন তাঁর বিশেষ সহকারী ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক এইলিন লাউবাখেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।একই উদ্দেশ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্ব এক‌টি প্রতি‌নি‌ধিদল নিয়ে ঢাকা সফর করে গেছেন। ডোনাল্ড লু’ও একই কারণে ঢাকা সফরে আসতে পারেন।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের এই সাবেক হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে ওয়াশিংটন-ঢাকার একই সঙ্গে কাজ করার সম্ভাব্য উপায় নিয়েও তিনি আলোচনা করতে পারেন এই সফরে।’

Advertisement

কে এই ডোনাল্ড লু?

২০২২ সালের শুরু থেকেই বারবার সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় তার নামই বেশিবার উচ্চারিত হয়েছে। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-সংক্রান্ত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রধান চালক হিসেবে মনে করা হয় তাকে। এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে ডোনাল্ড লু রয়েছেন নেতৃত্বের আসনে।

ফরেন সার্ভিস অফিসার হিসেবে ৩০ বছরেরও বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অধীনে কাজ করছেন লু। এর মধ্যে ১২ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন পাকিস্তান ও ভারতে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ডোনাল্ড লু’র নানামুখী তৎপরতা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির ঝুড়িতে দুর্দান্ত সাফল্য থাকায়  দুই কূটনীতিককে বলা হয়ে থাকে ‘বাজপাখি কূটনীতিক’। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

Advertisement

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি দুইদিনের সফরে ঢাকা আসেন ডোনাল্ড লু। ওই সফরে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন।

নির্বাচন নিয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য, সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশও তাকে আশ্বস্ত করে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে।

২০২৩ সালের ১১ জুলাই দ্বিতীয় বারের মতো ঢাকা সফরে  আসেন ডোনাল্ড লু। পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে তার ওই সফর ছিলো  একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণাসহ নানামুখী তৎপরতার অংশ।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দেড় মাস আগে আবারও তৎপরতা চালান ডোনাল্ড লু। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেনা বলে বিএনপি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে গত নভেম্বরে  দেশের বড় তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে ‘পূর্বশর্ত ছাড়া’ সংলাপে বসার আহবান জানান ডোনাল্ড লু। এতে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ওইসময় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এক দলের চেয়ে অন্য দলকে প্রাধান্য দেয় না। কোনো ধরণের পূর্বশর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে সংলাপে বসার আহবান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে সমানভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

ডোনাল্ড লু’র তৎপরতার কারণে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত!

২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক  সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট-এ এক চমকপ্রদ খবর বেরোয়। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত বছর(২০২২) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন। ওই সাংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এমন একটি গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা তাদের হাতে রয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট তাদের ওয়েবসাইটে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর মধ্যকার কথিত কথোপকথনের বিস্তারিত প্রকাশ করে। ২০২২ সালের ৭ মার্চ তাঁদের মধ্যে সেই কথাবার্তা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মস্কো সফরে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর মাজিদ ও ডোনাল্ড লুর মধ্যে এই কথোপকথন হয়। একই দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল।

ওইসময় ডোনাল্ড লু পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মাজিদকে বলেন, ‘ইমরান খানের মস্কো সফর এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানের ‘নিরপেক্ষ অবস্থানে’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।’

Advertisement

লু বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হলে ওয়াশিংটন সবাইকে ক্ষমা করে দেবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর তাঁর সিদ্ধান্তেই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কথিত কথোপকথনের বিস্তারিত ‘গোপন তারবার্তা’ ইসলামাবাদে পাঠিয়েছিলেন মাজিদ। ডোনাল্ড লু অবশ্য তার বিরুদ্ধে অনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফাঁস হওয়া পাকিস্তান সরকারের নথিপত্র অনুযায়ী মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের এক মাস পর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট হয়। ওই ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন।’

২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান দাবি করেছিলেন, তিনি ওই গোপন বার্তা সম্পর্কে জানতেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

Published

on

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। ফাইল ছবি

তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নির্দেশে একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক কর্মী ও তার বন্ধুকে তুলে তার কক্ষে আনা হয়। তারপর ওই কক্ষে আসেন শাখা ছাত্রলীগের ওই সাধারণ সম্পাদক। তারপর ছাত্রদলের ওই দু্ই কর্মীকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুসি মারতে থাকেন।  তিন ঘণ্টা ধরে এভাবে নির্যাতনের পর শাখা ছাত্রলীগের ওই সাধারণ সম্পাদক একটা পিস্তল দেখিয়ে ছাত্রদলের ওই কর্মীকে জিজ্ঞেস করেন, তার কোন পায়ে সে গুলি করবে। পরে রাত একটার দিকে হলের সহকারী প্রক্টরদের হাতে ছাত্রদলের ওই কর্মীকে তুলে দেওয়া হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। সোমবার(৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে বলে  গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। ফাইল ছবি

ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতার নাম নাফিউল ইসলাম জীবন। তিনি রাজশাহী শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক। তার সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ইউনুস খান। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৭ মে) ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে আমি ও আমার বন্ধু মিলে তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের তিন নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ আমাদের ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথরোধ করে তাদের বাইকে আমাকে  ও আমার বন্ধুকে তুলে মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়।’

Advertisement

ভুক্তভোগী নাফিউল আরও বলেন, ‘  কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ওই কক্ষে এসে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে আমাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও মাথার ওপর কিল-ঘুসি মারেন। এরপর একটা পিস্তল বের করে গুলি লোড-আনলোড করতে করতে আমাকে বলেন, ‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে।’ এমন করতে করতে একবার শুট করেন। তবে গুলি তখন আনলোড করা ছিল। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন। পরে রাত ১টার দিকে তারা আমাকে সহকারী প্রক্টরদের হাতে তুলে দেন।’

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতন করে সন্ত্রাসীদের সংগঠন ছাত্রলীগ কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে। সেই সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রকাশ্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল সহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত আহত ও নির্যাতন করছে।’ রাবি প্রশাসন ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি প্রক্টরের পদত্যাগও দাবি করেন।

তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি ‘ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’ বলে জানিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তিনি গণমাধ্যমকে  বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর আগে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে। আমরা সন্দেহজনকভাবে তাকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করি।’

গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গে রাবি শাখা ছাত্রলীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারণ অস্ত্রের রাজনীতি ছাত্রদল করে, ছাত্রলীগ করে না। ছাত্রলীগের হাতে কলম থাকবে, অস্ত্র নয়।’

এবিষয়ে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ফোন পেয়ে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে বিনোদপুরে পৌঁছে দেন।”

Advertisement

অভিযোগের ব্যাপারে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে রাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রক্টর জানান, মারধর বা নির্যাতন করা হয়েছে কিনা জানি না। তাছাড়া মারধর কিংবা নির্যাতনের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মারধরের প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

গ্রাম আদালত বিল পাস

Published

on

গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বিলটি পাস হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সংশোধিতে বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ, সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

এর আগে বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস করা হয়।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়9 hours ago

যেকারণে ঢাকা সফরে আসছেন ‘বাজপাখি কূটনীতিক’ ডোনাল্ড লু

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু আবারও দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বা...

অপরাধ10 hours ago

‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নির্দেশে একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক কর্মী ও তার বন্ধুকে তুলে তার...

জাতীয়10 hours ago

গ্রাম আদালত বিল পাস

গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪...

জাতীয়11 hours ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা  সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি। একই...

বাংলাদেশ11 hours ago

যে কারণে জাহিদ মালেক টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়

মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিনের ‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবদান রাখা ১০০ প্রভাবশালীর’ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ-৩...

জাতীয়13 hours ago

সংসদে লোডশেডিং এর কারণ জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী

চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায়...

জাতীয়15 hours ago

‘৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হবে’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মানে নিয়োজিত জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে।  ওরা কিছুদিন সময় চেয়েছে তো। আমরা মনে...

জাতীয়16 hours ago

ফের বাড়লো হজ ভিসা আবেদনের সময়

কাঙ্ক্ষিত হজ ভিসা আবেদন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয়েছে এর আবেদন করার সময়। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১১ মে...

আইন-বিচার17 hours ago

গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনে হাইকোর্টের রুল

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি...

জাতীয়17 hours ago

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহে আইওএম’র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

রোহিঙ্গা সহায়তায় আরও তহবিল সংগ্রহে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে...

Advertisement
ঢালিউড6 hours ago

তুফান’র প্রশংসার পাশাপাশি উঠেছে সমালোচনার ঝড়

জাতীয়9 hours ago

যেকারণে ঢাকা সফরে আসছেন ‘বাজপাখি কূটনীতিক’ ডোনাল্ড লু

অপরাধ10 hours ago

‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

জাতীয়10 hours ago

গ্রাম আদালত বিল পাস

জাতীয়11 hours ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হলিউড11 hours ago

এবার বিয়ে করে থিতু হচ্ছেন সেলেনা গোমেজ

বাংলাদেশ11 hours ago

যে কারণে জাহিদ মালেক টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়

আন্তর্জাতিক12 hours ago

গাজার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ দখল করলো ইসরাইল

দেশজুড়ে12 hours ago

আটকের ১২ ঘন্টা পর ছাড়া পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী

আন্তর্জাতিক12 hours ago

জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ, ইউক্রেনের দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ঢালিউড6 days ago

‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’

আন্তর্জাতিক6 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

তথ্য-প্রযুক্তি5 days ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

ঢালিউড6 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরামর্শ6 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

অপরাধ6 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

দেশজুড়ে7 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

বাংলাদেশ4 days ago

স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ

ঢালিউড6 days ago

শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী

জাতীয়3 days ago

তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

উত্তর আমেরিকা2 weeks ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি2 months ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায়
Exit mobile version