আইন-বিচার
চালক হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন
নরসিংদীর রায়পুরায় বিজয় মিয়া নামে এক বিভাটেক (ব্যাটারি চালিত তিন চাকার বাহন) চালককে হত্যার দায়ে চার আসামীর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রোববার( ২৪ মার্চ) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে শহরের বাসাইল এলাকার বিভাটেক চালক বিজয় মিয়া জীবীকার তাগিদে নরসিংদী শহরে বের হয়। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীরা তাকে ভাড়া করে প্রথমে রায়পুরার নীলক্ষা এবং পরে একই উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মাহমুদ নগরে নিয়ে কৌশলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে বিভাটেক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় বিজয়ের মা অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করলে জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত ১৫ কার্য দিবসে ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের প্রেক্ষিতে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খন্দকার হালিম জানান, সাজা প্রাপ্তরা হলেন,নরসিংদী সদর উপজেলার বীরগাঁও এলাকার সোলাইমান মিয়ার ছেলে আলাল ওরফে বিল্লাল (৩৫), একই এলাকার মোছলেম মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (২৮), একই উপজেলার বল্লবপুর এলাকার ধন মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩১) এবং বীরগাঁও এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী রুবিয়া বেগম (৪৫)। সাজাপ্রাপ্তরা সকলেই জেল হাজতে আছেন।
রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন,এই রায়টি বাংলাদেশের শ্রমজীবী নিরীহ বিচারপ্রার্থীদের নিকট একটি বার্তা দিলো যে আদালত সবসময়ই দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, এই নীতিতে বিশ্বাসী। পুলিশ আদালত,আইনজীবী বিচারপ্রার্থী সবাই যদি একটা টিম হিসেবে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
এসময়ে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনী বিশেষ করে জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই মোফাজ্জল হোসেনকেও ধন্যবাদ জানান।
আইন-বিচার
র্যাব কর্মকর্তা উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রমোট) উত্তম কুমার বিশ্বাসকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে উত্তম কুমারের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য এ আদেশ দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে র্যাব-২, তেজগাঁওয়ে এ কর্মরত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে দুদকের পক্ষে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক।
আবেদনে বলা হয়, উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়, যা বর্তমানে চলমান আছে। ইতোমধ্যে তার ও তার স্ত্রীর নামে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বেশকিছু রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তিনি দুদকের নোটিশ পাওয়ার পরপরেই অসংখ্য হিসাব থেকে সব টাকা-পয়সা তুলে হিসাব বন্ধ করছেন, যা সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হয়। তিনি অনুসন্ধানের শুরু থেকে তেমন কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি বরং বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং অহেতুক কালক্ষেপণ করছেন।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, উত্তম কুমার সব হিসাব বন্ধ করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সমূহ শঙ্কা রয়েছে। এজন্য তার বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। এ সময় আদালত তার কাছে জানতে চান, তিনি কী এখনও চাকরিরত কি না। দুদক প্রসিকিউটর জানান, তিনি এখনও চাকরিরত। শুনানি শেষে আদালত উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ মঞ্জুর করেন।
এএম/
আইন-বিচার
অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট সাহেদসহ পাঁচজনের বিচার শুরু
করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে এ মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীরের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন।
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন, মাসুদ পারভেজ, দিপায়ন বসু, অনিন্দ্য দত্ত ও মো. মিজানুর রহমান। এর মধ্যে দিপায়ন বসু ও অনিন্দ্য দত্ত মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
জানা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন একশিড করপোরেশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।
উল্লেখ্য, মামলাটি তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াদুর রহমান ২০২১ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এএম/
আইন-বিচার
অবৈধ সম্পদের মামলায় ছেলেসহ সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন এবং তার ছেলে মো. ফয়সাল আবেদীনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞার আদালতে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান সাক্ষ্য দেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আজ আসামি পক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম দুলাল সাক্ষ্য গ্রহণ মূলতবি রাখার আবেদন করেন। কারণ হিসেবে জানান, মামলা বাতিল চেয়ে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন। পরে আদালত আগামী ৩০ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেন।
এদিন বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। এ মামলায় তার ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গেলো ৩১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত। ওইদিন বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারপক্ষে আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। তবে তার ছেলে ফয়সাল আবেদীন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক গোলাম মাওলা গেলো বছর দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের মোট সম্পদ ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ টাকা। তার ১৯৮২-১৯৮৩ কর বর্ষ থেকে ২০১০-১১ কর বর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকা। পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদ ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। এর বিপরীতে আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৪ টাকার। তার আয়ের তুলনায় ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকা বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া বিচারপতি জয়নুল আবেদীন তার ছেলেকে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন বলে ঘোষণা দেন। যা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
কিন্তু বিচারপতির আয়কর রিটার্নে ২৬ লাখ টাকা ঋণ দান এবং ফেরত প্রাপ্তির কোনো তথ্য নেই। বিচারপতির দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে দাখিল করা ব্যাংক স্টেটমেন্টে (২০০৫-২০০৬ এবং ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর ) তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য নেই। ফয়সাল আবেদীনের আয়কর নথিতে তার দায় ক্রমান্বয়ে পরিশোধ দেখানো হলেও বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের কাছে টাকা পরিশোধের কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া পাওয়া যায়নি। যা থেকে দুদক প্রমাণ পেয়েছে সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীন তার অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার জন্য ২৬ লাখ টাকা তার ছেলে ফয়সাল আবেদীনের ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেন।
এছাড়া, মো. জয়নুল আবেদীন তার স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ থাকার হিসাব দাখিল করেন। দুদকের তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রাখা এবং ছেলে ফয়সাল আবেদীনকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য দেওয়া ২৬ লাখ টাকা নিজ আয়কর নথিতে ও দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। মো. ফয়সাল আবেদীন পিতার ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২৬ লাখ টাকা জেনেশুনে বৈধ করার জন্য সম্পত্তি ক্রয় ও দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
-
বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
বলিউড4 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
ঢালিউড4 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
জাতীয়7 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
অপরাধ6 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
বলিউড4 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি