Connect with us

বাংলাদেশ

ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!

Published

on

সংগৃহীত ছবি

আগে থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে ছিলো পারিবারিক বন্ধুত্ব।  ঝাড়খন্ডের শহর রাঁচির স্কুলজীবন থেকে একে অপরকে চিনতেন। তবে তাদের মধ্যে ইয়ে ইয়ে ভাব ছিলোনা। জাস্ট একটু আধটু লুকানো চোখে তাকানো আর হাই-হ্যালো বলা আরকি। একসময় তাদের এক পরিবার উত্তরাখন্ডের শহর দেরাদুনে চলে গেলে সম্পর্কেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

দীর্ঘ এক দশক পর ফের কলকাতায় দেখা হয় তাদের। এবার তাদের অবস্থাটা- লাভ এট ফার্স্ট সাইটের মতো। দুজনই যেনো বলতে চেয়েছিলেন–প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস/ তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।  তাই এবার আর একটু আধটু নয়, প্রেমের  সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কাঁঠালের আঠার মতো। উদ্দেশ্য একটাই। আর তাহলো আজীবন প্রেমের সাগরে ভাসবেন প্রেমের ভেলায়।

এমনই বাস্তব রোমান্টিক প্রেমের গল্পের নায়ক-নায়িকা হোলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনী ও তার স্ত্রী সাক্ষী সিং ধোনী।  প্রেমের চেয়ে সুন্দর আর কিছু হয় না।  আবার প্রেমের মতো ঝুঁকি আর কিছুতে নেই।  ক্রিকেটের বাইশ গজের লেজেন্ড মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বজুড়ে তার খেলার ভক্ত রয়েছে কোটি কোটি। তবে ক্যাপ্টেন কূলখ্যাত ধোনী কার ভক্ত? জবাব হচ্ছে-তার এক ও অদ্বিতীয় ভক্ত হচ্ছেন স্ত্রী সাক্ষী সিং ধোনী।

এমএস ধোনিকে নিয়ে বলিউডে ছবি তৈরি হয়েছে। তাঁর ছোটবেলা, ক্রিকেট, ভারতীয় দল, অধিনায়কত্ব, প্রেম, বিয়ে সবই রয়েছে তাতে। একে অপরের মধ্যে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া, পরস্পরের মধ্যে বিলীন হওয়া৷ এক অদৃশ্য টান অনুভব করা এরই নাম প্রেম৷ তেমনই এক প্রেমকাহিনি রয়েছে ধোনী ও সাক্ষীর মধ্যে।  তাদের প্রেমকাহিনি সন্ধান দেয় চরম প্রেমের ৷

কেমন ছিল তাঁদের প্রথম দেখা? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। সেই সময় কলকাতার একটি হোটেলে ছিলেন ধোনি ৷ সেই হোটেলেই সাক্ষী ইন্টার্নশিপ করছিলেন ৷ সেই সময়েই ধোনি ও সাক্ষীর পরিচয় হয়৷ এক সাক্ষাৎকারের সাক্ষী বলেছিলেন, ‘খুব সাধারণ দেখতে একটা ছেলে। পাশ দিয়ে পেরিয়ে গেলেও কেউ হয়তো তাকাবে না।   কমন বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ হয়। ততদিনে লম্বা চুল কেটে ফেলেছে।  লক্সী মাকে বলেছিলো, তাঁর পছন্দের ক্রিকেটার চুল কেটে ফেলেছে।’

Advertisement

সাক্ষীর কথায় বোঝাই যাচ্ছে-প্রথম দেখায় ধোনীকে খুব একটা পাত্তা দেননি তিনি।  তবে সাক্ষীর বাবলি গোছের চুলের হাওয়ায় হাওয়ায় দুষ্টমি দেখে ধোনীর বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন করে উঠেছিল।  ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে সাক্ষীর ফোন নম্বরটা জোগাড় করেই একের পর এক টেক্সট।

কেউ মজা করছে ভেবে প্রথমদিকে পাত্তা দেননি মিস রাওয়াত। ভাবখানা এমন-যতই টেক্সট চালাচালি করো কোনোই লাভ নেই। যখন বুঝলেন তখন থেকেই  শুরু হল রাত জেগে গল্প, ফোনালাপ।  ২০০৮ সালে মাহি-সাক্ষীর টেস্ট প্রেমের দুর্দান্ত ইনিংস শুরু।  ঘূণাক্ষরেও বাইরের কেউ সেকথা জানতে পারেননি। তবে বলিউড পাড়ার গুঞ্জন, প্রেমের এই টেস্ট ইনিংসের মাঝেই ধোনী টি-টুয়েন্টি প্রেমের ইনিংস খেলেছেন বলিউডের কোনও না কোনও নায়িকার সঙ্গে।

