টুকিটাকি
‘কালো’ টাকা ধুয়ে ‘সাদা’ করতে রাখা হয় ওয়াশিং মেশিনে!
লোকসভা ভোটের মুখে ‘টাকার খেলা’ রুখতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জায়গায় ইডির হানায় উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকা ‘দাবিহীন’ নগদ। অর্থাৎ, যে টাকা নিজের বলে দাবি করেননি কেউ। এমন কি ওয়াশিং মেশিনে ঠাসা নোটের বান্ডিলও উদ্ধার করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, মোট দুই কোটি ৫৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওয়াশিং মেশিনে।
মঙ্গলবার ইডির পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ‘ক্যাপ্রিকর্নিয়ান শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং তার ডিরেক্টর বিজয়কুমার শুক্ল এবং সঞ্জয় গোস্বামীর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুাম্বই, কুরুক্ষেত্র এবং কলকাতায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি। এ ছাড়াও আরও একাধিক সংস্থা এবং ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টরদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
সূত্রের খবর, ইডি জানতে পেরেছে, ওই সংস্থাগুলির বিদেশি কোনও সংস্থার সঙ্গে ১৮০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। অথচ, আদতে তা ছিল পুরোটাই ভুয়ো। এই তদন্তে নেমে মঙ্গলবার ইডি দিনভর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই অভিযানেই ২ কোটি ৫৪ লাল টাকা দাবিহীন নগদও বাজেয়াপ্ত করা হয়। উদ্ধার হওয়া টাকার একটি বড় অংশ গচ্ছিত ছিল ওয়াশিং মেশিনে। তবে, ওয়াশিং মেশিনটি ঠিক কোথায় ছিল তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি ইডি।
টুকিটাকি
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
নিজের মা, তিন সন্তান ও স্ত্রীকে খুন করার পর আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। মাকে গুলি করে, স্ত্রী হাতুড়ি দিয়ে আর তিন সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করেন ওই ব্যক্তি। শনিবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর এলাকার এক গ্রামে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, লখনউ থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে সীতাপুরের পালহাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন অনুরাগ সিংহ। তিন সন্তান, স্ত্রী এবং মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। নেশাগ্রস্থ অনুরাগ মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রায়ই কোনও না কোনও কারণ নিয়ে স্ত্রী-মায়ের সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত তার। স্বামীর নেশা ছাড়াতে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠাতে চেয়েছিলেন অনুরাগের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু অনুরাগ রাজি না হওয়ায় দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হত।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঝামেলার মধ্যেই স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করেন অনুরাগ। তার পর নিজের মা সাবিত্রীকে গুলি করেন। শেষে তিন সন্তানকে ছাদে নিয়ে গিয়ে নীচে ছুড়ে ফেলে দেন অনুরাগ। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসায় মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হন অনুরাগ।
একই পরিবারের ছজনের এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে। পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ অফিসার চক্রেশ মিশ্র জানান, ‘ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে এসেছে। আমরা ঘটনার সব দিক তদন্ত করে দেখছি।’ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। অনুরাগের কাছে কীভাবে ওই পিস্তল এলো, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসার।
জেএইচ
টুকিটাকি
‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ নামের যে ড্রাগ বাংলাদেশে অভিনব প্রতারণায় ব্যবহার হচ্ছে
ঢাকার তাহমিনা বেগম (ছদ্মনাম) কিছুদিন আগে ‘অদ্ভূত’ এক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার সময় হঠাৎ তার পথ আগলে দাঁড়িয়েছিলেন অপরিচিত এক নারী। তার প্রায় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সেই নারী জানতে চান কোনো একটি ঠিকানা।
এরপরই সামনে আসে আরেক যুবক। মাত্র দুই/তিন মিনিট কথার পরই কী যেন হয়ে যায় তাহমিনার।
তাহমিনা বলছিলেন, ‘ব্যাপারটা অদ্ভূত এবং ভয়ংকর। লোকটা আমার কাছে জানতে চায় এলাকায় পরিচিত কোনো গরীব কিংবা এতিম কেউ আছে কি না। সে তাকে সাহায্য করবে। এরকম একটা গরীব পরিবার ছিল আমার বাড়ির কাছে। তাই আমি বিস্তারিত জানতে চাই। ওদের সঙ্গে কথা বলি কয়েক মিনিট। এরপরই কী যেন হয়ে গেলো, আমার আর বুদ্ধি কাজ করছিলো না।’
একপর্যায়ে তাহমিনা বেগম অপরিচিত ঐ নারী ও যুবকের কথা মতো তার কানের দুল, গলার চেইন এবং সঙ্গে থাকা কয়েকহাজার নগদ টাকা তুলে দেন।
তাহমিনা বলেন, ‘ওরা বললো আন্টি আপনার গয়না আর টাকাগুলো ব্যাগে রাখেন। নইলে হারিয়ে যেতে পারে। আমি ঠিক সেটাই করলাম। আমার মাথায় আসলো না যে কেন আমি এগুলো খুলবো, কেন হারিয়ে যাবে বা কেন ব্যাগে রাখবো? তারপর ছেলেটা বললো আমার সঙ্গে আসেন। আমি তখন ব্যাগটা মেয়েটার কাছে দিয়ে ছেলেটার পেছনে হাঁটতে শুরু করি।
কিছুদূর হাঁটার পরই তাহমিনা বেগমের সম্বিত ফিরে আসে। কিন্তু তখন ছেলেটাকে আর দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। ফেরত এসে মেয়েটাকেও আর পাননি। সেদিনের সেই ঘটনায় তার সোয়া ভরি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, নগদ টাকা এবং মোবাইল খুইয়ে আসেন তিনি।
‘আমি এখনও বুঝতে পারি না কীভাবে কী হয়ে গেলো। ওরা আমাকে কিছুই করেনি। শুধু কাছাকাছি ছিল এবং মেয়েটা মুখের সামনে হাত নেড়ে একটা ঠিকানা জিজ্ঞেস করেছিলো।’
তাহমিনা বেগম যে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেকেই এমন ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এর পেছনে কারণ হিসেবে উঠে আসছে স্কোপোলামিন নামে একটি ড্রাগের কথা।
বলা হচ্ছে, এটা তরল কিংবা পাউডার দুই ধরনেই পাওয়া যায়। অপরাধের ক্ষেত্রে এই ড্রাগ কাগজ, কাপড়, হাত এমনকি মোবাইলের স্ক্রিনে লাগিয়েও এর ঘ্রাণ দিয়ে কিছু সময়ের জন্যযে কারো মানসিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া সম্ভব।
কিন্তু বাস্তবে আসলেই কি এমন কোনো ড্রাগ আছে? আর থাকলেও এটা বাংলাদেশে ব্যবহার হচ্ছে কি না সেটাই বা কতটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে?
বাংলাদেশে স্কোপোলামিন ব্যবহারের প্রমাণ কী?
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একটি বেসরকারি বিশ্ববদ্যিালয়ের শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। সেই হত্যার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছিলো। পরে আরো একজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
এদের মধ্যে একজনের কাছে প্রথমবারের মতো স্কোপোলামিন পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
বোতলের ভেতর সাদা পাউডার আকারে কয়েক গ্রাম স্কোপোলামিনসহ আরো কয়েক ধরনের মাদক জব্দ করা হয়।
পরে আদালতের আদেশ নিয়ে সিআইডি’র ল্যাবে টেস্ট করার পর সেখানে স্কোপোলামিন শনাক্ত হয়।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বিবিসি বাংলাকে বলেন, শুরুতে এই স্কোপোলামিন সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না তাদের।
‘রাসায়নিক পরীক্ষার যে রিপোর্টটা আমরা পেয়েছি সেই রিপোর্টে কিন্তু স্কোপোলামিন, পটাশিয়াম সায়ানাইড ও ক্লোরোফর্ম শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্কোপোলামিন ছিল আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। এই নাম, এর ব্যবহার, কোন কোন ক্ষেত্রে এটা কাজে লাগানো হতে পারে সেটা আমরা জানতাম না। পরে এটা নিয়ে স্টাডি করে আমরা জানতে পারি যে, এটাকে আসলে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ বলে অনেকে।’
মি. মোস্তফা জানান, তারা এখনও পর্যন্ত তদন্তে যেটা পেয়েছেন সেটা হচ্ছে এই ড্রাগ কুরিয়ারের মাধ্যমে এবং বিভিন্নভাবে চোরাকারবারিরা দেশে আনছে।
ধুতরার ফুল থেকে স্কোপোলামিন বানায় কারা?
স্কোপোলামিন মূলত একটি সিনথেটিক ড্রাগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওষুধ তৈরিতে এর ব্যবহার আছে। বমি বমি ভাব, মোশন সিকনেস এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন পরবর্তী রোগীর জন্য ওষুধে এর ব্যবহার আছে।
তবে এটা প্রাকৃতিক কোনো উপাদান নয়। বরং প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে আরো কিছু যোগ করে কৃত্রিমভাবে স্কোপোলামিন তৈরি করা হয়। এটা তরল এবং পাউডার দুই রূপেই পাওয়া যায়।
তবে এর গুরুত্বপূর্ণ বা মূল উপাদান আসে ধুতরা ফল থেকে।
‘আমাদের দেশে একসময় মানুষকে পাগল করে দেয়ার জন্য দুধের মধ্যে ধুতরা বেটে খাইয়ে দেয়া হতো। ধুতরা ফুল কিন্তু একটা বিষ। ঐ ধুতরা থেকে উপাদান নিয়ে সিনথেটিক্যালি এটা বানানো হয়েছে। মেক্সিকোর যে মাদক চক্র আছে, তারা এই মাদকটা বানিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে,’ বলছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা।
স্কোপোলামিন কখন, কীভাবে কাজ করে?
স্কোপোলামিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে ব্যবহারের নজির আছে। তখন এর ব্যবহার হতো লিকুইড হিসেবে, ইনজেকশনের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সায়েদুর রহমান বলেন, ওষুধ হিসেবে স্কোপোলামিনের ব্যবহার এখনও আছে।
‘এটা এবং এর মতো আরো বেশ কিছু ওষুধ চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহার করা হয়। এটা সত্য। স্কোপোলামিন প্রথম দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েন্দা জ্ঞিাসাবাদের ক্ষেত্রে ‘ট্রুথ সেরাম’ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। অর্থাৎ এটা যদি ইনজেক্ট করে দেয়া হয় তাহলে সে সত্য কথা বলতে শুরু করে। কারণ তার মগজের উপর নিজস্ব যে নিয়ন্ত্রণ সেটা চলে যায়। সে তখন অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, অন্যের কথা শুনতে থাকে।’
‘যখন আপনি কথা বলানোর জন্য ব্যবহার করছেন তখন এটা ট্রুথ সেরাম। যখন আপনি পাউডার ফর্মে নিঃশ্বাসের জন্য ব্যবহার করছেন তখন এটা ‘ডেভিলস ব্রেথ’। আর যখন এটা বমি অথবা মোশন সিকনেসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন তখন এটা আসলে মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে,” বলছিলেন মি. রহমান।
স্কোপোলামিন মূলত পাউডার হিসেবে প্রতারণার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ভিজিটিং কার্ড, কাগজ, কাপড় কিংবা মোবাইলের স্ক্রিনে এটি লাগিয়ে কৌশলে টার্গেট করা ব্যক্তিদের নিঃশ্বাসের কাছাকাছি আনা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলছিলেন, স্কোপোলামিন মানুষের নাকের চার থেকে ছয় ইঞ্চি কাছাকাছি আসলেই নিঃশ্বাসের আওতায় আসে।
‘এটা নিঃশ্বাসের সঙ্গে ঢুকলেই মাত্র ১০ মিনিট বা তারও আগে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। মেমোরি আর ব্রেন তখন সচেতনভাবে কাজ করতে পারে না। কারো ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হতে এক ঘণ্টা লাগে। আবার কেউ তিন/চার ঘণ্টার মধ্যেও স্বাভাবিক হতে পারে না।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করছে?
