বাংলাদেশ
রেললাইনে দুর্ঘটনার শিকার হলে তার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের নয় : রেলমন্ত্রী
আমরা আড়াই থেকে তিন হাজার কিলোমিটার রেললাইন তৈরি করছি। যেখানে রাস্তা আছে সেখানেই ব্রিজ করা আছে। রেলে যে আমরা বেরিয়ার দেই, গেট দেই- এ গেটটা দেওয়া হয় যাতে রেলের কোনো ক্ষতি না হয়। রেল ঠিকভাবে চলতে পারে, বাইরে থেকে কোনো কিছু যেন রেলের ক্ষতি করতে না পারে। কিন্তু কেউ যদি এসে রেলগেটে কিংবা রেললাইনে দুর্ঘটনার শিকার হন তার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের নয়। বললেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
আজ সোমবার (১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, যখন রেল চলাচল করে তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কারও রেললাইনে আসা-যাওয়ার সুযোগ নেই। আরেকজন এসে আমার সঙ্গে ধাক্কা খাবে তার দায়িত্ব রেলের ওপর দেবেন এটা যুক্তিসঙ্গত নয়। আমি তো কাউকে ধাক্কা দিচ্ছি না। আরেকজন এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে রেল যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যে ধাক্কা দিচ্ছে তার দোষ নেই, যেহেতু বড় গাড়ি আমার তাই সব দোষ আমার। এটা হলো আমাদের জেনারেল পারসেপশন, কিন্তু যুক্তি দিয়ে যদি বিবেচনা করেন তাহলে আপনারা সঠিক উত্তরটি পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন,রেল তার নিজস্ব লাইনে চলে। ‘আমি কাউকে ধাক্কা দিতে পারি না। অন্য যানবাহন এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আরেকজন এসে তার ক্ষতি করবে, আর তার দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। এই জায়গাটাতে আমাদের একটু সচেতনতা প্রয়োজন রয়েছে।’
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কারও কাম্য নয় কিন্তু এই ঘটনাগুলো রেলের দুর্ঘটনা নয়। রেলের দুর্ঘটনা সেটাই রেল যদি লাইনচ্যুত হয়। রেল যদি নিজের পথ ছেড়ে কারও বাড়িতে ঢুকে যায় সেটা হলো রেলের দুর্ঘটনা। এ বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম আরও বলেন, রেলের গেট পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের যারা রাস্তা করেছে। আপনার পৌরসভার রাস্তা আমার রেললাইনকে ক্রস করতেছে, আপনার লোকজন সেই রাস্তা দিয়ে পারাপার হবে এর দায়িত্ব আপনার আমার নয়।
বাংলাদেশ
১৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত দুই কনস্টেবল
মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়ায় দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে এক নারী পুলিশ সদস্য। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। এই ঘুষ নেয়ার সঙ্গে জড়িত আরও এক পুলিশ সদস্য।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ মনিরুজ্জামান ফকির। অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বরখাস্তকৃত দুই কনস্টেবল হলেন- শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার। এরমধ্যে রাজৈর থানায় কর্মরত ছিলেন শহিদুল ইসলাম, অপরদিকে তানজিলা আক্তার মাদারীপুর জেলা আদালতের পুলিশের শাখায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির জানান, ২০২২ সালের পহেলা মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরের রবি দাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে নগদ ১৪ লাখ টাকা ঘুষ দেন। এ সময় বিশ্বাস অর্জন করতে, রতনকে দেয়া হয় তানজিলা আক্তারের পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক। চেকে তানজিলার স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে। পরে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হলে রতনের নাম প্রকাশ হয়নি। একাধিকবার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে অভিযুক্ত দুইজনই টালবাহানা শুরু করে। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত দুইজনের বিচার ও টাকা ফেরত চেয়ে সম্প্রতি পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে চাকরি প্রত্যাশী রতন দাস বলেন, আমাকে পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ সদস্য। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের টালবাহান করছে। আমার কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এই ঘুষ নেয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশ সদস্যও জড়িত।
এ বিষয় অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার জানান, যা বলার এসপি স্যারকেই বলেছি। অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন তিনি টাকা গ্রহণ করেনি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির আরও জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার মাসুদ আলম তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ এবং পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান।
এএম/
অপরাধ
ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবক মিললো মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ
রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিমকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সেলিমের পরনের শার্ট খুলে দেখা যায়, সেলিমের পেটে ডান পাশে বড় অস্ত্রোপচারের দাগ। দাগের বিষয়ে সেলিম কোনো উত্তর দেননি। শুধু ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এলাকাবাসী ভিড় করে তাকে দেখতে এসে কেউ কেউ বলছেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সেলিমের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি করা হয়েছে।
সেলিম (৪০) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
গেলো শুক্রবার সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। সেলিম এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে বাড়িতে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। সেলিম শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা গণমাধ্যমে বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
এএম/
জাতীয়
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীরা যে কয়দিন ছুটি পাবেন
ঈদ কাছে আসার সাথে সাথে ছুটির হিসাব-নিকাশও করতে থাকেন প্রায় সবাই। চলতি বছর কোরবানির ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর মধ্যে ৩ দিন ঈদের ছুটি ও বাকি ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে সোমবার (১৭ জুন) দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হতে পারে। এ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারি ছুটির তালিকা। ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদের আগের দিন ১৬ জুন (রোববার) থেকে কোরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত।
এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মুসলমানদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ অন্যতম। রোজার ঈদ তথা ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত তিন দিন চলে ঈদুল আজহা।
এবার ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ কিংবা ১৭ তারিখে। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের ১৬ তারিখে দেশটিতে পালিত হবে কোরবানির ঈদ।
উল্লেখ্য, সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয় বাংলাদেশে। সেই হিসাবে দেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এই তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
এএম/
-
এশিয়া6 hours ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
টুকিটাকি9 hours ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
চট্টগ্রাম2 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত