Connect with us

ঢাকা

নরসিংদীতে সংঘর্ষে আহত কিশোরের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু, বাড়িঘর ভাংচুর

Published

on

নরসিংদীতে ওয়াজ মাহফিলে ডিম দিয়ে লটারি খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হওয়ার একদিন পর জুবায়ের আহমেদ শান্ত (১৮) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেল পাঁচটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকজন আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলিপুরা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় সে আহত হয়। 

নিহত জুবায়ের আহমেদ শান্ত (১৮) নজরপুর গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার নজরপুর গ্রামের পাশে আলিপুরা গ্রামের একটি মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। ওয়াজ মাহফিলের পাশে ডিম নিয়ে লটারী ধরার দোকান দেয় আলিপুরা গ্রামের কয়েকজন কিশোর। সেই লটারী কে কেন্দ্র করে ওই যুবক ও স্থানীয় কিছু কিশোরের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আলিপুরা এবং নজরপুরের দুটি আলাদা পক্ষ তৈরি হয়ে দুদলই টেটা, রামদা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। এসময় শান্তর উপর টেঁটা নিয়ে হামলা করা হলে গলায় টেটাবিদ্ধ হয়। পরে টেঁটার আঘাত নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার বিকেলে শান্তর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর নজরপুর গ্রামের লোকজন আলিপুরা গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে। এই হামলা প্রতিহত করতে আলিপুরা গ্রামের লোকজন পুনরায় নজরপুর গ্রামের লোকজনদের ধাওয়া দেয়। শুক্রবার রাত আটটা পর্যন্ত এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। খবর পেয়ে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

হামলার স্বীকার হওয়া নজরপুর গ্রামের বিউটি বেগম বলেন, শান্ত গতকাল টেটাবিদ্ধ হয়। এরমধ্যে আজকে সন্ধ্যায় খবর আসে সে মারা গেছে। এই খবর শোনার পরই মাগরিবের নামাজের পর পর আমাদের গ্রামে নজরপুরের শতাধিক লোকজন রামদা, চাপাতি, ছুরি নিয়ে হামলা করে। এসময় আমার ঘরে থাকা কিছু নগদ টাকা ও গোয়ালের একটি গরু নিয়ে যায়। আশেপাশের বাড়িঘরের নগদ টাকার পাশাপাশি স্বর্ণালংকারও লুট করে তারা। 

এবিষয়ে নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদল সরকার জানান, আসলে পুরো ঘটনাটা আমারও বোধগম্য নয়। গতকাল ডিমের লটারী নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে মারামারি হয়েছিল। তখন শান্ত আহত হয়। কোন পক্ষ বা কার টেঁটার আঘাতে শান্ত বিদ্ধ হয় তা স্পষ্ট নয়। শান্ত মারা যাওয়ার পর শান্তর পক্ষ নজরপুর গ্রামের লোকেরা আলিপুরা গ্রামে গিয়ে হামলা চালায়। বেশকিছু মালামাল লুটের অভিযোগও পেয়েছি। 

নরসিংদী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ওয়াজ মাহফিলে লটারী কিংবা এই ধরনের কিছু একটা নিয়ে দুইপক্ষ্য ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লে শান্ত নামের এক যুবক টেটাবিদ্ধ হয়। তার মৃত্যুর পর শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

শেখ সোহান

Advertisement

ঢাকা

বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

Published

on

রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রাম রোডের ফ্লাটে বাথরুমের বালতির পানিতে ডুবে আমেনা আক্তার নামে এক বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর বারোটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু আমেনা ফেনী সদরের শিলুয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে তাজুল ইসলাম পরিবার নিয়ের ওয়ারী এলাকার বনগ্রাম রোডের একটি বাসায় বসবাস করতেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে শিশু আমেনা ছিল সবার ছোট।

শিশুর মা খোদেজা আক্তার বলেন, তিনি নাস্তা বানাচ্ছিলেন। এসময় সবার অগোচরে শিশু আমেনা খেলতে খেলতে বাথরুমের পানিতে পড়ে যায়, তবে সেটি তারা কেউই খেলায় করেননি। নাস্তা বানানো শেষে তিনি মেয়ে আমেনাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে বাথরুমের বালতির পানিতে উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন কন্যা আমেনাকে। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান আমেনা আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশু আমেনার মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

ছেলের শখ পূরণে হেলিকপ্টারে বিয়ে করালেন বাবা

Published

on

ছেলের শখ পূরণ করতে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন সাবেক সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা মোল্লা। শুক্রবার (১৮ মে) এ ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি ভাটেরচর গ্রামের।

মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষকের ছেলে আবু মুসা শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভাটেরচর গ্রামে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, মো. মোস্তফা মোল্লা ছেলের স্বপ্নপূরণ করতেই হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউ বাড়িতে আনার উদ্যোগ নেন। বাগেরহাট উপজেলার মোড়লগঞ্জের মোহাম্মদ ফিরোজ শিকদারে মেয়ে খাদিজা আক্তার ওরফে ময়নার সঙ্গে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিল আজ।

তাকে ঘরে তুলে আনতে ঢাকা থেকে ১ লাখ টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। ওই হেলিকপ্টারে কনের বাড়িতে যান বর আবু মুসা। বিকেলে বউ নিয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে।

ভাটেরচর গ্রামের যুবক জোবায়ের ও সায়মন শাহাদাত নামে দুই যুবক জানান, আমাদের গ্রামে তো দূরের কথা, আশপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টারে চড়ে কেউ বিয়ে করতে যাননি। এ জন্য হেলিকপ্টারে বরযাত্রা দেখতে তারা এসেছেন। মাঠে হেলিকপ্টার নামার পর থেকে বড়ইকান্দি ভাটেরচর আশপাশের এলাকার অনেক মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এ অঞ্চলে এমন বিয়ে এটাই প্রথম। এর আগে কেউ হেলিকপ্টারে বিয়ে করেনি।

Advertisement

কনে খাদিজা আক্তার ময়না বলেন, সচরাচর হেলিকপ্টারে বিয়ে হয় না। বর আমাকে নিতে হেলিকপ্টার নিয়ে এসেছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এজন্য আমার খুব ভালো লেগেছে।

কনের বাবা মো ফিরোজ শিকদার বলেন, মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের ইচ্ছাতে হেলিকপ্টারে বরযাত্রী এসেছে। আমরাও তাদের সাদরে গ্রহণ করেছি। খুব ভালো লাগছে।

বরের ছোট ভাই ইসা বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি আমারও খুব বেশি ইচ্ছা ছিল ভাইকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাব। সেই ইচ্ছাটা আজ পূরণ হলো। ওদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, সবাই দোয়া করবেন।

গজারিয়া থানা ওসি মো. রাজিব খান বলেন, একটি বিয়ের জন্য ভাটেরচর গ্রামে হেলিকপ্টার নামবে এমন একটি আবেদন আমরা পেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, সকালে মিলল স্বামীর মরদেহ

Published

on

রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কাজী মোহাম্মদ আরিফিন (২৭) নামে এক যুবক।

আরিফিন শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার জলগাঁও গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে খিলগাঁও তালতলার বাসায় ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (১৮ মে) ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। সকাল ৯টার দিকে ওই যুবকের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ভোরের দিকে খিলগাঁও তালতলার জামতলার ৭তলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান ওই ব্যক্তিটি আর বেঁচে নেই।

Advertisement

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি  ওই ব্যক্তি পেশায় রেন্ট এ কারের চালক ছিলেন। পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গতরাতে ২টা থেকে ৩টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন আরিফিন। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version