Connect with us

দেশজুড়ে

মাছ ধরার সময় পেটে ঢুকে যাওয়া কুঁচিয়া জীবন্ত মিললো অপারেশনে

Published

on

সিলেটে মাছ ধরার সময় পায়ুপথে জীবন্ত কুঁচিয়া ঢুকে যায় এক জেলের পেটে। অপারেশন করে ২৫ ইঞ্চি লম্বা ওই কুঁচিয়া যখন বের করা হয়, তখনও সেটি জীবন্ত ছিলো।

গত রোববার (২৪ মার্চ) রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে এ অপারেশন করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ এর প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলম।

ডা. কাজী জানে আলম জানান, রোববার ওই রোগী হাসপাতালে এসেছিলো। লোকটি মাছ ধরতে পানিতে নামলে তার পায়ুপথ দিয়ে জ্যান্ত একটি কুঁচিয়া মাছ ঢুকে যায়। রোগীর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিওমেক হাসপাতালে রাত সাড়ে দশটার দিকে অস্ত্রোপচার করা হয়, অস্ত্রোপচার চলে রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। পরে ২৫ ইঞ্চির কুঁচিয়া মাছটি পেট থেকে বের করা হয়।

হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, ২৩ মার্চ নিজ এলাকায় হাওরে মাছ ধরতে যান জেলে সমরা মুন্ডা। দুই হাতে দুটি কুঁচিয়া থাকা অবস্থায় তিনি কাদামাটিতে আটকে পড়েন। এসময় হাতে থাকা একটি কুঁচিয়া তার প্যান্টের ভেতরে ঢুকে যায়। আরেকটি কাদায় পড়ে। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ুপথে কিছু ঢুুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে বাড়িতে চলে যান। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করেন। একপর্যায়ে পেটব্যথা প্রকট আকার ধারণ করায় তিনি স্থানীয় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও কোনো সমাধান না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

চিকিৎসরা জানিয়েছেন, জীবন্ত কুঁচিয়া সমরা মুন্ডার পেটের ভেতরে ছিদ্র করে ফেলেছিলো। যে কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে ছিলেন রোগী। এ ধরনের ঘটনা বিরল ও অবিশ্বাস্য বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Advertisement

উল্লেখ্য,অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে  অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।

 

জাতীয়

সামনের সময় আরও চ্যালেঞ্জের : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Published

on

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। অনেকের মধ্যে কিছু ক্ষত থাকে। এগুলো সহ্য করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দল হলো আমার প্রধান শক্তি। আমাদের মূল বাধা অতিক্রম করতে হলে দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। সামনের সময় আরও চ্যালেঞ্জের। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বন্ধ হয়নি। দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে আছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা প্রয়োজন। বললেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের নিজ বাসভবনে দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেলদুয়ার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে আহসান ইসলাম টিটু বলেন, সামনে বৃষ্টি, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশ মেলে চলবেন। উন্নয়ন জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাজ। জনগণের কাছে যেতে হবে বারবার, কিন্তু জয় জনগণের ভোটের মাধ্যমেই হয়, জনগণের রায়ে হয়। সেই রায় মেনে আমাদের রাজনীতি করতে হবে, শিক্ষা নিতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।

টিটু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল নির্বাচন উৎসবমুখর করার। যারা নেত্রীর কথায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদের অভিনন্দন। সামনে অনেক কাজ। যারা জয়ী হয়েছে তাদের এখন দায়িত্ব উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে দেলদুয়ারকে একটা উন্নয়নের রোল মডেল করা। আমার তরফ থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব পাশে থাকার। পাথরাইলে আমরা একটা পৌরসভা করব। কাগজপত্র মন্ত্রীর কাছে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব পৌরসভার ডিক্লারেশন পাব।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে ভোটার আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। দুর্বল জায়গাগুলো শক্তিশালী করতে হবে। আমি কোনো প্রতিহিংসা দেখতে চাই না। দলের ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। মনে রাখতে হবে- আওয়ামী লীগে যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক, তারা বারবার পরীক্ষা দিই। পরীক্ষা দিয়ে পাস না করলেও আবার পরীক্ষা দেয়া লাগে। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

পহেলা জুন থেকে বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার

Published

on

পহেলা জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবনের দুয়ার। এ সময় সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট। সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ও বনে প্রাণীদের বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় সরকারি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় সকলের জন্য সুন্দরবনের দুয়ার খুলে দেয়া হবে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল শনিবার (১ জুন) থেকে তিন মাসের জন্য জেলে-বাওয়ালিদের সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পর্যটকরাও এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত। ২০২১ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ সময় পর্যটক প্রবেশ, সাধারণ মানুষের চলাচলসহ সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।

খুলনার বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে ২০২১ সাল থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সকল ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরেও এটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মূলত সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্রসহ মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এই তিন মাস ব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে।

এদিকে তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ। এ সময় তাদের কোনো রোজগারের পথ থাকবে না।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে প্রবেশ তিন মাস বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে জেলেদের মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ৩ কারবারি আটক

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৩ হাজার ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ । এসময় এ কাজে জড়িত রোহিঙ্গাসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার (৩০মে) বিকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন এলাকার একটি বসতঘরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম ) মো. আবু সালাম চৌধুরি।

আটককৃতরা হলো, মিয়ানমার আকিয়াব জেলার ছেক্কাইম থানার ডেবাইং গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে রোহিঙ্গা নাগরিক কাশিম (২০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাবির ছড়া গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে আব্দুল মতলব (৪৫), টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়ার মো. সৈয়দুল হকের ছেলে মো. আয়াছ (১৯)।

আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ হাবির ছড়া এলাকার জনৈক আব্দুল মতলবের পাকা বসতঘরের ভিতর ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক কারবারি অবস্থান করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে (৩০ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে র‍্যাবের অভিযানিক দল উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মাদককারবারিরা ঘর থেকে বেরিয়ে পলায়নের চেষ্টাকালে এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের দেহ ও বসতঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে থাকা একটি সাদা রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর হতে ৩৩,৪০০ ইয়াবা, ভেঙ্গে যাওয়া ইয়াবা ৩৫০ গ্রাম এবং ৩টি স্মার্ট ও ১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত কাশিম পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক ও একজন মাদক কারবারি। জিজ্ঞাসাবাদে সে বাংলাদেশে বসবাসের অবস্থান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসের এফসিএন কার্ড কিংবা এমআরসি কার্ড নাই বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আটককৃত মাদক চক্রটি একে অপরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত।

গ্রেপ্তারকৃত কাশিম মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বহন করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।সেসব মাদক আব্দুল মতলব ও মো. আয়াছ এর নিকট সরবরাহ করতো। পরবর্তীতে তারা পরস্পর যোগসাজশে মিয়ানমার হতে সংগ্রহকৃত মাদক স্থানীয় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয়সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরি জানান, উদ্ধারকৃত মাদকসহ আটককৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version