বাংলাদেশ
অনাবৃত ছবির পর এবার রাখিকে প্রেম প্রস্তাব!
গেলো কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম হয়ে আছে রণবীর সিং’র খোলামেলা ফটোশ্যুট নিয়ে। নিমেষে উষ্ণতার পারদ যেমন বাড়িয়ে দিয়েছেন তেমনি বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছেন এ অভিনেতা। কাশ্মীরি গালিচায় তার অনাবৃত পৌরুষ সৌন্দর্যের সংজ্ঞা, নাকি অশালীনতার, তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা- সমালোচনা।
রণবীরের সেই নিরাবরণ ছবি দেখে হয়তো তাজ্জব হয়েছিলেন রাখি সাওয়ান্ত। আর তাই মন্তব্যও করেছিলেন,‘বাঁদরে সিংহের পোশাক চুরি করে নিয়েছে!’ কিন্তু এরপরই রাখির মন মজে গেলো রণবীরেই। ‘গাল্লি বয়’-এর নিরাবরণ রূপ দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন প্রাক্তন বিগ বস তারকা। সেখানে রণবীরও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না।
রাখি সাওয়ান্ত বলেছেন, এ ছবিতে তিনি রণবীরের সৌন্দর্যই দেখতে পাচ্ছেন। আর রণবীরও তাকে ‘আই লভ ইউ’ বলেছে।’’
মিথ্যে নয়, সত্যিই রণবীর ভালবাসার তিন শব্দ লিখেছেন রাখিকে। কোন প্রেক্ষিতে তিনি এমন বলেছেন সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন রাখি। রণবীরের ফটোশ্যুটের কাজকে তারিফ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রাখি। সেই পোস্টের নীচে মন্তব্য করেন অভিনেতা স্বয়ং, লিখেছিলেন- ‘লাভ ইউ ইয়ার’।
এমন মন্তব্যে স্পষ্টই বোঝা যায়, এ ভালবাসা কৃতজ্ঞতার, বন্ধুত্বের প্রতিদান। শুধু তা-ই নয়, রণবীর লিখেছেন, ‘রাখি, তুমি একজন রক স্টার!’
রাখিও রণবীরের কথায় মহা খুশি। আর তাইতো প্রেমিক আদিল দুরানির পাশে দাঁড়িয়েও রণবীরের কথাই বলে গেলেন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে। বললেন, ‘‘আমার দিনটা ভাল হয়ে গেল।’’
এদিকে খোলামেলা এ ফটোশ্যুট নিয়ে মুখ খুলেছেন রণবীর নিজেও। তিনি জানিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষের সামনে নিরাবরণ হতে তার কোনও জড়তা নেই। স্ত্রী দীপিকাও তার ‘সাহসী’ ছবি দেখে প্রশংসা করেছেন। অতএব, রণবীরের আর পরোয়া কোথায়!
অনন্যা চৈতী
বাংলাদেশ
মধ্যরাত থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সোমবার (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
রোববার (১৯ মে) নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এসময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোয় মনিটরিং জোরদার করা হবে।
আরও জানানো হয়, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকার এই সময়ে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবার আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৮৬ কেজি করে ভিজিএফ বরাদ্দ পাবেন।
টিআর/
জাতীয়
ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস কাল
রক্তে ভেজা ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস বা মুল্লুকে চলো দিবস আগামীকাল (মঙ্গলবার)।
১৯২১ সালের ২০ মে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা-শ্রমিক নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় চাঁদপুরের মেঘনাঘাটে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয় চা শ্রমিকদের। এরপর থেকে চা-শ্রমিকেরা ‘চা-শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন এই দিবসটি।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চানপুর চা বাগানর শ্রমিক নিপেন পাল জানান- দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লস্করপুর চা বাগানে সমাবেশ করবে লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিকরা।
চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে চীন ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও চায়ের প্রচলন ছিল না। ১৮৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের মালিনীছড়া বাগানে চা চাষ শুরু করে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। সে সময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িষ্যা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়।
‘গাছ হিলেগা, রুপিয়া মিলেগা’ গাছ নাড়ালেই টাকা মিলবে এমন প্রলোভনে শ্রমিকরা বাংলাদেশে এলেও তাদের ভুল ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগেনি। বিশাল পাহাড় পরিষ্কার করে চা বাগান করতে গিয়ে হিংস্র পশুর কবলে পড়ে কত শ্রমিকের জীবন গেছে তার কোনো হিসেব নেই। এছাড়া ব্রিটিশদের অত্যাচারতো ছিলই। তাদের অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে তৎকালীন চা শ্রমিক নেতা পন্ডিত গঙ্গাচরণ দীক্ষিত ও পন্ডিত দেওসরন ‘মুল্লুকে চল’ (দেশে চল) আন্দোলনের ডাক দেন।
এরপর ১৯২১ সালের ২০ মে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে চাঁদপুর মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। তারা জাহাজে চড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলে, ব্রিটিশ সৈনিকরা গুলি চালিয়ে শত-শত চা শ্রমিককে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যারা পালিয়ে এসেছিলেন তাদেরকেও আন্দোলন করার অপরাধে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চা শ্রমিকদেরকে পরানো হয় একটি বিশেষ ট্যাগ। তারা ভূমির অধিকারও পায়নি। এরপর থেকেই প্রতি বছর ২০ মে চা শ্রমিক দিবস হিসেবে দিনটি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।
টিআর/
অপরাধ
ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও এক নারী আটক
পাবনার ঈশ্বরদীতে ২৯৫ বোতল ফেনসিডিল ও ১ লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকাসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহিসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝর্ণা খাতুন (২৮) নামে এক নারীকেও আটক করা হয়।
রোববার (১৯ মে) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ফকিরের বটতলা, পিয়ারাখালী ও স্কুলপাড়া ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক মাসুম হাওলাদার পিরোজপুর সদর থানার উদয়কাঠি গজলিয়া এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ঝরনা খাতুন বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ডাকুয়ার বড়াকোঠা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। মাসুম হাওলাদার ও হাফিজুল ইসলাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত সিপাহি।
সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আটক করার সময় মাসুম হাওলাদারের কাছে ও তার ভাড়া বাসা থেকে ২৩৪ বোতল এবং হাফিজুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬১ বোতল ফেনসিডিল সহ এক লাখ ৩০ হাজার পাঁচশত টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃত ২ আসামি সহ পলাতক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পাকশী বিভাগীয় সহকারী কমান্ডার শহীদুজ্জামান জানান, দুই সিপাহির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএম/
-
আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা7 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা