Connect with us

ঢালিউড

২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ ঘোষণা, প্রচার হবে না সিনেমার খবর

Published

on

চলচ্চিত্রের-কালো-দিবস

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এফডিসিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে লিমন আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিনেতা শিবা শানু ও সুশান্তকে এক মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দিন ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকরা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা। ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুজন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শিল্পী সমিতি।

এ ছাড়া সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী হামলার নেতৃত্ব দেয়া ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করায় তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকরা। পাশাপাশি প্রতি বছর ২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে এফডিসির ঘটনার তদন্তের জন্য ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি বসে। যেখানে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ছিলেন লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকীর, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম।

অন্যদিকে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ছিলেন মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানা-শাহ, রুবেল ও রত্না। তদন্ত কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। এছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক রিমন মাহফুজ ও কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

বৈঠক শেষে সাংবাদিক লিমন আহমেদ বলেন, আলোচনা শুরুর পরও জয় চৌধুরী তার ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ চালিয়ে যান। তিনি কারও কথা মানতে নারাজ। তাই তাকে আজীবনের জন্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিল্পী সমিতি যদি জয় চৌধুরীকে নিয়ে কোনো কার্যক্রমে অংশ নেন, তাহলে সমিতিকেও বয়কট করা হবে। এমনকি কোনো প্রযোজক বা পরিচালক সিনেমা নির্মাণ করলে তাদের সংবাদ পরিবেশন থেকেও বিরত থাকা হবে।

২৩ এপ্রিলকে ‘কালো দিবস’ পালন করা হবে জানিয়ে লিমন বলেন, এই তারিখে বিনোদন সাংবাদিকরা কোনো সিনেমার খবর প্রকাশ করবে না। এখন থেকে প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।

জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একটা পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান জয় চৌধুরী। তিনি বলেন, শপথ শেষে ছিল আমরা সবাই তখন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করছি। এ মুহূর্তে ময়ূরী আপু তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য।

Advertisement

এমন সময় দু-তিনজন ইউটিউবার, তারা ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন, ‘তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও।’ বারবার তারা এই আবদার করছিলেন। এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন, ‘ও তো সেলিব্রিটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবেন?’ এরপরেই আসলে শুরু হয় মারামারির ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূলহোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টররাও হামলায় অংশ নেন।

 

ঢালিউড

‘দুজনই মূর্খ’ ডিপজল-মিশাকে আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন নিপুণ

Published

on

ফের আলোচনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নব নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজলের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। এরই মধ্যে নিপুণ বর্তমান কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন।

যে কারণে নিপুণের ওপর চটেছেন ডিপজল ও মিশা। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নিপুণ। মিশা ও ডিপজলকে মূর্খ সম্বোধন করে এই অভিনেত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনো ধরনের ইচ্ছাই তাঁর নেই। তাদের সঙ্গে আইনজীবীর মাধ্যমে কথা বলবেন বলেও জানান।

এ সময় নিপুণ অভিযোগ করে বলেন, তাঁর সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার করেছেন মিশা ও ডিপজল। একই সঙ্গে জায়েদ খানের প্রসঙ্গে টেনে অভিনেত্রী বলেন, ‘কোনো সৌজন্য দেখায়নি তাঁরা। শেষ দুই বছর এফডিসিতেও আসেননি। শেষ দুই বছর ধরে যে বেয়াদব ছেলেটা ছিল, যেটাকে বেয়াদব বলতে হয়, যার নাম জায়েদ খান, তিনি যা ইচ্ছা মিডিয়াতে বলে বেড়াচ্ছিল, তখন তাঁরা কোথায় ছিলেন? এই বেয়াদবকে কি থামিয়েছেন?’

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সমিতির কার্যকরী সভা শেষে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমের সামনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন নিপুণ। তাঁর সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।

এ বিষয়ে নিপুণের ভাষ্য, ‘সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে।’

Advertisement

এর আগে গেল ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জয় লাভ করে মিশা-ডিপজল পরিষদ। কিন্তু এই ফলাফল বাতিল চেয়ে এখন আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন নিপুণ।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়ে যা বললেন জায়েদ খান

Published

on

চলচ্চিত্র  শিল্পী সমিতি থেকে বাতিল হওয়া সদস্যপদ ফিরে পেলেন আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এর আগে সাবেক সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার দায়িত্ব পালনকালে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল হয়। এবার নতুন কমিটি জায়েদ খানের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলো।

শনিবার (১৮ মে) সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয় জায়েদ খানকে। চিঠি হাতে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। নিপুণ নিজে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছে। সে অবৈধভাবে আমার সদস্যপদ বাতিল করেছে। নতুন কমিটি এসে বিষয়টি তদন্ত করেছে। এরপরই তারা আমার সদস্যপদ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

গেল ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল বিজয়ী হয়। তবে এই নির্বাচনের প্রায় মাস খানেক পর ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্র নায়িকা নিপুণ।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

বিষয়টি নিয়ে একেবারে লজ্জিত নই: জেফার

Published

on

এই সময়ের জনপ্রিয় গায়িকা ও অভিনেত্রী জেফার রহমানের নতুন ইংরেজি গান ‘স্পাইসি’ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। গান’টিতে নার্গিস আক্তারের গাওয়া ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে’ গানের দু’টি লাইন ব্যবহার করা হয়েছে। যা নিয়ে নেটদুনিয়ায় তুমুল সমালোচিত হচ্ছেন জেফার।

এবার সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন এই গায়িকা। গণমাধ্যমে বিষয়’টি নিয়ে জেফার বলেন, ‘যে অংশটুকু নিয়ে সমালোচনা করছেন, সেটুকু কিন্তু আমার লেখা কিংবা সুর করা নয়। লিরিকটা ফুয়াদ ভাইও লেখেন নাই। গানটি অনেক আগে নার্গিস নামের একজনের গাওয়া। ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। ২০০৬ সালে সেই গানটি প্রথম কানিজ সুবর্ণাকে নিয়ে করেন ফুয়াদ ভাই।’

মূলত সেই রেফারেন্সটাই ২০২৪ সালে জেফারের ইংরেজি গানে আনা হয়েছে। গায়িকা বলেন , ‘যারা ফুয়াদ ভাইয়ের গান শোনেন, তারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন। তবে নতুন বা বয়সে ছোট’রা বুঝতে পারছে না গানের অংশটুকু রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

ট্রোল হওয়া প্রসঙ্গে জেফার বলেন, ‘ট্রোলিং’কে কখনও পাত্তা দিই না। নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে জানি আমি। কী করতে পারি, সেটা কাজের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে প্রমাণ করে এসেছি। সামনেও কাজ দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। তাই সমালোচনা নিয়ে আমি একিদমই ভাবি না।’

এই গায়িকার ভাষ্য, ‘আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এই ট্রল নিয়ে নড়েচড়ে বসতো। আমাকে এইসব ভাবায় না। আমার চেহারা যেহেতু পরিচিত, তাই সমালোচনাটা আমার ঘাড়ে পড়ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত নই।’

Advertisement

এক সময় নার্গিসের গান’টিকে অশালীন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন দেশীয় শ্রোতারা। সেই গান’কে আবারও জেফার আধুনিকতার মোড়কে উপস্থাপন করায় কঠোর সমালোচিত হচ্ছেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version