বাংলাদেশে শুরুতে ঢাকায় পাওয়া গেলেও পরে স্কোপোলামিন ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও।
যদিও এমন ঘটনার নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই পুলিশের কাছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে মাদক কারবারীরা স্কোপোলামিন আনছে সেটিও একটা বড় প্রশ্ন।
নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর গোয়েন্দারা তথ্য পান স্কোপোলামিন অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। মূলত যে দু’জন আটক হয় তারা অনলাইনে বিক্রির সঙ্গেই জড়িত বলে জানাচ্ছে পুলিশ। আর এগুলো আসছে মূলত দেশের বাইরে থেকে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিস। তবে ওষুধের কাঁচামাল হিসেবেও আইনের ফাঁক গলিয়ে কেউ স্কোপোলামিন আনছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর বিবিসি বাংলাকে বলেন, যারা এমন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেপ্তারে কাজ করা হচ্ছে।
‘আমরা ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। নারায়ণগঞ্জেও এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছে যে তথ্য পেয়েছি, সেগুলো আমরা বিশ্লেষণ করছি। তাদের সঙ্গে আরো কারা জড়িত সেগুলো বের করা এবং আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চলছে।’
তবে এর মধ্যেও স্কোপোলামিন ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ আসছে, যেখানে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ভয়ের জায়গা এটাই।
(এটি বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন)
জেএইচ
টুকিটাকি
যৌন সম্পর্কের জন্য প্যারোলে মুক্তি চেয়েছিলেন বন্দী, আদালত যা বললেন
কারাগারে বন্দী আসামি চিকিৎসা বা কোনও নিকট আত্মীয় মারা গেলে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দেয়ার রেওয়াজও রয়েছে। কখনও কি শুনেছেন শুধুমাত্র দাম্পত্য কিংবা যৌন সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজনে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করতে?
হ্যাঁ, ঘটনাটি এরকমই। সম্প্রতি তার সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সন্তানধারণের প্রয়োজনে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন ওই বন্দী। পরে আদালত জানিয়ে দিলেন- লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতার প্রয়োজনে কোনও দোষীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া যাবে না। শুধুমাত্র দাম্পত্য কিংবা যৌন সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজনে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া কোনও ব্যক্তিকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার আইন নেই। স্ত্রী এবং লিভ-ইন সঙ্গী— উভয়ের ক্ষেত্রেই নিয়ম সমান। ঘটনাটি ভারতে। একটি মামলায় এমনটাই জানালো ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট।
গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন জেল খাটছেন আসামি। যদিও আবেদনে সঙ্গীকে তিনি স্ত্রী হিসেবেই দাবি করেছিলেন। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তির আইনত বৈধ স্ত্রী রয়েছেন। তিন সন্তানও রয়েছে তাদের। এর পরেও এক মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার। সেই সঙ্গীকেই পরিবার হিসাবে দেখাতে চেয়েছিলেন।
আদালতে ওই ব্যক্তির তরফে জানানো হয়, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সন্তানধারণ তার মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। স্বামী দোষ করেছেন বলে তার স্ত্রীকে ওই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। আদালত শুনানি চলাকালীন জানতে পারে, ওই মহিলা আদৌ ব্যক্তির স্ত্রী নন। আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদও হয়নি। এর পরেই বিচারপতি স্বরণকান্ত শর্মার পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভারতীয় আইন কোনও ব্যক্তিকে দাম্পত্য সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য প্যারোলের অনুমতি দেয় না। লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে তো একেবারেই নয়। ব্যক্তির স্ত্রী জীবিত থাকতে লিভ-ইন সঙ্গী সন্তানধারণের মৌলিক অধিকারও দাবি করতে পারেন না। তিনি আইনত ওই ব্যক্তির ‘পরিবারভুক্ত’ নন।’
আদালত এ-ও জানায়, যদি এই মামলাটিতে প্যারোলের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে আগামী দিনে ভূরি ভূরি এমন আবেদন জমা পড়বে। সব বন্দিই লিভ-ইন সঙ্গী জোগাড় করে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। সকলকেই সে ক্ষেত্রে প্যারোলের অনুমতি দিতে হবে। যা সম্ভব নয়। তাই এই আবেদন খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
জেএইচ
-
জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ7 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়7 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
চট্টগ্রাম2 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত