Connect with us

বাংলাদেশ

মার্কিন নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বাতিল

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বাতিল করে দিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ৫০ বছর আগে গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণা করার রায় সর্বোচ্চ আদালত পাল্টে দেওয়ার চিন্তা করছে- কয়েক সপ্তাহ আগে এমন খবর ফাঁস হওয়ার পর থেকেই তীব্র বিতর্ক চলছিল। গেলো শুক্রবার (২৪ জুন) ‘রো বনাম ওয়েড’ নামে পরিচিত মামলার সেই যুগান্তকারী রায় সত্যিই পাল্টে দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিসিসিপির রাজ্য সরকার গর্ভধারণের ১৫ সপ্তাহের পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট; ফলে মার্কিন নারীরা ১৯৭৩ সাল থেকে গর্ভপাতের যে সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করে আসছিলেন, তা কার্যত রোহিত হয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘১৯৭৩ সালের আইনে গর্ভধারণের পর ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহ সময়কালেও গর্ভপাত করার এখতিয়ার রাখা হয়েছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, মার্কিন সংবিধানে গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা নেই।

‘গর্ভপাতের অধিকার সংবিধানের আওতায় থাকতে পারেনা … এবং গর্ভপাত নিয়ন্ত্রণের অধিকার অবশ্যই মানুষের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ন্যস্ত করা উচিৎ।’

এক প্রতিবেদেন বিবিসি জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে এখন রক্ষণশীল বিচারকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার রোহিত করার পক্ষে মতামত দেন ছয়জন বিচারক, বিপক্ষে দেন তিনজন।

Advertisement

ধারণা করা হচ্ছে এই রায়ের পর অর্ধেকের বেশি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ অথবা এটির ওপর নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।  সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তাৎক্ষণকভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ হবে। ইতোমধ্যে এমন আইন পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্য।

এ বিষয়ক এক বেসারকারি জরিপে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানধারণে সক্ষম তিন কোটি ৬০ লাখ নারী গর্ভপাতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।

অবশ্য দেশটির দক্ষিণপন্থী ও ধর্মীয় রক্ষণশীলদের জন্যে এই সিদ্ধান্ত অনেক বড় বিজয়। এই ঘরানার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী ১৯৭৩ সালে গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা ও দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।

অন্যদিকে দেশটির সরকারি দল ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতারা নিন্দা জানিয়েছেন এ সিদ্ধান্তের। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সুপ্রিম কোর্টের এ রায়কে মৌলিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের (প্রতিনিধি পরিষদ) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে ‘নির্মম’ উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মার্কিন নারীরা এখন তাদের মায়েদের চেয়ে কম স্বাধীনতা ভোগ করছে।”

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের নারী অধিকার সংগঠন দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এক টুইটে বলেছে, ‘আদালত কি বলেছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ কাউকেই তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাচ্চা নিতে বাধ্য করা উচিত নয়… গর্ভপাত নারীদের অধিকার এবং এই অধিকার আদায়ের জন্য আমরা এর জন্য লড়াই বন্ধ করব না।’

সূত্র: বিবিসি

Advertisement

চট্টগ্রাম

নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার

Published

on

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করে নৌবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করে নৌবাহিনী। চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিমান উদ্ধারের বিষয়টি কে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আকাশ থেকে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে ছিটকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টা থেকে বিমানটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে নৌবাহিনী।

প্রসঙ্গত, মূলত যুদ্ধবিমানটি কী কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এটিতে কী ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল এবং বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌবাহিনী বিমানটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। এক্ষেত্রে নৌবাহিনীর একাধিক ডুবুরি টিম এবং একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। একপর্যায়ে বাহিনীটি বিমান উদ্ধারে সফল হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

গ্রামে নয়, এখন থেকে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি। বললেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কথা শোনেন তিনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি বলেও বক্তব্যে উল্ল্যেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে। বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন,সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন,  এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

Advertisement

সম্প্রতি লোডশেডিং এর কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুমুখী করছে সরকার। গেলো কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি চালু হয় জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে। পরে তা সম্প্রসারিত হয়েছে এরশাদ, খালেদা জিয়ার মাধ্যমে। যারা এখন গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে উঠেছেন, তাদের জন্মটা যেন কীভাবে সেটি কি তারা ভুলে গেছেন? ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া, গণতন্ত্রহীনতা এগুলো তো জিয়ার আমলেই শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, জনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে যায়নি। তাদের হাত থেকে প্রধান বিচারপতি-সাংবাদিক কেউ নিরাপদ নন বলেও বক্তব্যে উল্ল্যেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির সঙ্গে সাইবার অপরাধও বাড়ছে’

Published

on

প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। তাই সাইবার ঝুঁকিও কম ছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে, সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা ও ঝুঁকি ততই বাড়ছে। এজন্য ঝুঁকি মোকাবিলায় আইন প্রণয়নসহ তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের আগে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। তাই সাইবার ঝুঁকিও কম ছিল। যত দ্রুত আমরা ডিজিটাইজেশন করেছি, তত বেশি তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। ফলে আমরা ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংসদে পাস করেছিলাম। এরপর প্রয়োজনের তাগিদে নতুন আইন ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

পলক বলেন, বিদ্যমান আইনের আলোকে আমরা চারটি মূল স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছি। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল রয়েছে। সেখান থেকে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দ্বিতীয়ত, ফরেন্সিক ল্যাবেও কাজ হচ্ছে। কোনো অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সেই অপরাধকে ও অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করা এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ যাচাই-বাছাই করার জন্য সেই ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার রেসপন্স টিম, কাউন্টার টেরোরিজম এবং ইনটেলিজেন্স এজেন্সিসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা ২৩ হাজার এই ধরনের জুয়ার সাইট, পর্নোগ্রাফি সাইট, এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে যে প্ল্যাটফর্মগুলো যুক্ত ছিল সেগুলোকে আমরা ব্লক করেছি। বেশ কয়েকটি টিম নিয়মিত কাজ করছে, ফলে আমরা অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারছি। কিন্তু এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা চলমান থাকবে। আমাদের ৩৩৩ একটা কল স্টোর আছে সেখানে আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করব তারা যেন ফোন করে তাদের কোনো তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন হলে বা কোনো উপদেশের প্রয়োজন হলে বা অভিযোগ জানাতে হলে তারা করতে পারেন। ৯৯৯ আছে এখানে পুলিশকে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের সব কিছুই হবে স্মার্টভাবে। সব ধরনের কানেক্টটিভিটি তার থাকবে ভূগর্ভস্থ। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আমরা এই কার্যক্রম শুরুও করেছি। ঢাকার নানান স্থানসহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে স্থাপন করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি সংযোগের তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে। দেশে টিএন্ডটির লাইনসমূহ শুধু গ্রাহক পর্যায়ে কারিগরি কারণে মাটির ওপর দিয়ে টানা হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে টিএন্ডটির তার ভূগর্ভস্থ করা হয়েছে। যেমন, এক্সচেঞ্জ থেকে কেবিনেট পর্যন্ত লাইনসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা হয়েছে। তবে ভবনে ফাইবার ক্যাবলের চ্যানেল ইন্টারনেটসহ সব সার্ভিস লাইনের জন্য একক ডাক্টের ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশেও উন্নত দেশের মতো টিএন্ডটিসহ সব ধরনের কানেক্টটিভিটি সংযোগসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা সম্ভব হবে।

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version