Connect with us

রাজশাহী

বিএসএফের গুলিতে নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি নিহত

Published

on

নওগাঁ

নওগাঁর পোরশা সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল আমিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৬ ব্যাটালিয়নের (নওগাঁ) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান ।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) অদূরে মিলমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের নিতপুর কলোনীপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৫ মার্চ) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় আল আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের মিলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের মালদহ জেলার বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের আগ্রাবাদ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করেন।

এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বিএসএফের সদস্যরা আল আমিনের মরদেহ নিয়ে যায়।

Advertisement

নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতেন। গতকাল রাতে আল আমিন আরও ১০ থেকে ১২ জনের সঙ্গে গরু আনতে নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যান। ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাদের তাড়া করেন। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল আমিন পারেননি। বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান।’

বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে মিলমারি এলাকায় একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।

 

অপরাধ

ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।

রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।

সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ দুইজন আটক

Published

on

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ফয়জুল্লাহ আকন্দ (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর গলা কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০) ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ফয়জুল্লাহ আকন্দ র মৃত সমসের আকন্দের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

শনিবার (১৮ মে) সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে ফয়জুল্লাহ আকন্দের স্ত্রী আমেনা বেগম তার ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে কয়েক দিন আগে বাবার বাড়ি শিহিপুর গ্রামে চলে যান। শনিবার সন্ধ্যায় ফয়জুল্লাহ আকন্দ স্ত্রীকে বাড়িতে আনার জন্য শিহিপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফয়জুল্লাহের সঙ্গে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও আমেনা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগমের ধস্তাধস্তি হয়। এতে ফয়জুল্লাহ মাটিতে পড়ে মারা যান। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ না থাকায় ভয় পেয়ে যান আমেনা বেগম ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আনু বেগম। তারা দু’জন পরামর্শ করে মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য ব্লেড দিয়ে ফয়জুল্লাহের গলায় সামান্য কেটে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ফয়জুল্লাহের মরদেহ হেফাজতে নেয় এবং আমেনা বেগম ও আনু বেগমকে আটক করে।

ওসি বাবু কুমার সাহা বলেন, ঘটনার পারিপার্শিকতা দেখে মনে হয়েছে যে আমেনা বেগম স্বামীর বাড়ি যেতে না চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ফয়জুল্লাহ আগে থেকেই হৃদরোগী ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে। মাটিতে পড়ে মারা যাওয়ার পর ব্লেড দিয়ে তার গলা সামান্য কেটে দেয়া হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গলায় যে পরিমাণ কাটা দাগ রয়েছে তাতে গলা কাটার কারণে মৃত্যু হয়নি। তারপরেও গলায় কাটা দাগ থাকায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

জমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

Published

on

পাবনা চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই বোন হলেন মিম (২০) ও লাম (২০)। তারা পৌর সদরের আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে।

আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২)। তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।

চাটমোহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত দুই বোনের পিতা রেজাউল করিম রিজু।

Advertisement

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে  লাম তাকে গিয়ে বলে গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার জমজ বোন মিম এগিয়ে আসলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পায়েল ও তার বাবা-মা মিলে জমজ দুই বোনকে বেধরক মারধর করে।

পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চাটমোর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল বলেন, আমার মায়ের সাথে ওরা দুই বোন মারামারি করছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম। আমি তাদেরকে মারিনি। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে আমাকে ফাঁসানোর জন্য।

চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ হয়েছে। সন্ত্রাসিমূলক কর্মকাণ্ডের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।

Advertisement

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, বিষয়টি এখনো আমি জানিনা। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং  আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version