উত্তর আমেরিকা
ইসরায়েলের ওপর চটলেন বাইডেন, অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলের ওপর চটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েল যদি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে আক্রমণ চালায় তবে তিনি তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন প্রথমবারের মতো এটাই ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা। খবর এএফপির।
বুধবার (৮ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন বলেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সাক্ষাৎকারে বাইডেন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মার্কিন বোমা নিক্ষেপের ফলে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছেন।
মিশরীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ অসহায় ফিলিস্তিনি। তাদের এখন আর কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা নেই। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। এখন যদি ইসরায়েল রাফায় পূর্ণ মাত্রায় হামলা চালায় তবে আশ্রয়হীন এসব মানুষ কোথায় যাবে?
রাফা শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুত এমন উদ্বেগ থেকে গেলো সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে বোমার একটি চালান বন্ধ করার পরেই নতুন করে সতর্কবার্তা দেয়া হলো।
ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, যদি তারা রাফায় হামলা চালায় তবে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাফায় হামলা চালানোর জন্য যেসব অস্ত্র এবং কামানের গোলা ব্যবহার করা হয়েছে তা সরবরাহ করা হবে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি রাফায় আক্রমণ করবেন।
ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন। তিনি রাফায় হামলা চালানোর পক্ষপাতি নন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে প্রশাসন এবং নিজ দলের মধ্যেও বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। সে কারণেই গত সপ্তাহে অস্ত্রের এক চালান ইসরায়েলে পাঠানো হয়নি।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাফায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের অভিযানে সেখানে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলে শুরু থেকেই সতর্ক করছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
উত্তর আমেরিকা
আদালতে দোষী সাব্যস্ত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
ব্যবসায়িক নথিতে তথ্য গোপণের মামলা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১১ জুলাই এ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বর্তমান বা সাবেক কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলেন।
শুক্রবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্য গোপণের মামলা ওই মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। সাজা হিসেবে ট্রাম্পের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন,তাকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।
যদিও স্থানীয় সময় ৩০ মে রায় ঘোষণার পরে আদালত থেকে বেরিয়েই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন,এই রায় লজ্জাজনক। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রভাবিত। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের কাছ থেকেই আসল রায় পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরও একবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে সামিল হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে তিনি লড়বেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে। তবে নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়লেন ট্রাম্প।
আই/এ
উত্তর আমেরিকা
রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তবে জাতিসংঘের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্র নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ পরিষদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে মিলিত হবে। এরপর রাইসিকে নিয়ে তারা বক্তৃতা দিবেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, ‘আমরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাইসিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি না।’
তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ীর উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
গেলো ১৯ মে আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতিসংঘের উচিত ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তাদের ওপর দমন পীড়ন করা কোনো নেতার স্মৃতিচারণ করা উচিত হয়।
টিআর/
উত্তর আমেরিকা
‘সরকার প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা থাকা আবশ্যকীয়’
গাজায় হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করতে এবং সেখানে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার ও সরকার প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা থাকা আবশ্যকীয়। বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বুধবার (২৯ মে) মালদোভানের রাজধানী চিসিনাউতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, এ ধরনের একটি পরিকল্পনা ছাড়া সামনের দিকে আগানো সম্ভব নয়। এছাড়া গাজায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতে ইসরায়েল সত্যিই সফল হয়েছে। গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ইসরায়েলকে এককভাবে দায়ী করা উচিত নয়।
যুদ্ধ পরবর্তী গাজা নিয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পনা না থাকার বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, এর অর্থ হলো হামাস আবার গাজার নিয়ন্ত্রণ নিবে, যা অপ্রত্যাশিত। এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নিয়ে ইসরায়েলকে পরিকল্পনা করার বিষয়ে চাপ দিচ্ছে। তাদের দাবি যুদ্ধের পর একটি সংস্কারকৃত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) মাধ্যমে গাজা পরিচালিত হোক।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন।
তিনি বলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে নয় বরং গাজা এবং পশ্চিম তীর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। এজন্য তারা হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
টিআর/
-
বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড5 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
বলিউড5 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
বলিউড2 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
বলিউড5 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
অপরাধ7 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড2 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!