Connect with us

আন্তর্জাতিক

লন্ডনে প্রকাশ্য দিবালোকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা

Published

on

লন্ডনে-হামলা

হঠাৎই প্রকাশ্য দিবালোকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বিশালাকার খাপ-খোলা তলোয়ার নিয়ে হামলা চালান এক যুবক। ফলে আহত হন ৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের। ঘটনাটি পূর্ব লন্ডনের হাইনল্টে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব লন্ডনের হাইনল্টে পুলিশ সদস্যসহ পথচারীদের ওপর তলোয়ার দিয়ে হামলা চালায় এক যুবক।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে হাইনল্টে ট্রেন স্টেশনের কাছে একটি বাড়ি থেকে ৩৬ বছর বয়সী ক্রিস বাইট নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সেখানকার থারলো গার্ডেন নামক এলাকায় ১৮ বছর ধরে বাস করছেন।

এদিকে, সাহসিকতার সঙ্গে এমন হামলা রুখে দেয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি বলেন, এটি বেদনাদায়ক হামলা। যার আহত হয়েছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা এই হামলা রুখে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন বর্বরোচিত হামলার কোন স্থান নেই এ দেশের মাটিতে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত নয়। তলোয়ার হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সংস্থার কর্মকর্তারা। হামলায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মধ্যযুগের হামলায় তলোয়ারের প্রচলন ছিল অনেক বেশি।

আন্তর্জাতিক

গাজায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত,

Published

on

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একের পর এক প্রাণ যাচ্ছে। আহতের সারিটাও দীর্ঘ হচ্ছে। দখলদার দেশটির বর্বর হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ হাজার ৫৬২ জনে পৌঁছেছে। হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৯ হাজার ৬৫২ জন।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ১০৬ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে না পারায় অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন।

গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

Advertisement

আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

এমন হুঁশিয়ারির জবাবে পরদিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো ধরনের চাপই ইসরাইলকে গাজা গণহত্যা ও চলমান যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েল একা দাঁড়াবে। এমন অবস্থার মধ্যেই রাফাহ অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

Published

on

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার (২০ মে) শোক পালন করেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে দেশটি বলছে রাইসির মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তার কোনো প্রভাব পড়েনি।

মঙ্গলবার (২১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এছাড়া এ দুর্ঘটনার কোনো কারণও জানা নেই বলে জানান তিনি।

গতকাল তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল কিংবা আরও কিছু হতে পারে।

অস্টিন বলেন, ইরানের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আমাদের কোনো অন্তর্দৃষ্টি নেই।

Advertisement

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ওয়াশিংটন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।

ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশটির জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই কারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করছি।

রোববার (১৯ মে) রাইসি ও আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সাতজনকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় একটি দুর্গম এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

এ ঘটনায় ইরানের সামরিক বাহিনী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহু ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় আইসিসি

Published

on

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা ও এর জেরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ মে)  আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,  আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু, গাল্যান্ট, সিনাওয়ার ছাড়াও হামাসের কাসেম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল মাছরি (মোহাম্মদ দায়িফ নামেও পরিচিত) ও সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার নেতা ইসমাইল হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাচ্ছেন। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আইসিসির বিচারক প্যানেলের কাছে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই প্যানেল তার আবেদনটি যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এ আবেদনের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসির বিচারকদের একটি প্যানেল সিদ্ধান্ত দেবে। করিম খান জানান, গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় সিনাওয়ার, হানিয়া ও দায়েফের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, হত্যা, লোকজন জিম্মি হিসেবে নেয়া, ধর্ষণ এবং বন্দীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ কৌসুলি জানান, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করা, মানবিক ত্রাণ সরবরাহ করতে না দেয়াসহ ক্ষুধাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার, যুদ্ধে বেসামরিক লোকজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা।

Advertisement

এদিকে করিম খানের আবেদনের পর ফ্রান্স জানিয়েছে, দেশটি সিনাওয়ার ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদনের পক্ষে আছে। সোমবার  (২০ মে) এক বিবৃতিতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ অবস্থান ব্যক্ত করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্রান্স আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও এর স্বাধীনতা এবং সব পরিস্থিতিতে দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version