Connect with us

আন্তর্জাতিক

কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা

Published

on

অ্যাস্ট্রাজেনেকা

কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তা স্বীকার করেছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সব মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্তভোগী ও তাদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গেলো বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়, যা তার মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে ফেলে এতে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা গেলো ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেয়া একটি নথিতে স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ‘খুব বিরল টিটিএস’ এর ঘটনা ঘটতে পারে। টিটিএসের পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম। এই রোগটি হলে মানুষের রক্তে প্লেটলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

Advertisement

এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, ‘আমরা স্বীকার করি না যে, জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে।’ কিন্তু গেলো ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে জমা দেয়া নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলে, ‘আমরা এটি স্বীকার করছি যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কারণে খুব বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস-এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।’

অ্যাস্ট্রাজেনেকা নথিতে আরও উল্লেখ করে, ‘এ ছাড়া, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা (বা যেকোনো টিকা) না দিলেও থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঘটনা ঘটতে পারে। কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটার কারণ জানার বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার দাবি রাখে।’

আন্তর্জাতিক

গাজায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত,

Published

on

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একের পর এক প্রাণ যাচ্ছে। আহতের সারিটাও দীর্ঘ হচ্ছে। দখলদার দেশটির বর্বর হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ হাজার ৫৬২ জনে পৌঁছেছে। হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৯ হাজার ৬৫২ জন।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ১০৬ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে না পারায় অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন।

গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

Advertisement

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

এমন হুঁশিয়ারির জবাবে পরদিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো ধরনের চাপই ইসরাইলকে গাজা গণহত্যা ও চলমান যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েল একা দাঁড়াবে। এমন অবস্থার মধ্যেই রাফাহ অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

Published

on

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার (২০ মে) শোক পালন করেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে দেশটি বলছে রাইসির মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তার কোনো প্রভাব পড়েনি।

মঙ্গলবার (২১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এছাড়া এ দুর্ঘটনার কোনো কারণও জানা নেই বলে জানান তিনি।

গতকাল তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল কিংবা আরও কিছু হতে পারে।

অস্টিন বলেন, ইরানের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আমাদের কোনো অন্তর্দৃষ্টি নেই।

Advertisement

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ওয়াশিংটন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।

ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশটির জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই কারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করছি।

রোববার (১৯ মে) রাইসি ও আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সাতজনকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় একটি দুর্গম এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

এ ঘটনায় ইরানের সামরিক বাহিনী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহু ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় আইসিসি

Published

on

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা ও এর জেরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ মে)  আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,  আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু, গাল্যান্ট, সিনাওয়ার ছাড়াও হামাসের কাসেম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল মাছরি (মোহাম্মদ দায়িফ নামেও পরিচিত) ও সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাচ্ছেন। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আইসিসির বিচারক প্যানেলের কাছে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই প্যানেল তার আবেদনটি যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এ আবেদনের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসির বিচারকদের একটি প্যানেল সিদ্ধান্ত দেবে। করিম খান জানান, গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় সিনাওয়ার, হানিয়া ও দায়েফের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, হত্যা, লোকজন জিম্মি হিসেবে নেয়া, ধর্ষণ এবং বন্দীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ কৌসুলি জানান, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করা, মানবিক ত্রাণ সরবরাহ করতে না দেয়াসহ ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, যুদ্ধে বেসামরিক লোকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা।

Advertisement

এদিকে করিম খানের আবেদনের পর ফ্রান্স জানিয়েছে, দেশটি সিনাওয়ার ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদনের পক্ষে আছে। সোমবার  (২০ মে) এক বিবৃতিতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অবস্থান ব্যক্ত করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্রান্স আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও এর স্বাধীনতা এবং সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version