প্রধানমন্ত্রীকে কুবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ শনিবার (২৫ জুন) বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সাইদুল আল-আমীন ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো: খলিলুর রহমানের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি বাঙ্গালীর স্বপ্ন। বাঙ্গালী জাতির মর্যাদার ও অহংকারের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের দৃঢ়তা, স্বকীয়তা ও মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতু। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে পদ্মা সেতু আজ খুলে গেছে দক্ষিণের এই দুয়ার।

এই সেতু আমাদের আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধের বলিষ্ঠ প্রকাশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ উপাদান। স্বাধীন বাংলাদেশের পাঁচ দশক সময়কালে নিজস্ব অর্থায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং মেগা প্রকল্প এই সেতু। এ সেতুর প্রতিটি কর্মপরিকল্পনায় জাতির অস্তিত্ব ও মর্যাদার বিষয়টি জড়িত। কারণ, এ সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে পানি কম ঘোলা করা হয়নি।

কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ২৯ জুন ২০১২ তারিখে ঋণচুক্তি বাতিল করে। বিশ্বব্যাংকের দেখানো পথে অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলো ঋণচুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে ৯ জুলাই ২০১২ তারিখে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সব ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও প্রতিকূলতা জয় করে বাংলার মানুষকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এ সেতু নির্মাণ বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় স্থান করে দিয়েছে।

পদ্মা সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সেতু মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচরকে। সেতুর স্বপ্নের কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে খুলে দিয়েছেন দেশের দখিনা দুয়ার। এই সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নে এক নতুন দ্বার উন্মোচন হলো। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এক অন্যতম মাইলফলক এই সেতু। এই সেতুতে লাঘব হবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ। এই সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যটন, শিল্পখাত, কৃষিখাতে আনবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যার ছোঁয়া লাগবে দেশের অর্থনীতির চাকায়।

Recommended For You

About the Author: মেঘ হাসান

As a journalist, I am entitled to find out the truth behind every incident.
Exit mobile version