তাদের সম্পর্ক চলাকালেই ২০০৮ সালে দক্ষিণী অভিনেত্রী রাই লক্ষ্মীর সঙ্গে ধোনির নাম জড়িয়েছিল। এর আগের বছর অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে ধোনির সম্পর্কের খবর মিডিয়ায় ‘হট কেক’ ছিল।

দীপিকার প্রথম ছবি  ‘ওম শান্তি ওম’  রিলিজের সময় ধোনি বিশেষ আমন্ত্রণ পায়। এতেই দিপীকা-ধোনীর সম্পর্ক  ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ বলে রটে যায় বলিউড পাড়ায়।  ২০১০ সালে ধোনির সঙ্গে অভিনেত্রী আসিনের প্রেমের খবরও সামনে এসেছিল।

তবে মাহি ও সাক্ষী যেনো মেড ফর ইচ আদার। তাইতো সব গুজব উড়িয়ে ২০১০ সালে সাক্ষীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ‘পারফেক্ট ফ্যামিলি ম্যান’ ধোনি।  তাঁদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।

Advertisement

আইন-বিচার

জামিনে মুক্তি পেলেন জবি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম

Published

on

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। বুধবার (৮ মে) বিকালে কুমিল্লা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান এই শিক্ষক।

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি বেশ আলোচিত ছিল। যে ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনাটি কেন্দ্র করে কারাগারে ছিলেন এই শিক্ষক। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে আজ  মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে আজ দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরের পর আমরা কোর্টের অর্ডারটি হাতে পাই। এরপরই তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে গ্রহণ করে নিয়ে গেছেন।“

দ্বীন ইসলামের সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ফাইরুজ অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকেও আটক করে পুলিশ। আম্মান এখনো কারাগারে আছেন বলে জানা যায়। গত ১৭ মার্চ ফেসবুক পোস্ট দিয়ে নিজ বাড়ি কুমিল্লাতে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। তাঁর পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম এবং সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে অভিযুক্ত করেন অবন্তিকা। ঘটনার পর কোতোয়ালি থানায় অবন্তিকার মা একটি মামলা করেন। যে মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করা হয়েছিল।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণ

Published

on

রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদর ও শহর এলাকায় মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। এছাড়াও এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ এবং মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মোটরসাইকেল চলাচলের এই নির্দেশনা দেয় হয়।

মোটরসাইকেলের পাশাপাশি অন্যান্য মোটরযানেরও গতিসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রাইভেট কার, জিপ, মাইক্রোবাসের সর্বোচ্চ গতি এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। মহাসড়কেও একই গতিতে চলাচল করতে হবে। বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানও একই গতিতে এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে চলবে।

ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান,ট্রেইলরসহ অন্যান্য মালবাহী মোটরযানের সর্বোচ্চ গতি এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। মহাসড়কেও একই গতিসীমা মেনে চলতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৪ এর উপধারা-১ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি-১২৫ এর উপবিধি-৪ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সড়ক/মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪ সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জারি করা হলো।

Advertisement

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শহর, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরের মধ্য দিয়ে ব্যবহৃত জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক রাস্তার প্রস্থ: ১০.৩ মিটার কমপক্ষে ৬ লেনে বিভক্ত, পৃথক হাঁটা এবং পারাপার সুবিধা আছে এমন সড়কে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মায়ের বিষ পান

Published

on

নাটোরের গুরুদাসপুরে ছেলের ওপর অভিমান করে বাবা-মায় একসাথে বিষ পান করার ঘটনা ঘটেছে। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষ পানে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মো. আলম শেখ ও তার স্ত্রী মোছা. নাজমা বেগম।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবা আলম শেখ জানান, তার দুই মেয়ে এক ছেলে। একমাত্র সন্তান মো. সবুজ শেখকে তার শেষ সম্বল সকল জমি-জমা লিখে দিয়েছিলেন। ছেলে তাকে কথা দিয়েছিলো সংসারের সকল দায়িত্ব এবং তার সকল ঋণ পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু জমি লিখে নেয়ার পর ছেলে তার কথা রাখেনি। এদিকে ঋণের কারণে পাওনাদারদের অপমান-অপদস্ত নিরবে সহ্য করতে হতো । তাছাড়াও ছেলে ও ছেলের বউ তাদের স্বামী-স্ত্রী ২ জনের সাথেই খারাপ আচরণ করতো। একপর্যায়ে নিজেদের জীবনের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী বিষ পান করেছেন।

ছেলে সবুজ শেখের কাছে তার বাবা-মায়ের বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

তবে তার চাচাতো ভাই জুয়েল রানা বলেন, তার চাচা-চাচি ২ জনেই সুস্থ হলে পারিবারিক ভাবে বসে এ বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. স্নিগ্ধা আক্তার বলেন, বিষ পান করে স্বামী-স্ত্রী ভর্তি হয়েছে। ২ জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে আলম শেখের স্ত্রী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version