Connect with us

বাংলাদেশ

যেখানে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার কথা, সেখানে লোডশেডিং : মির্জা ফখরুল

Published

on

ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি, হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে দেশের বাহিরে। মূল্যস্ফীতি, জ্বলানি ও বিদ্যুৎসংকট এখন প্রকট। জনগণ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। যেখানে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার কথা। সেখানে নিজ দেশে এখন লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের-মিতব্যয়ী কথা বলা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে হাজার কোটি টাকা দেশের বাহিরে পাচার করাই কাল হয়েছে। বললেন  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিদেশিরা বিগত নির্বাচনগুলোকে ফ্রড ইলেকশন বলছে। জনগণের প্রতিনিধিত্ব হয়নি, তা প্রমাণিত হয়েছে। আবার নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়ে গেছে। উন্নয়নের মিথ তৈরি হয়েছে, যার মধ্যমে প্রতারণা করা হচ্ছে জনগণের সঙ্গে। এখন মেগা প্রজেক্টের কথা বলা হচ্ছে  কিন্তু দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করেছে। গুম, খুন, হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ ৩৫ লাখ বিরোধী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই সরকার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

উল্লেখ্য, বিএনপি বর্তমান অবস্থার অবসান চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে আওয়ামী লীগ আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক দেশের জন্য হুমকি। বিএনপি তাই চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবারও ফিরে আসুক।

Advertisement

মেহা

জাতীয়

ড. ইউনূস ইস্যুতে পিটার হাসকে বাংলাদেশি-আমেরিকান প্লাটফর্ম’র চিঠি

Published

on

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনি জটিলতা নিয়ে ঢাকায়  নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম-দ্য কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেআইনিভাবে বকেয়া অর্থ আটকে রাখার অভিযোগে ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়, নিম্নআদালত দেখেছে ড. ইউনূস নিজের করও পরিশোধ করছেন না। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ড. ইউনূস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ড. ইউনূস এখনও তার পরিণতির জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করছেন।

ড. ইউনূস সম্পর্কে প্ল্যাটফর্মটির মতামত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে উপস্থাপনের জন্য পিটার হাসকে অনুরোধ করা হয়েছে। একই চিঠি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল ডেস্ককেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের সুবিধাভোগী বলে দাবি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে। এর প্রাথমিক মূলধনের জন্য ৫০০ কোটি টাকাও দিয়েছে।

কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মটির পক্ষে চিঠিতে আহ্বায়ক খালিদ হাসান লিখেছেন,  ড. ইউনূসের  শক্তিশালী আমেরিকান লবি দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছিলেন বলে আমি মনে করি। আমার মতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন সব উদ্যোগের জাতিসংঘের নিরীক্ষা চাওয়া উচিত। শেখ হাসিনাকে হত্যার ৪৩টি প্রচেষ্টার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সিআইএকে অবশ্যই জানতে হবে।

Advertisement

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি নেতা তারেক রহমান বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংগঠকদের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন।

ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ৩১ জন নিহত হন। বেঁচে যাওয়া বেশিরভাগই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল বলেও  চিঠিতে দাবি করা হয়।

এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরও সমালোচনা করা হয়েছে চিঠিতে।  ওই সময় ড. ইউনূসের নিরবতারও সমালোচনা করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওইসময় তারা বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়নি। বিস্ময়কর ছিল শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতাও। তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার নিন্দা করেননি। এমনকি নিহতের পরিবার বা আওয়ামী লীগের নেতাদেরও সান্ত্বনা দেননি।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে পিএসসির উপপরিচালক ও গাড়িচালকসহ গ্রেপ্তার ১৭

Published

on

গেলো ১২ বছরে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ২ উপপরিচালক ও পিএসসির সাবেক চেয়াম্যানের গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করলো সিআইডি।

গেলো রোববার (৭ জুলাই) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি তৌহিদুল ইসলাম।

এদিকে বেসরকারি ওই  টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ব্যাপক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গাড়ি চালক আবেদের অঢেল সম্পদ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

জানা যায়, সৈয়দ আবেদ আলীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার  ঢাকায় ও গ্রামে একাধিক বাড়ি, গরুর খামার ও সম্পদের তথ্য মিলেছে তারই ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে। যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবৈভব বানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন

Published

on

অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৮ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে এ আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

রিভিশন আবেদনের পর ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘টাকা আত্মসাতের মামলায় অযৌক্তিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ওই অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়েছে। ‘

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে শিগগিরিই এ আবেদনের শুনানি করা হবে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন এই মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আগামী ১৫ জুলাই এ বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রাখা হয়েছে।

Advertisement

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে মামলা করে দুদক।

এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার। দুদকের মামলায় আসামি ১৩ জন থাকলেও চার্জশিটে নতুন একজন আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version