ঢাকা
কিশোর গ্যাংয়ের মদতদাতাদের তালিকা করা হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
যারা কিশোর গ্যাংয়ের মদতদাতা রয়েছেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের যে অদ্ভুত অদ্ভুত নাম রয়েছে তাও তালিকা করা হয়েছে। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরাসহ ১০টি থানা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি। বললেন ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, তবে যারা মদতদাতা তাঁরা ওইভাবে গডফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছেন বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
হাবিবুর রহমান বলেন, কাউন্সিলরদের কিছু অনুসারী রয়েছে যাদের ১৮ বছরের ওপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিলর কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য তাঁরা পান নি।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা এ বিষয়ে বক্তব্যও দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও পুলিশ সদস্যরা কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
টিকটকে অশ্লীল কন্টেন্টের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আইনের আওতায় এনেছে ডিএমপির সাইবার টিম। পুলিশের সাইবার টিমের পক্ষ থেকে বিটিআরসির কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা নিয়মিত দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
আই/এ
ঢাকা
চট্রগ্রামে নিহত বিমানবাহিনীর পাইলটের বাড়িতে চলছে আহাজারি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মানিকগঞ্জের বাসায় চলছে স্বজনদের আহাজারি। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফার খানম।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে নিহত পাইলটের মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারের বাসায় গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নিহতের মামা সুরুষ খান জানান, ছোটবেলা থেকেই আসিম জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল সে বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে। তাঁর স্ত্রী, ছয় বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলে রয়েছে। পরিবার নিয়ে সে কর্মস্থল চট্টগ্রামে থাকত।
নিহতের খালাতো ভাই মো. মশিউর রহমান শিমুল জানান, আজ সকালের দিকে জানতে পারেন চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকেই তাঁরা খোঁজ নিতে শুরু করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে খবর পান আসিম জাওয়াদ মারা গেছেন। তাঁর বাবা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ছাত্রজীবনে আসিম কখনো দ্বিতীয় হয়নি। আজ বিমান দুর্ঘটনার কারণে দেশ একজন চৌকস অফিসারকে হারালো।
প্রসঙ্গত, নিহত পাইলটের বাবা আমান উল্লাহ একজন চিকিৎসক আর মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। আসিম জাওয়াদ নারায়ণগঞ্জে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম অন্তরা আক্তার।
আই/এ
ঢাকা
বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে
বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষ স্থানে রয়েছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২০৩। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৭০, ১৬৭ ও ১৫০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
বায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেন, শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ‘ভালো’। ৫১ থেকে ১০০ ‘মোটামুটি’, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে।
কেএস/
ঢাকা
খেলার সময় ওড়নায় ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু
ওড়না নিয়ে খেলার সময় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। মৃতের নাম নুসরাত জাহান (১০)।
বুধবার (৮ মে) রাতে রাজধানীর দনিয়ার আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুসরাতের গ্রামের বাড়ি বরিশালের নলচর গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া আনন্দবাজার এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি। নুসরাত একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নুসরাতের মামা মো. রিয়াজ বলেন, নুসরাতের মা-বাবা তাকে বাসায় রেখে দরজায় তালা দিয়ে বাইরে যান। কিছুক্ষণ পরে বাসায় এসে তালা খুলে ভেতরে গিয়ে দেখেন জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে নুসরাত।
তিনি বলেন, পাশের লোকজন জানান ওড়না নিয়ে নুসরাত জানালার গ্রিলের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খেলতে খেলতে ওড়না গলার সঙ্গে প্যাঁচ লেগে ঝুলে থাকে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা আছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
এসি//
-
তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
জাতীয়3 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড4 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক1 day ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা3 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়5 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা6 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত