Connect with us

অপরাধ

মিল্টন সমাদ্দারের রিমান্ড শেষ, নেয়া হবে আদালতে

Published

on

মিল্টন-সমাদ্দার

রিমান্ড শেষ মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের। বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে কোর্টে উপস্থাপন করা হবে। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে দুপুর ১২টার দিকে বিস্তারিত জানাবেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গেলো ৫ মে রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মানবপাচার আইনের এক মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এদিন বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে মৃত্যুসনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্রতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম।

গেলো ১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে। মিল্টন সমাদ্দার মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। যেখানে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তুলেন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে ওই বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় দিতেন।

তবে মানবিকতার আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠে প্রতারণার তীব্র অভিযোগ। বিশেষ করে তিনি অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেয়ার নামে তাদের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে গেলো ২৫ এপ্রিল দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশ পায়।

Advertisement

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর দক্ষিণ পাইকপাড়ায় মিল্টন সমাদ্দারের বৃদ্ধাশ্রমের কাছেই বায়তুল সালাম জামে মসজিদ। বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একসময় এই মসজিদেই বিনামূল্যে গোসল করানো হতো। তার মানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাকে এই সুবিধা দিয়েছিল। তবে গোসল করানোর সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতিটি মরদেহের বিভিন্ন স্থানে কাটাছেঁড়ার দাগ শনাক্ত করেন।

মিল্টন সমাদ্দারকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ওই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিল্টন এক সময় বাসা ভাড়া দিতে পারতেন না। এখন তিনি এগুলো করে কোটি কোটি টাকার মালিক। দামি গাড়িতে চড়েন। আড়ালে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করেন। আমাদের বায়তুল সালাম মসজিদে মরদেহ ফ্রি গোসল করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিছু মরদেহ গোসল করানোর পর দেখা যায়, সবগুলোর শরীরে কাটা দাগ। এ বিষয়ে মিল্টনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি মরদেহ পাঠানো বন্ধ করে দেন।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মানুষের কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রির মতো ভয়ংকর অপকর্মের পাশাপাশি বহু অভিযোগ রয়েছে মিল্টনের বিরুদ্ধে।

 

এসি//

Advertisement

অপরাধ

বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ৩ কারবারি আটক

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৩ হাজার ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ । এসময় এ কাজে জড়িত রোহিঙ্গাসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার (৩০মে) বিকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন এলাকার একটি বসতঘরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম ) মো. আবু সালাম চৌধুরি।

আটককৃতরা হলো, মিয়ানমার আকিয়াব জেলার ছেক্কাইম থানার ডেবাইং গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে রোহিঙ্গা নাগরিক কাশিম (২০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাবির ছড়া গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে আব্দুল মতলব (৪৫), টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়ার মো. সৈয়দুল হকের ছেলে মো. আয়াছ (১৯)।

আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ হাবির ছড়া এলাকার জনৈক আব্দুল মতলবের পাকা বসতঘরের ভিতর ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক কারবারি অবস্থান করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে (৩০ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে র‍্যাবের অভিযানিক দল উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মাদককারবারিরা ঘর থেকে বেরিয়ে পলায়নের চেষ্টাকালে এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের দেহ ও বসতঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে থাকা একটি সাদা রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর হতে ৩৩,৪০০ ইয়াবা, ভেঙ্গে যাওয়া ইয়াবা ৩৫০ গ্রাম এবং ৩টি স্মার্ট ও ১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত কাশিম পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক ও একজন মাদক কারবারি। জিজ্ঞাসাবাদে সে বাংলাদেশে বসবাসের অবস্থান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসের এফসিএন কার্ড কিংবা এমআরসি কার্ড নাই বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আটককৃত মাদক চক্রটি একে অপরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত।

গ্রেপ্তারকৃত কাশিম মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বহন করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।সেসব মাদক আব্দুল মতলব ও মো. আয়াছ এর নিকট সরবরাহ করতো। পরবর্তীতে তারা পরস্পর যোগসাজশে মিয়ানমার হতে সংগ্রহকৃত মাদক স্থানীয় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয়সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরি জানান, উদ্ধারকৃত মাদকসহ আটককৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়ি পলাতক

Published

on

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মহাদেবপুরে সুমনা খাতুন নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার ( ৩১ মে) সকালে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী, শ্বশুর, ও শাশুড়ি পলাতক আছে।

সুমনার বাবা সুজন আলী বিশ্বাস সহ পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় আট মাস আগে মহাদেবপুর গ্রামের সম্রাট হোসেনের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের সময় সম্রাটের পূর্বের একটি বিয়ের কথা তার পরিবার গোপন করে।

এই সময়ের মধ্যে শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা সুমনার উপরে নির্যাতন চালাতো । আজ সকালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। সেখানেই সুমনার মৃত্যুর খবর জানতে পারি এবং তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়না তদন্তে প্রেরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত করে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

৩ কেজি আইসসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ মাদকসহ (আইস) মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

আটকরা হলেন মিয়ানমারের মংডু মুন্নিপাড়ার বাসিন্দা ইমান হোসেনের ছেলে মো. আলম, নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আয়াছ।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় বৃহস্পতিবার মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে যানবাহনযোগে মাদকদ্রব্য পাচার হতে পারে। ওই তথ্যে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালীপাড়া নামক স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় শাহপরীর দ্বীপ থেকে হাজম পাড়াগামী একটি সিএনজি চেকপোস্টের কাছে এলে তা তল্লাশির জন্য থামানো হয়। পরে ওই সিএনজিটি তল্লাশির সময় সিএনজির পেছনে দুজন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হলে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দিয়ে আটকদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version