Connect with us

আন্তর্জাতিক

প্রয়োজনে হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

Published

on

যদি প্রয়োজন হয়,আমরা একা অগ্রসর হব…এবং আমি বলছি— যদি আর কিছুই না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো। বললেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ যদি বন্ধ করে দেয় তাঁর প্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু।

এর আগে বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যহত রাখে আমেরিকা।

তবে গেলো ৭ মাসে ইসরায়েলকে বিভিন্ন নির্দেশনাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি নির্দেশনা ছিল (ক) গাজায় নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহতের হার হ্রাস করা এবং (খ) আরও দক্ষ ও নিখুঁতভাবে অভিযান পরিচালনা করা।

কিন্তু এসব নির্দেশনার কোনোটিতেই ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানেনি। ফলে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা জটিল হয়ে ওঠে।

Advertisement

বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যুক্তরাষ্ট্রের মতামত উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় সামরিক অভিযানের শুরু করে ইসরায়েল।

এর প্রেক্ষিতে বাইডেন স্পষ্টভাবে বলেন, যদি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফায় অগ্রসর হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবেই সেই অভিযানের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করবে না।

প্রসঙ্গগত, গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর প্রেক্ষিতে  নিরাপত্তার জন্য দেশটির লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নেয়া শুরু করেন। এই ফিলিস্তিনিদের সবাই বেসামরিক।

আই/এ

Advertisement

এশিয়া

বিয়েবাড়িতে যাওয়ার পথে প্রাণ হারালো ১৩

Published

on

বিয়েবাড়িতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৩ জন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থা আরও ১৫ জনের।

রোববার (৩ জুন) রাতে মধ্য প্রদেশের রাজগড় জেলায় একটি ট্রাক্টর উলটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীরা প্রত্যেকের রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এরই মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগাযোগ করেছেন রাজস্থান সরকারের সঙ্গে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে চার শিশুও।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজগড় জেলার পিপলোড়ি গ্রামের কাছে উলটে যায় ট্রাক্টরটি। সম্ভবত ওই ট্রাক্টরটিতে ৩০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে, এত যাত্রী থাকায় সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন চালক। সেই কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
যদিও আহত এক ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এছাড়াও ট্রাক্টরে যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ ছিলেন। সেই কারণে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

আহতদের ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তা হওয়ার সম্ভাবনা এখন আর নেই। আহতদের অনেকেই বুকে ও মাথায় গুরুতর চোট পেলেও এখন বিপদমুক্ত অনেকেই।

এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন নাকি অন্য কোনও কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো মধ্য জাপান

Published

on

জাপানের মধ্যাঞ্চল ইশিকাওয়াতে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) বলছে, প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্র ছিল ৫ দশমিক ৯ এবং দ্বিতীয়টি ৪ দশমিক ৮ মাত্রার। স্থানীয় সময় সোমবার (৩ জুন) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে দ্য স্টার অনলাইন এ খবর দিয়েছে।

এ ভূমিকম্পে তিনটি বাড়ি ধসে পড়ে। তবে কোনো মৃত্যু বা আহত হওয়ার কোনো খবর নেই। ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে নোটো উপদ্বীপে অগভীর ভূমিকম্প আঘাত হানে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে কমপক্ষে একটি বাড়ির ফুটেজ দেখিয়েছে, যাতে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেয়াল এবং বিল্ডিংয়ের কিছু অংশের টাইলযুক্ত ছাদ মাটিতে ভেঙে পড়েছে।

জাপানের নিউক্লিয়ার রেগুলেশন অথরিটি জানিয়েছে, উপকূল অঞ্চলের কাশিওয়াজাকি-কারিওয়া বা শিকা পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে কোনো অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করা যায়নি।

Advertisement

জেএমএ বলেছে, “এই বছরের ১ জানুয়ারিতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পসহ এলাকাটি তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ভূমিকম্পগতভাবে সক্রিয় ছিল। এটি অদূর ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, তাই দয়া করে সতর্কতা অবলম্বন করা চালিয়ে যান।”

সংস্থাটি এই অঞ্চলে ভূমিধস এবং পাথর পড়ার বিষয়েও সতর্ক করেছে, বিশেষ করে বৃষ্টি বা আরও ভূমিকম্পের পরে।

সোমবারের ঝাঁকুনিতে স্মার্টফোন সতর্কতা অ্যালার্ম বেজে ওঠে এবং তার পরে বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশক হয়।

নববর্ষের দিনে উপদ্বীপে একটি বিশাল ভূমিকম্প আঘাত হানার পর অন্তত ২৬০ জন মারা গিয়েছিল।

১ জানুয়ারির ভূমিকম্প এবং এর আফটারশকগুলো বিল্ডিংগুলোকে ভেঙে ফেলে, অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করে এবং এমন একটি সময়ে অবকাঠামো ভেঙে দেয় যখন পরিবারগুলো নতুন বছর উদযাপন করছিল।

Advertisement

জেএমএ বলেছে, সোমবারের ভূমিকম্পটি ১ জানুয়ারির ভূমিকম্পের মতো একই রকমের কেন্দ্রবিন্দু এবং প্রক্রিয়া ছিল।

দ্বীপপুঞ্জ প্রায় ১২৫ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল, প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ কম্পন অনুভব করে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালানোর কারণে ইসরায়েলিদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট এই মুসলিমপ্রধান দেশে আর কোনো ইসরায়েলি প্রবেশ করতে পারবে না।

সোমবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। তবে ঠিক কখন ও কবে থেকে নতুন এই আইন কার্যকর হবে সে সম্পর্কে তেমন কিছু বলেননি তিনি। এছাড়া ‘ফিলিস্তিনের পাশে মালদ্বীপবাসী’ নামে একটি জাতীয় তহবিল সংগ্রহ অভিযান শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন মুইজ্জু।

দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকত ও বিলাসবহুল রিসোর্টের টানে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণে যান। গেলো বছর ১১ হাজার ইসরায়েলি মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন, যা দেশটির মোট পর্যটকের শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ।

তবে মালদ্বীপের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মালদ্বীপে যাওয়া ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৫২৮ জনে নেমে এসেছে। এই সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৮ শতাংশ কম।

Advertisement

গত অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ ঘিরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এছাড়া দেশে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে চাপ দিয়ে আসছিল বিরোধী দল ও জোট সরকারের মিত্ররা।

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। আট মাস ধরে যুদ্ধ চললেও এখনো এই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও যুদ্ধে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version