লাইফস্টাইল
গরম বাড়লেও চুল থেকে ছড়াবে না ঘামের গন্ধ
গরমে দিনে দুবেলা গোসল করতে হচ্ছে। শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য মাঝেমধ্যে ঘাড়ে-মাথায় পানি দিচ্ছেন। এতে শরীরে স্বস্তি মিলছে। কিন্তু এর মাঝে চুলের কথা ভেবে দেখেছেন কি? গরম বাড়তেই ঘামের অস্বস্তি এড়াতে চুল কেটে ছোট করে ফেলেছেন অনেকেই। কিন্তু তাতেও ঘাম কমার নাম নেই। বরং, চুলের গোড়ায় জমছে ঘাম। বাড়ছে চ্যাটচ্যাটে ভাব। এই গরমে চুলের যত্ন নিতে রইল কিছু টিপস-
গরমে প্রতিদিন চুলে পানি ঢালুন। দিনে দু’বেলা গোসল করলে দু’বারই চুল ভেজানোর দরকার নেই। কিন্তু অন্তত একবার চুল ভেজান।
রোজ কাজে বেরোনোর থাকলে নিয়মিত শ্যাম্পু করুন। একদিন অন্তর শ্যাম্পু করতে পারেন। এছাড়া সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু করুন।
অতিরিক্ত তাপ চুলকে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। তাই শ্যাম্পু করার ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই মাথায় তেল মাখুন। এটি শুষ্কভাবকে প্রতিরোধ করবে। চুলকে নরম ও স্বাস্থ্যকর করে তুলবে।
শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। পাশাপাশি সিরাম ব্যবহার করুন। এটি চুল পড়া প্রতিরোধ করবে এবং জট ঝারাতে সাহায্য করবে।
সপ্তাহে একদিন স্ক্যাল্পে টক দই মালিশ করুন। তারপর এটি ২০ মিনিটের জন্য চুলে রেখে দিন। শেষে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন এই কাজটা করলেই চুল ও স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজড থাকবে এবং চুলকানি কমবে। চুলও দ্রুত গজাবে।
সপ্তাহে একদিন বরফ গলা পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। এটি আপনার চুলকে ফ্রিজিনেসের হাত থেকে রক্ষা করবে এবং উজ্জ্বল করে তুলবে।
স্ক্যাল্পে ঘাম বসে চুলকানির সমস্যা বাড়ায়। পাশাপাশি দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। তাজা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে স্ক্যাল্প স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এই স্ক্রাব স্ক্যাল্পে ভাল করে মালিশ করুন। সপ্তাহে একবার এই কাজটা করলেই গরমে চুল ও স্ক্যাল্প তরতাজা থাকবে।
পরামর্শ
চুল ঝরার নেপথ্যে যে যে কারণ থাকতে পারে
চুলে চিরুনি চালালেই তো গোছা গোছা চুল হাতে উঠে আসছে। অথচ চুলের যত্নে কোনও ত্রুটি রাখছেন না। এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করা থেকে মাঝেমাঝে স্পা— বাদ থাকছে না কিছুই। তাতে লাভ কিছুই হচ্ছে না। দিনে দিনে চুলের গোছা ক্রমশ সরু হয়ে আসছে। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়ে চিরুনিতল্লাশি করা জরুরি। কারণ, শুধু যত্নের অভাব নয়, অনেক সময়ে শারীরিক কিছু সমস্যার কারণেও চুল পড়তে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক চুল ঝরে পড়ার কারণ।
থাইরয়েড
থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ শরীরে বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে চুল পড়তে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্ন হলে যে উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়, চুল ঝরা তার মধ্যে অন্যতম। অত্যধিক চুল উঠলে তাই শুধু শ্যাম্পুর দোষ না দিয়ে শরীরের প্রতি নজর দিন।
মানসিক উদ্বেগ
চুল পড়ার অন্য একটি কারণ হতে পারে মানসিক উদ্বেগ। ব্যস্ততময় জীবনে উদ্বেগ আর চিন্তা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। কোনও বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন উদ্বেগে থাকলে একটা সময় তা অবসাদে পরিণত হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চুল ঝরে শুধুমাত্র মানসিক উদ্বেগের কারণে।
শরীরের স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতি
শরীরে ভিটামিন, আয়রন, জিঙ্কের ঘাটতি নানা অসুখ ডেকে আনে। চুল প়ড়ার নেপথ্যে এটাও একটা কারণ হতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতিও অত্যধিক চুল পড়তে পারে। হঠাৎ চুল প়ড়ার পরিমাণ বে়ড়ে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দিন।
জিনগত
পরিবারে কারও এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকলে মুশকিলে পড়তে হয়। বংশানুক্রমে চুল পড়ার সমস্যা পেলে, সেটা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজসাধ্য নয়। চুল পড়ে যাওয়ার এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় অ্যালোপেশিয়া। এমনটা হয়ে থাকলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।
আই/এ
পরামর্শ
ব্যায়াম শুধু ওজন কমাতে নয়, আরও যা যা উপকার
ওজন কমাতে শরীরচর্চার জুড়ি নেই। রোগা হওয়ার তাগিদে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত সকলেই। নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরে ওজন যদি নাও কমে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা অবধারিত বা়ড়ে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। ব্যায়াম শুধু শরীর আর মনের খেয়াল রাখে না। মস্তিষ্ক সচল রাখতেও শরীরচর্চা করা জরুরি বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে বশে থাকে ওজন। হাঁটুতে ব্যথা, রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবিটিস থাকলেও ব্যায়াম করে সুফল পাওয়া যায়।
এর পাশাপাশি শরীরচর্চা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। স্মৃতিভ্রম যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ হল ডিমেনশিয়া। মাত্র কয়েক দশকে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে প্রায় দুশো শতাংশ। টাইপ-২ ডায়াবিটিস থাকলেও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়। ফলে রোজের শারীরিক কসরতের অভ্যাস একসঙ্গে বহু রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কী ভাবে বাড়িতে তোলে শরীরচর্চার অভ্যাস?
স্মৃতিশক্তি
নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। শরীরচর্চা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কের প্রতটি কোষ সচল থাকে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্মৃতি ধরে রাখাও অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর বদলে হাঁটলে কিংবা সাইকেল চালালেও উপকার পাওয়া যাবে।
মনোযোগ বৃদ্ধি
শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মনোযোগ। ইঁদুরদৌড়ের জীবনে যেটা অত্যন্ত প্রয়োজন। মনোযোগহীন কাজের গুণমান নিয়ে সংশয় থাকেই। কার্ডিয়ো মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে। হার্টের খেয়াল রাখতেও কার্ডিয়োর জুড়ি মেলা ভার।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
ব্যায়াম করলে শুধু ওজন কমে না, মনও ভাল থাকে। সার্বিক ভাবে ভাল থাকতে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমালে চলবে না। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও সমান নজর দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে শরীরের উপরেও এর প্রভাব পড়ে।
জেএইচ
লাইফস্টাইল
জেনে নিন রেডিমেড পর্দায় ট্রেন্ড কোনটি
মাঝে মাঝে ঘরের সাজবদল করতে কার না ইচ্ছে করে! আর এই সাজবদলে পর্দার ভুমিকা সব থেকে বেশি। কারণ ঘরের রঙ বদল বা ফার্নিচার পাল্টানো বেশ ঝামেলাদায়ক ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু চটজলদি কম বাজেটে ঘরের লুক পাল্টে দিতে চাইলে ঘরের পর্দাবদল করাই একমাত্র উপায়।
শুধু পোশাক আশাকই নয়, পর্দার ক্ষেত্রেও টেক্কা দিচ্ছে রেডিমেড। আসলে এখন মানুষের হাতে সময় কম। তাই শোরুমে গিয়ে পছন্দ করে পর্দার ফ্যাব্রিক কিনে টেলর দিয়ে জানলা দরজার মাপ মতো পর্দা তৈরি করানোর ঝক্কি অনেকেই নিতে চাইছেন না। তাই রেডিমেডের বাজার বাড়ছে। রেডিমেড পর্দা সাধারণত দু’ধরনের তৈরি হচ্ছে। একটা রিং সিস্টেম ,অন্যটা পর্দার মেটিরিয়াল দিয়েই লুপ সিস্টেম। জানলা দরজার সাইজ অনুযায়ী কোনটা আপনার বাড়ির জন্য মানানসই হবে তা বুঝে কিনতে হবে আপনাকেই।
আগে জানলা দরজায় কাঠের পেলমেট লাগানোর চল ছিল। তাতে রিং দিয়ে পর্দা ঝোলাতে হতো। এখন নানা ধরনের ডিজাইনার রড এসেছে বাজারে। এতে পর্দা ঝোলানো খুব সহজ। রডে লুপ সিস্টেমের পর্দা দেখতে ভাল লাগে। আবার পর্দার কিছু টেক্সচার আছে যা রিং সিস্টেমেই দেখতে ভাল লাগে। রডের ক্ষেত্রে সুবিধে হল এতে দু’ধরনের পর্দাই লাগান যায়।
পর্দার রড ব্রাশ, কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের রয়েছে বাজারে। কিছু রডের সাইডে অনেক রকম কারুকাজ করা থাকে। খুব ঝলমলে পর্দা হলে এই রাজকীয় কারুকাজ দেখতে ভাল লাগে। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে এই ধরনের ঘরের সাজ করতে পারেন।
একটা সময় ছিল যখন ফ্লোরাল প্রিন্টের পর্দা খুব ভাল চলত। হালকা রঙের মেটিরিয়ালে রঙবেরঙের ফুলের ঝাড় খুব ডিমান্ডে ছিল। তবে এখন কটন হ্যান্ডলুমের স্ট্রাইপস ও চেকস কার্টেনের চাহিদা সব থেকে বেশি। জানলা ও দরজার কার্টেন দু’রকম মাপে রয়েছে। নতুন এসেছে ক্রাসড কটন কার্টেন। রঙের শেড সাবডিউড। ইয়াং জেনারেশন এই কার্টেন খুব পছন্দ করছেন।
রেডিমেড কার্টেনে টেক্সচারড হ্যান্ডলুমের চাহিদা সব থেকে বেশি। এতে ব্রাইট কালার শেড রয়েছে। রেড, গ্রিন, ইয়েলো, রাস্ট, ব্লু, অরেঞ্জ -যার ঘরের দেয়ালের রঙের সঙ্গে যেটা ম্যাচ করবে সেটা কিনলেই ঘরের লুক বদলে যাবে।
তাহলে আর দেরি কেন, চটজলদি বাড়ির সাজবদল করতে চাইলে হাত বাড়ান রেডিমেড কার্টেনেই ।
এসি//
-
আইন-বিচার4 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
এশিয়া6 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি7 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
বলিউড7 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
-
ক্রিকেট2 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
অপরাধ4 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
খুলনা4 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
টুকিটাকি4 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!