Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভোর না হতেই গুলির শব্দে কাঁপলো কলকাতা বিমানবন্দর

Published

on

নেতাজি-সুভাষ-চন্দ্র-বসু-আন্তর্জাতিক-বিমানবন্দর

ভোরের আলো ফোটার কিছুক্ষণ পরেই গুলির শব্দে কেঁপে উঠলো কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। হঠাৎ বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছ থেকে গুলির শব্দ আসে। এতে হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, কর্তব্যরত এক সিআইএসএফ জওয়ান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। তিনি নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে খবর পুলিশ। চিনার পার্কের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহত ওই জওয়ানকে। তার নাম সি বিষ্ণু (২৫), বাড়ি তেলঙ্গানায়। ২০২২ থেকে সিআইএসএফ-এ কর্মরত তিনি।

জানা যায়, এদিন ভোর ৫টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরের ৫ নম্বর গেটের ওয়াচ টাওয়ার থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে যান সেদিকে।

সিআইএসএফ জানিয়েছে, কর্মীরা টাওয়ারে উঠে দেখেন তাদের এক সহকর্মী মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। পাশেই পড়ে রয়েছে তার সার্ভিস রাইফেল। দ্রুত ওই রক্ষীকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

সিআইএসএফ কর্মীরা জানিয়েছেন, বিষ্ণুর গলায় গুলি লেগেছে। তিনি সার্ভিস রাইফেল থেকে নিজের থুতনির নিচে গুলি চালিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে ওই জওয়ানের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কর্তব্যরত অবস্থায় সিআইএসএফ জওয়ানরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। তবে বিষ্ণুর মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে তিনি হতাশ ছিলেন কি না, কিংবা অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক

ইরান সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর গুলিতে ৪ পাকিস্তানি নিহত

Published

on

পাকিস্তানীদের বহন করা একটি গাড়িতে ইরানের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পাকিস্তানের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে, বুধবার (২৯ মে) পাকিস্তানের বেলুচিস্তান রাজ্যের মাসকেল গ্রামের সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

রাজ্য সরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাহেবজাদা আসফান্ড বলেন, ইরানের সীমান্ত রক্ষাবাহনী কী কারণে ওই গাড়িতে গুলি চালিয়েছে তা জানা যায়নি।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিহত চারজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে পাকিস্তান এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দুই দেশের নিরাপত্তাবাহিনী এই অঞ্চলে চোরাচালান এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য প্রায়ই অপারেশন পরিচালনা করে। এ বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ইরানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় এতে নয়জন নিহত হয়। ইরানও পাকিস্তান সীমান্তে প্রায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

মিসর-গাজার পুরো সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নিলো ইসরায়েল

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড ও মিসর সীমান্তের মধ্যকার কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সীমান্ত বরাবর অবস্থিত এই এলাকাটি একটি বাফার জোন এবং এটি ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত। এই অঞ্চলটি দখলে নেয়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ পেল ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৯ মে) দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ড এবং মিসরের মধ্যে সীমান্ত বরাবর অবস্থিত একটি বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমগ্র স্থল সীমান্তের ওপর কার্যকর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করল ইসরায়েল।

বুধবার রাতে ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরু ফিলাডেলফি করিডোরের ‘অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে নিয়েছে। মিসর এবং গাজার মধ্যে অবস্থিত এই বাফার জোনটি ১৯৭৯ সালের ইসরায়েল এবং মিসরের মধ্যে শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, আমাদের বাহিনী ফিলাডেলফি করিডোরের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।’

Advertisement

ওই মুখপাত্র বলেছেন, সেখানে তারা এমন বিশটির মতো টানেল খুঁজে পেয়েছে যা হামাস অস্ত্র চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করতো।

যদিও মিসরীয় টেলিভিশনে একটি সোর্সকে উদ্ধৃত করে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে নিজেদের সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝানোর চেষ্টা করছে।

মূলত ইসরায়েলের ঘোষণাটি এমন সময় এলো যখন মিসরের সাথে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র এই করিডোরকে হামাসের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার দাবি, এই পথে হামাস নিয়মিত গাজা উপত্যকায় অস্ত্র আনার কাজ করে। তিনি বলেন, সৈন্যরা ‘অনুসন্ধান করে দেখছে …. এবং ওই এলাকার টানেলগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করার’ কাজ করছে।

যদিও সবগুলো টানেল মিসরের সাথে গিয়ে যুক্ত হয়েছে কি না তা তিনি নিশ্চিত নন বলে ওই মুখপাত্র পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

Advertisement

এদিকে মিসরের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে আল কাহেরা নিউজ বলেছে ‘রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধকে প্রলম্বিত করা এবং ফিলিস্তিনি শহর রাফাতে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য ইসরায়েল এসব অভিযোগ ব্যবহার করছে।’

প্রসঙ্গত, তিন সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি সেনারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর আগে চলতি সপ্তাহে রাফার কাছে সীমান্ত এলাকায় মিসর ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় এক মিসরীয় সৈন্যের মৃত্যু হয়।

মিসর ফিলিস্তিনের শক্তিশালী সমর্থক এবং গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।

উল্লেখ্য, ফিলাডেলফি করিডোর একটি বাফার জোন বা নিরাপদ অঞ্চল, যা মাত্র একশ মিটার প্রশস্ত। আর মিসর সীমান্ত থেকে গাজার দিকে ১৩ কিলোমিটারের মতো। মিসর এর আগে বলেছে, তারা আন্তঃসীমান্ত (উভয় সীমান্তের সাথে সংযুক্ত) টানেলগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে এগুলোর মাধ্যমে অস্ত্র চোরাচালান অসম্ভব।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তবে জাতিসংঘের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ পরিষদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে মিলিত হবে। এরপর রাইসিকে নিয়ে তারা বক্তৃতা দিবেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ‘আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাইসিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি না।’

তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ীর উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

Advertisement

গেলো ১৯ মে আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতিসংঘের উচিত ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ওপর দমন পীড়ন করা কোনো নেতার স্মৃতিচারণ করা উচিত হয়।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version