Connect with us

ঢাকা

দেড় মাস বয়সের সেই শিশুটি ৫০ বছর পর মায়ের কোলে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

নিজের শিশু সন্তান। মা ফিরোজা বেগম তার নাম রাখেন মৌসুমী।তবে  আর্থিক অভাব অনটন ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাত্র দেড় মাস বয়সে মৌসুমীকে মোহাম্মাদপুরের সমাজ কল্যাণ পরিচালককের কাছে দত্তক দেন। ওইসময় মায়ের কোল থেকে নরওয়ে যেতে বাধ্য হয় মৌসুমী। তারপর এলিজাবেথ ফিরোজা নামে একটি পরিবারে বড় হতে থাকেন। একসময় বিয়ে করে সংসারী হন নরওয়েতে। স্বামী-সন্তান ও নাতিদের নিয়ে দিন কাটালেও নিজের অস্তিত্ব নিয়ে বেদনা অনুভব করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিকড়ের সন্ধানে বাংলাদেশে আসেন মায়ের খোঁজে। আর দীর্ঘ ৫০ বছর পর ফিরে পান নিজের মা ফিরোজা বেগমকে।

এই অভাবনীয় ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নের পোদ্দারচর গ্রামে। বৃহস্পতিবার(২৮ মার্চ)পোদ্দারচর গ্রামের সরদার বাড়িতে দেখা মিলে মা ও মেয়ের। শুরু হয় দুজনের অসাধারণ এক যাত্রার। মা ফিরে পান বুকের মানিক হারানো সন্তান। আর এলিজাবেথ পান তার মাকে। আনন্দে দুজনই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জন্মদাত্রী মাকে খুঁজে পেতে এলিজাবেথের এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে একটি গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে চলে আসেন মাদবরচর গ্রামের তারই বংশের একমাত্র ভাতিজা সেলিম সরদারের বাড়িতে এলিজাবেথ ফিরোজা ও তার জীবনসঙ্গী স্বামী হ্যানরি।

জন্মদাত্রী মাকে খুঁজে পেতে এলিজাবেথের এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। সম্প্রতি নরওয়ে থেকে শেকড়ের খোঁজে বাংলাদেশে আসেন এলিজাবেথ ফিরোজা। শুরু করেন মাকে খুঁজে পাবার এক অসম্ভব লড়াই। সে লড়াইয়ে সফলতা পান ৫০ বছর পর। এলিজাবেথ এর আগেও ২০১৩ সালে নাড়ির টানে এসেছিলেন বাংলাদেশে।

বৃহস্পতিবার সকালে একটি গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে চলে আসেন মাদবরচর গ্রামের তারই বংশের একমাত্র ভাতিজা সেলিম সরদারের বাড়িতে এলিজাবেথ ফিরোজা ও তার জীবনসঙ্গী স্বামী হ্যানরি। শুরু হয় দুজনের অসাধারণ এক যাত্রার।

Advertisement

মায়ের বাড়িতে অসার সময় এালিজাবেথ তার মায়ের জন্য নতুন জামা-পায়জামা, কসমেটিক্সসসহ বিভিন্ন উপহার নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় একটি বাজার থেকে চাল, ডাল, চিনি, দুধ আটা ময়দা সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী কিনে দিয়ে যান। আর নরওয়ে থেকে মেয়ে এলিজাবেথ যেন তার মাকে দেখেতে পরেন সেজন্য একটি মোবাইল ফোন কিনে দেবেন বলে জানান। কিন্তু কেউই কারো মুখের ভাষা বুঝতে পারছেন না। কেবলই আবেগ অনুভূতি দিয়ে একে-অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয় সূত্র জানায়,  ১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় ননদের বাসায় শিবচরের মাদবরচর ইউনিয়নের পোদ্দারচর গ্রামের মৃত বছির সরদারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। নাম রাখেন মৌসুমী। সেই সময় ফিরোজা বেগমের আর্থিক অভাব অনটন ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৌসুমীকে মোহাম্মাদপুরের সমাজ কল্যাণ পরিচালককের কাছে দত্তক দেন।

এলিজাবেথের মা ফিরোজা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালে ওর বাবা মারা যান। তখন আমার মাথার ওপর কোনো ছায়া ছিল না। আত্মীয়স্বজন অনেকের বাড়ি বাড়ি ঘুরছি। কোনো কূলকিনারা পাই নাই; কিন্তু কোলের মানিক রাস্তায় ফেলে আসি নাই। রেখেছি সরকারের কাছে। বেঁচে থাকলে থাকলে একদিন দেখা পাবই। এক সময় আমার কোলে আসবে এটা বিশ্বাস তো ছিলই। সেই বিশ্বাসই তো আজ ৫০ বছর পর সত্যি ঘটল।

ছোটবেলা থেকে নরওয়েতে বড় হয়েছে উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে এলিজাবেথ ফিরোজা জানান, নরওয়ের বাবা-মা নাম রাখেন এলিজাবেথ। বড় হয়ে জানতে পারি আমার জন্ম বাংলাদেশে। মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তারপর থেকেই আমি ফিরাজো নামটাকে আমার নামের সঙ্গে যুক্ত করি। তবে ২২ বছর বয়সে প্রথম সন্তান প্রসবের পর ওই খানকার ডাক্তার আমার হিস্টরি জানতে চান। তখন থেকেই আমি আমার পরিবারকে খুঁজতে চেষ্টা করি। এ ব্যাপারে আমার স্বামী হ্যানরি ও সন্তানরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। সেখানে আমার ৩ ছেলে ও এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মায়ের সঙ্গে দেখা করে বিকালে আবার ঢাকায় ফিরে যান এলিজাবেথ ফিরোজা ও তার স্বামী হ্যানরি। আর মাকে বলেন, এখন থেকে সে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখবেন।

Advertisement

অপরাধ

ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র

Published

on

কুমিল্লার তিতাসে ক্লাস চলার সময় আতিকুর রহমান আতিক নামে এক শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল ও ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (১৯ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম সোলাইমান। সে উপজেলার মজিদপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক গণমাধ্যমকে জানান, স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির অভিভাবক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সোলাইমানের চাচা জসিম মিয়া সদস্য পদে চতুর্থ স্থান অর্জন করে নির্বাচিত হন। চাচা নির্বাচনে ভোট কম পেয়েছে কেন এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয় অভিযুক্ত ওই ছাত্র। এতে গণিত ক্লাস চলার সময় সহপাঠীদের সঙ্গে যারা ভোট দেয়নি তাদের মারধর করবে এমন বেফাঁস মন্তব্য করছিল। এ সময় কথা বলার কারণে ক্লাস নিতে সমস্যা হওয়ায় শিক্ষক আতিকুর রহমান তাকে কথা না বলার জন্য বলেন।

Advertisement

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সোলাইমান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় শিক্ষক তার চাচাকে ফোন দিতে গেলে সোলাইমান ওঠে এসে শিক্ষককে ঘাড় ধরে টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে কিল ঘুষি মারে।

এ ঘটনায় মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজন কুমার সূত্রধর গণমাধ্যমে জানান, এ ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে গেছে। আমরাও থানায় আছি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

মিরপুরে অটোরিকশাচালক-পুলিশ সংঘর্ষ, বাস ভাঙচুর

Published

on

মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে তিনটি বাস ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা। সকাল থেকে রাজধানীতে অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সড়কের এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু করলে বাস ভাঙচুর করে বলে গণমাধ্যমকে জানান মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা । তিনি আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে, চালকদের একটি অংশ আন্দোলন শেষ করে ফিরতে সম্মত হয়।

কিন্তু শেওড়াপাড়া থেকে আসা শ্রমিকদের একাংশ লাঠি হাতে হই-হুল্লোড় করে এসে আবারও অবরোধ শুরু করে। এসময় পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে থেমে থেমে যান চলাচল শুরু হয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সকালে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতি চেয়ে লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। তাদের অবস্থানের ফলে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।

আই/এ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রায়পুরায় চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী লাইলা কানিজ

Published

on

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী লাইলা কানিজ লাকী। তিনি টেলিফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপে ও দ্বিতীয় ধাপে নরসিংদীর ৪ টি উপজেলায় ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তৎকালীন রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলে ওই পদে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী লায়লা কানিজ লাকি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। এর পর তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক পদ পান। তিনি রাজনীতিতে আসার আগে সরকারি তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করতেন। শিক্ষকতা করা কালীন সময়েই লাইলা কানিজ মানবিক কাজ করে সুনাম ছড়িয়েছেন। ভূমিকা রেখেছেন মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল- কলেজ নির্মাণে। সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের প্রয়োজনে, দূর্বিপাকে তিনি প্রসারিত করেছেন তার হাত। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নির্বাচনে লাইলা কানিজ লাকীর  প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন পাড়াতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক ফেরদৌস কামাল জুয়েল, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য আলী হোসেন দুলু,রায়পুরা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান  ওয়াহেদুজ্জামান পনির ও সোলাইমান খন্দকার। এর মধ্যে জুয়েল আনারস, দুলু কাপপিরিচ, পনির মোটরসাইকেল, সোলাইমান দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন।

মতিউর নগর গ্রামের ভোটার শামসুন্নাহার বলেন,পাঁচজন প্রার্থী থেকে তিনজন প্রার্থী বর্তমানে একই রাজনৈতিক দলের নেতা। যে কারণে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর হাত ধরে লাইলা কানিজ রাজনীতিতে আসেন। সাংসদের ঘনিষ্ঠ আশির্বাদ, সামাজিক কাজে সম্পৃক্ততা, শিক্ষাবান্ধব পরিচিতি তাকে রাজনীতিতে দ্রুতই শক্ত জায়গা করে দেন। রাজু এমপির সমর্থনযোগ্য হওয়ায় সাংসদের অনুসারী সকল দলীয় নেতাকর্মী, সকল ইউনিয়ন পরিষদ এর মেম্বার-চেয়ারম্যান লাইলা কানিজের হয়ে কাজ করছেন। এমপি পুত্র রাজিব আহমেদ পার্থ ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন লাইলা কানিজের হয়ে। এমপিপুত্র পার্থর সক্রিয় ভূমিকা ভোটে পার্থক্য তৈরি করবে বলে জানান ভোটাররা।

Advertisement

লাইলা কানিজ লাকী বলেন, আমাকে মানুষ সব সময়ই কাছে পান। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন, রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করতে। ভোট হলে নিশ্চিত পাস করব। কোনো ষড়যন্ত্র আমাকে হারাতে পারবে না। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’

রায়পুরা উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৩ হাজার  ৯৩২জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৯২৫ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৩ জন এবং হিজরা ভোটার ১৪ জন।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version