Connect with us

বাংলাদেশ

বান্ধবীর কাছে হিরো সাজতে শিক্ষককে খুন (ভিডিও)

Published

on

আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন উৎপল কুমার সরকার (৩৫)। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি থাকায় শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম, ইভটিজিং, ধূমপানসহ শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত বিষয়গুলোও দেখভাল করতেন তিনি। আর তাই দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতুর উশৃঙ্খল আচরণের জন্য তাকে শাসন করেছিলেন উৎপল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জিতু শিক্ষক উৎপল কুমারকে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

বান্ধবীর কাছে হিরোইজম দেখাতে গিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা করে জিতু, জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব)।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১ এবং র‌্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিতু দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে শিক্ষা জীবনে বিরতি দিয়ে প্রথমে স্কুল, পরে মাদ্রাসা ও সর্বশেষ পুনরায় স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলে সবার কাছে একজন উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল জিতু। সহপাঠিদের সঙ্গে প্রায়ই সে মারামারি করত এবং ছাত্রীদের ইভটিজিং করত। স্কুল প্রাঙ্গণে সবার সামনে ধূমপান, স্কুল ইউনিফর্ম ব্যতিত স্কুলে আসা-যাওয়া, মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। স্কুলের পরিবেশ নষ্টের জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

মঈন বলেন, জিতু এলাকার কিশোরদের কাছে ‘দাদা’ হিসেবে পরিচিত ছিল। তার নেতৃত্বে এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে তোলে। বিভিন্ন সময় গ্যাং সদস্যদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে যত্রতত্র আধিপত্য বিস্তার করত। পরিবারের কাছে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে জিতু তার গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হতো ও বিভিন্ন সময় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে হামলা ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে শোডাউন দিতো।

Advertisement

র‌্যাব জানায়, স্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে জিতু অযাচিতভাবে ঘোরাফেরা করলে বিষয়টি শিক্ষক উৎপলের নজরে আসে। তিনি জিতুকে বারণ করলে সে শিক্ষকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। ওই ছাত্রীর কাছে নিজের হিরোইজম প্রদর্শন করার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গেলো ২৫ জুন একটি ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প স্কুলে নিয়ে আসে এবং তা শ্রেণি কক্ষের পেছনে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে কলেজ মাঠে ছাত্রীদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন মাঠের এক কোণে শিক্ষক উৎপল কুমারকে একা পেয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক আঘাত করতে থাকে। জিতু শিক্ষককে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে এবং পরবর্তীতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতরভাবে জখম করে।

এরপর গেলো ২৭ জুন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার।

এ ঘটনায় গেলো ২৬ জুন উৎপলের ভাই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জিতুকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়াও কয়েকজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

মামলার পর গেলো মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে কুষ্টিয়া থেকে অভিযুক্ত জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতেই তাকে আশুলিয়া থানায় আনা হয়। এরপর তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Advertisement

অনন্যা চৈতী

জাতীয়

ইউএএল’র সম্মানসূচক ডক্টরেট ফিরিয়ে দিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

Published

on

আলোকচিত্র এবং আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালের ৭ জুলাই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমকে। ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের (ইউএএল) দেয়া সেই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ফিরিয়ে দিয়েছেন এই আলোকচিত্রী।

ড. শহিদুল আলমকে ইউএএল থেকে ফটোগ্রাফি ও অ্যাক্টিভিজম ক্যাটাগরিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একটি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৮ জুলাই লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভাল হলে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি।

এ আলোকচিত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ওই সময় আর্ট ও ডিজাইনের জন্য ইউএএল ছিল বিশ্বের শীর্ষ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। ডিগ্রিটি আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে ইউএএল’র চ্যান্সেলর গ্রেসন পেরি থেকে গ্রহণ করেছিলাম। কেননা, ওই সময় একাডেমিক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি ইউএএল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পান জেমস পুরনেল নামের একজন স্বীকৃত জায়নবাদী। আর ইউএএল’র শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রদর্শন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দেশটিতে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানানোর দাবিতে ব্রিটেনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বলেও আশ্বস্ত হয়েছিলাম। তবে এই স্বস্তি কেটে যায়, যখন দেখতে পাই ইউএএল প্রশাসন, বিশেষ করে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে অনেক অনেক দূরে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, তাদের ছকে ফেলা হচ্ছে এবং তারা উপেক্ষিত।

শিক্ষার্থীরা আরও বলছে, পুমা, করনিট, এলভিএমএইচ, ল’রিয়েলসহ ইসরায়েল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড লিমনোলজিক্যাল রিসার্চ, শেনকার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বেজালেল একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড ডিজাইনসহ বিভিন্ন ইসরায়েলি বা এ দেশটির অনুষঙ্গী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউএএল ইসরায়েলের দখলদারিত্ব, বর্ণবাদ এবং চলমান গণহত্যার অংশীদার। আর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির এই অংশীদারত্বের অবসান দাবি করছে।

Advertisement

ড. শহিদুল আলম বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সঙ্গে কোনোভাবেই আমি যুক্ত থাকতে চাই না। এলসিসির ডিন অব মিডিয়া স্টিফেন ক্রসকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সম্মানসূচক ডক্টরেটটি ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এ আলোকচিত্রী।

প্রসঙ্গত. ড. শহিদুল আলম দৃক পিকচার লাইব্রেরি, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও মেজরিটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৩ সালে লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজ থেকে জৈব রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন এই আলোকচিত্রী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২   

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (২ জুন) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময়  ২২১ পিস ইয়াবা, ২৪ গ্রাম হেরোইন ও ৫২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালু করতে কাজ করছে সরকার : প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

Published

on

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে সরকার আশাবাদী। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বলেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন কর্মী মালয়েশিয়া গেছেন। ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। তবে বায়রার কাছে লিস্ট চাওয়া হলেও তারা দেয়নি। এ বিষয়ে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে। অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুব কমিটির প্রধান। যারা দোষী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিমান ভাড়া বেশি নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সিন্ডিকেটে সরকারের আস্থা নেই উল্লেখ করে বলেন, সব এজেন্সি যেন কর্মী পাঠাতে পারে সেটা চায় সরকার। তবে যে দেশ নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবে। তাদের টাকা ফেরত দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version