Connect with us

আইন-বিচার

মাদক সংক্রান্ত অপরাধে ২০২৩ সালে রেকর্ড মৃত্যুদণ্ড

Published

on

বিশ্বজুড়ে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য ২০২৩ সালে কমপক্ষে ৪৬৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। লন্ডন ভিত্তিক সংস্থা হার্ম রিডাকশন ইন্টারন্যাশনাল (এইচআরআই) বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরেছে। সংস্থাটি ২০০৭ সাল থেকে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের কার্যকরের বিষয়টি প্রকাশ করে আসছে। মৃত্যুদণ্ডের এই সংখ্যা যা একটি নতুন রেকর্ড।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এইচআরআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়- চীন, ভিয়েতনাম এবং উত্তর কোরিয়ায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সংঘটিত মৃত্যুদণ্ডের হিসাব না থাকা সত্ত্বেও, ২০২৩ সালে ৪৬৭টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি।

সংস্থাটি বলেছে, গেলো বছর বিশ্বজুড়ে কার্যকর হওয়া মৃত্যুদণ্ডের প্রায় ৪২ শতাংশই মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

এইচআরআই আরও জানিয়েছে- ইরান, কুয়েত এবং সিঙ্গাপুরসহ দেশগুলোতে মাদক সম্পর্কিত মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছে তারা। চীন মৃত্যুদণ্ডের তথ্যকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হিসাবে বিবেচনা করে এবং ভিয়েতনাম এবং উত্তর কোরিয়াসহ দেশগুলোতেও এ বিষয়ে গোপনীয়তা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে তথ্যের ফাঁক রয়ে গেছে, যার অর্থ ২০২৩ সালে অনেক মৃত্যুদণ্ড অজানা থেকে যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব এবং থাইল্যান্ডের জন্য কোন সঠিক পরিসংখ্যান প্রদান করা যায় না। এই দেশগুলো প্রকাশ না করলেও মাদক অপরাধের জন্য নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে বলে মনে করা হয়।

Advertisement

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মহামারী চলাকালীন দুই বছরের বিরতির পরে সিঙ্গাপুর ২০২২ সালের মার্চ মাসে পুনরায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করার পরে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অনুসারে, ২০২২ সালে প্রায় ১১ জন এবং ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করে সিঙ্গাপুর। যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে সারিদেউই জামানি নামে একজন নারীও ছিলেন, যিনি ২০১৮ সালে মাদক পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন৷ প্রায় ২০ বছর ধরে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রথম নারী৷

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী- ইচ্ছাকৃত নয় এবং সবচেয়ে গুরুতর প্রকৃতির অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহার নিষিদ্ধ। জাতিসংঘ জোর দিয়ে বলেছে, মাদকের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত নয়। কিছু দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাদের মৃত্যুদণ্ডের শাসন ব্যবস্থার সংস্কারের দিকে এগিয়েছে যেখানে মালয়েশিয়া মাদকসহ বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের অবসান ঘটিয়েছে এবং পাকিস্তান তার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু লঙ্ঘনের জন্য আরোপ করা যেতে পারে এমন শাস্তির তালিকা থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করেছে। তারপরও অনেক দেশে আসামিদের মাদক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া অব্যাহত রয়েছে।

আইন-বিচার

জামিনে মুক্তি পেলেন জবি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। বুধবার (৮ মে) বিকালে কুমিল্লা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান এই শিক্ষক।

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বেশ আলোচিত ছিল। যে ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনাটি কেন্দ্র করে কারাগারে ছিলেন এই শিক্ষক। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে আজ  মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে আজ দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরের পর আমরা কোর্টের অর্ডারটি হাতে পাই। এরপরই তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে গ্রহণ করে নিয়ে গেছেন।“

দ্বীন ইসলামের সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ফাইরুজ অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকেও আটক করে পুলিশ। আম্মান এখনো কারাগারে আছেন বলে জানা যায়। গত ১৭ মার্চ ফেসবুক পোস্ট দিয়ে নিজ বাড়ি কুমিল্লাতে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাঁর পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম এবং সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে অভিযুক্ত করেন অবন্তিকা। ঘটনার পর কোতোয়ালি থানায় অবন্তিকার মা একটি মামলা করেন। যে মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করা হয়েছিল।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

ওসি, ডাক্তার ও জেল সুপারের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

Published

on

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফরমান আলীসহ ১২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলার অভিযোগ দায়ের করেন।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ভিকটিম মো. রানার স্ত্রী সোনিয়া বেগম বাদী হয়ে এ মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। বাদীপক্ষ এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে ও গণমাধ্যম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি ফরমান আলী ছাড়া মামলার বাকি অভিযুক্তরা হলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, পুলিশের উপ-পরিদর্শক চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, কনস্টেবল জোনাব আলী, কনস্টেবল মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ ভিকটিম রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা রানাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালান। এমনকি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে দেন এবং বুকের মাঝে ও মাথার বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। ভিকটিমকে নির্যাতন করার সময় আসামি সবুজ বাদীকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে মারধর ও কান্নার আওয়াজ শোনান এবং বলেন ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে মারধর বন্ধ হবে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ মার্চ কোর্টে যান বাদী। ভিকটিম রানার সঙ্গে দেখা করার জন্য সেখানকার গারদে যান তিনি। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ না পেয়ে বাসায় চলে আসেন বাদী। এরপর ১৯ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে গিয়ে ভিকটিমকে দেখার জন্য টিকিট কাটেন।

Advertisement

জেল কর্তৃপক্ষ বাদীকে জানায়, ভিকটিম রানা জেলে নেই। তখন বাদী চিন্তায় পড়ে যান। সেখান থেকে আবার যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। থানা থেকে কোনো তথ্য না দেওয়ায় আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানান। পরদিন ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসতে। সেখানে গিয়ে বাদী ভিকটিম রানাকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

চুন্নুকে এবার এক হাত নিলেন ব্যারিস্টার সুমন

Published

on

জাতীয় সংসদে আইনজীবী ও সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের (ব্যারিস্টার সুমন) বিরুদ্ধে নালিশ করেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। এবার সেই নালিশেরই এক হাত নিলেন ব্যারিস্টার সুমন।

বুধবার (৮ মে) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যে চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর ছিল তার কথায় এখন আমাকে চলতে হবে?

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, চুন্নু সাহেব বিরোধীদল হয়েও সরকারি দলের বিরোধিতা না করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরোধিতা শুরু করেছেন। তাকে আমি বলবো, নিজের দায়িত্ব পালন করুন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল এমপি হলে যেসব জিনিস প্রকাশ করলে জাতির ভালো হয় তা আমি প্রকাশ করবো। এমপি হবার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যা যা দিয়েছেন আমি সেগুলো প্রকাশ করেছি। আমি আগে জানতাম না এমপিরা কত সম্মানী পান, এটা লুকানোর কিছু নাই। আমি মনে করি এটা বললে স্বচ্ছতা পাওয়া যায়।

ফেসবুকে বেতনের কথা উল্লেখ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছি সেটাও জনগণকে জানিয়েছি। বরাদ্দ মানে তো নগদ টাকা না, আমরা ট্রাস্টি মাত্র। আমাকে সরকার বিশ্বাস করে সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যে দিয়েছেন, আমি তাদের কাছে সেটি পৌঁছে দিবো। স্বচ্ছতার জন্যে আমি বলেছি আমি কত কত টাকা পেয়েছি। কিন্তু এটা চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সাহেব আমাদের মাননীয় স্পিকারের কাছে নালিশ দিলেন।

Advertisement

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমি সংসদে উত্তর দেবার সুযোগ পাইনি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, চুন্নু সাহেব বিরোধিতা করবেন সরকারি দলের কিন্তু সেখানে তিনি বিরোধিতা শুরু করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। ওনার তো খুশি হবার কথা যে আমরা আমাদের হিসাব দেয়া শুরু করেছি।

দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন আমার খারাপ লাগছে তার এলাকার মানুষের জন্যে। তাদের কি জানার অধিকার নেই চুন্নু সাহেব এমপি হিসেবে কত টাকা পাচ্ছেন। উনি বলতে চান আমরা যে বরাদ্দের টাকা প্রকাশ না করি। আমি বুঝলাম না আমরা যদি স্বচ্ছ থাকতে চাই, টাকার পরিমাণ বলি জনগণকে তাহলে আমি অপরাধটা কি করলাম।

এমপি আমার পেশা না উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, আমার পেশা ব্যারিস্টার, জনগণের স্বার্থে আমি তাদের জন্যে কাজ করতে চাই বলে তাদের ভোটে এমপি হয়েছি। আমি কথা দিয়েছি এমপি হিসেবে আমি একটা টাকাও হারাম খাবো না। সুতরাং সরকার থেকে যে টাকা আসবে সেটি আমি সবার সামনে তুলে ধরবো। তবে চুন্নু সাহেবের মনে হয় রাজনীতি করাটাই পেশা। তার আলাদা কোন পেশা থাকলে এটা নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন না।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version