Connect with us

ছাত্র-শিক্ষক

ঈদের দিন কালো পতাকা হাতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

Published

on

পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতার দাবিতে বরিশালে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)  সকালে  নগরীর ফকিরবাড়ি রোড থেকে মিছিল বের হয়ে অশ্বিনী কুমার দত্ত টাউন হলের সামনে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বরিশাল শাখার সভাপতি মহসিন উল ইসলাম ও বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক রেজাউল করিম।

শিক্ষক নেতারা বলেন, ঈদের আগেও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতার দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি দিয়ে দাবির কথা সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু এরপরও ঈদুল ফিতরে বেসরকারি শিক্ষকদের মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়েছে। তাই ঈদের দিন রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

শিক্ষক নেতারা আরও বলেছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৯৮ শতাংশ পরিচালনা করেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। মানবসম্পদ বিকাশে ভূমিকা রাখা এই ৫ লাখের বেশি বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে আসছেন। এতে একজন শিক্ষকের ন্যূনতম জীবনমান নির্বাহ করা অসম্ভব। মানবসম্পদ উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না।

প্রসঙ্গত, আগামী ঈদুল আজহায় যাতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ ভাতা পেতে পারেন, সেজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঈদের দিন এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

Advertisement

ছাত্র-শিক্ষক

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল আজ

Published

on

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষার ফল রোববার (২১ এপ্রিল) প্রকাশ করা হবে। তবে কখন ফল পাবেন, তা জানা যায় নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, তৃতীয় ধাপের ফলাফল প্রস্তুত। হয়তো আজই আমরা ফল প্রকাশ করতে পারি। তবে ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় জানাননি সচিব।

প্রাথমিক বিদ্যালয়/ অনলাইনে বদলি আবেদনে পদে পদে ভোগান্তি, ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা
গেলো ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হন।

Advertisement

তারও আগে গেলো বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্যাম্পাস

অবন্তিকার বাড়িতে জবির তদন্ত কমিটি

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায়  অবন্তিকার বাড়ি কুমিল্লায় গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। সেখানে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা।

কথা বলেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও। এসময় তারা আত্মহত্যার স্থানও পরিদর্শন করেন।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ে অবন্তিকার বাসায় যান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।

কমিটির প্রধান জানান, অবন্তিকার বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁরা পুলিশ ও অভিযুক্তদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করবেন। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কিছু তথ্য চাইবেন।

অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে তারা অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ঘটনা সম্পর্কে অবন্তিকার মা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা জানেন সবই তাঁরা শুনেছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, তদন্তে যেসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে সে বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে এ মুহুর্তে তাঁরা কিছু বলবেন না। তদন্তের কাজ চলছে।  যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।

অবন্তিকার মা জানান, তদন্ত কমিটি সকল তথ্য নিয়েছে।  ওনারা যা যা জানতে চেয়েছেন সকল তথ্য তিনি দিয়েছেন। তাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জবি তদন্ত কমিটি।

উল্লখ্যে, তদন্ত কমিটির দলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষক ও একজন সহকারী প্রক্টর ছিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ছাত্র-শিক্ষক

যা লেখা ছিলো আত্মহত্যা করা সেই জবি শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে

Published

on

ফাইরুজ অবন্তিকা নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে লম্বা এক পোস্টে আত্মহত্যার জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেই শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো, “আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করে ও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানান ভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতাম ও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতিয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্ট দের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ” খানকি তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে? ”

Advertisement

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিকাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া আর সো কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না
আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম।
আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজার টা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।”

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version