Connect with us

শিক্ষা

৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে ইউজিসির সতর্কতা

Published

on

স্থায়ী ক্যাম্পাস, উপাচার্য না থাকা, মামলা-মোকাদ্দমায় জর্জরিত দেশের ৩৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে ইউজিসি বলছে, ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না। সম্প্রতি এমন সতর্কতার কথা জানিয়ে ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইউজিসি।

গেলো ১ এপ্রিল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন সতর্কতা জারি করে ইউজিসি। যদিও চিঠি সোমবার (৩ এপ্রিল) ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তারকা চিহ্নিত এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে দেখে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য না থাকায় শিক্ষার্থীদের সনদে স্বাক্ষর করার বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। এর বাইরে অবৈধভাবে ক্যাম্পাস ও অবৈধ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩টি, নির্ধারিত সময় স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় একটি এবং সাময়িক অনুমতির মেয়াদ উত্তীর্ণ ও আদালতে মামলা থাকায় আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করেছে ইউজিসি।

এছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো ‘দায়-দায়িত্ব’ নেবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন। বাকি ৩০টিতে বৈধ কোনো উপচার্য নেই।

Advertisement

ইউজিসি বলছে, অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে রেড এলার্ড জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপারে ইউজিসির রেড এলার্ডে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।এছাড়া ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে স্থায়ী সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া, শুরু থেকে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মামলা, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগে বৈধ ভিসি-প্রো-ভিসি ও ট্রেজারায় না থাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোনো অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট না করার কারণে মিরপুরে অবস্থিত সেন্ট্রাল ইউনিভাসিটির অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা যেন সচেতন থাকেন এবং জেনে-শুনে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাতে পারেন সেজন্য প্রতি সেমিস্টারের আগে এ ধরনের সতর্কতা বা গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।

এএম/

Advertisement

 

শিক্ষা

একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

Published

on

একাদশ শ্রেণির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৬ মে। তিন ধাপে আবেদন চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

বুধবার (১৬ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

শিডিউল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন থেকে। যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একই দিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে। যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত শিডিউলে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল ১২ জুলাই প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

Advertisement

সকল ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১০ দিন। অর্থাৎ ২৫ জুলাই একাদশ শ্রেণির ভর্তি শেষ হবে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারিতে ফেল ৮ লাখ ৬০ হাজার

Published

on

পরীক্ষা নেয়ার দুই মাসের মধ্যে প্রকাশিত হলো ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল। এতে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। সে হিসেবে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ফেল করেছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী।

বুধবার (১৫ মে) রাতে এ ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, গেলো ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি টেস্টে স্কুল-২, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে মোট ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এই প্রিলিমিনারি টেস্টের ফলাফল বুধবার রাতে প্রকাশ করা হয়।

তথ্য অনুযায়ী, উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জনসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

পরীক্ষার্থী তার নিবন্ধন পরীক্ষার রোল এবং ব্যাচ নম্বর ব্যবহার করে পরীক্ষার ফলাফল এই লিংক থেকে জানতে পারবেন। তাছাড়া উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদেরকে টেলিটক বাংলাদেশ লি. হতে এসএমএস’র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্যাম্পাস

জিপিএ-৫ কী জীবনের সব?

Published

on

সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। বরাবরের  মতো সব ধরনের আলোচনা জিপিএ -৫ ঘিরে। টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল, দৈনিক পত্রিকায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের উচ্ছ্বসিত ছবি আর সংবাদ। কিন্তু যারা জিপিএ-৫ পেলো না তাদের কি খবর। তাদের এই না পাওয়ার ব্যর্থতা মানে কি তারা জীবন যুদ্ধে পরাজিত। তারা কি জীবনে সফল হতে পারলো না। তাদের ভবিষ্যৎ কি তবে ধ্বংস হয়ে গেলো। সমাজের কিছু মানুষের মাঝে এমন ধারণাই অনেক সময় প্রত্যক্ষ করা যায়।

গেলো কয়েক বছর ধরে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন অনেক শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রস্তুতির প্রথম দিন থেকে ফলাফলের দিন পর্যন্ত সবার চিন্তা চেতনার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে জিপিএ-৫। শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন, এক্সট্রা কারিকুলার কাজ, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে মেলামেশা অনেক সময় হয়ে পড়েছে গৌণ।

পরীক্ষায় ভাল নম্বর শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎতের ক্যারিয়ারের জন্য জরুরী। তবে তারা যদি ভাল ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সব কিছু শেষ হয়ে যায় না। ভালো ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীকে এগিয়ে দেয় অনেক দূর। কিন্তু এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঠিক কতজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেলের মতো নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সুযোগ পাবে। এসব প্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা হিসেব করলে, খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে। বাকি যারা সুযোগ পেলো না, তারা কি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে?

বাস্তবে অনেক অভিভাবক এসব বুঝে। কিন্তু এর পরেও তারা অনেক সময় জিপিএ- ৫ এর ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এসবের কারণ জিপিএ- ৫ এর সাথে যুক্ত থাকা সামাজিক মুল্যের ট্যাগ। আর এই কারণে অনেক ছাত্রছাত্রীদের যেতে হয় মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে। ফলাফলের পরে ঘটছে অনেক আত্মহত্যার ঘটনা। এসব জীবন হয়তো রক্ষা করা যেত যদি আমরা একটু সচেতন হতাম।  জিপিএ- ৫ সব কিছু -এ প্রবণতা আমাদের চিন্তা চেতনার মাঝে প্রবেশ না করাতাম।

আত্মহত্যার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে আঘাত পায় । এই সংখ্যা হয়তো আমরা জানি না। তবে আশে পাশে এরকম উদাহরণ অনেক আছ।  আর এ প্রবণতা যে শিক্ষার্থীদের জীবনে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলছে তা নিঃন্দেহে বলা যায়।

Advertisement

তাই একজন পরীক্ষায় ভাল ফল অর্জন না করলে জীবনে সব শেষ। আর কেউ খুব ভাল ফলাফল করলে সব সফলতা পেয়ে গেলো, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। তাই আমাদের উচিত জিপিএ ৫ ঘিরে যে হাইপ এটা পরিহার করা। আর এক্ষেত্রে কার্যকরী ভুমিকা পালন করতে পারে শিক্ষক আর অভিভাবকরাই। জিপিএ-৫ অর্জনই জীবনের সব কিছু এ ধারণা যেন শিক্ষার্থীদের মাঝে গেঁড়ে না বসে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষক আর অভিভাবকদের।

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version