Connect with us

এশিয়া

চীনে জোর করে এতিমখানায় নেওয়া হচ্ছে উইঘুর শিশুদের!

Published

on

এবার সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর শিশুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, বাবা-মার কাছ থেকে শিশুদের আলাদা করে জোরপূর্বক এতিমখানায় নিচ্ছে চীনা সরকার। তবে বরাবরের মতো অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং প্রশাসন।

শুক্রবার বিবিসি জানায়, চীনের বিরুদ্ধে মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের লাখ লাখ মানুষকে বন্দিশালায় নির্যাতনের অভিযোগের মধ্যে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এতে বলা হয়, বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়াই তাদের সন্তানদের জোর করে এতিমখানায় পাঠাচ্ছে শি জিনপিং সরকার।

২০১৬ সালে চীনা পুলিশের নির্যাতনের মুখে ইতালিতে পালিয়ে যাওয়া উইঘুরের বাসিন্দা মিহরিবান কাদের ও আবলিকিম মেমতিনিন জানান, তাদের সন্তানের মতো আরো অসংখ্য শিশুকে রাষ্ট্রীয় এতিমখানায় পাঠিয়েছে চীন সরকার। কাদের ও আবলিকিমের মতো তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ওমর ও মারিয়াম ফারুহ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে তাদের সন্তানের সন্ধান দিতে পারেনি চীন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ১০ লাখের বেশি মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগও করা হয়।

এর সত্যতা যাচাইয়ে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা ও সাংবাদিকদের পরিদর্শনের অনুমতি দিতে চীন সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একইসঙ্গে বন্দিশালা ও বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়া এতিমখানায় আটক শিশুদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।

Advertisement

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলছে, উইঘুরদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের বন্দি করতে শিনজিয়াংয়ে বন্দিশালার বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে চীন। সাম্প্রতিক সময়ে উইঘুর নারীদের ধর্ষণ ও বর্বর নির্যাতনের অভিযোগও ওঠেছে। এরই মধ্যে উইঘুরদের ওপর নির্যাতনকে গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ।

তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে। ক্যাম্পগুলোতে তাদের সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষা দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে শি প্রশাসন।

 

এসএন

Advertisement

এশিয়া

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান

Published

on

ইরানের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রবীণ সংসদ সদস্য মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের নবম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শুক্রবার অনুষ্ঠিত ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিজয়ী হন।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট। অন্যদিকে সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯।

১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান হার্ট সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ অঞ্চল থেকে ৫ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তার ঝুলিতে রয়েছে ইরানের দশম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা।

উল্লেখ করা যায়, শুক্রবার দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময়সীমা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকলেও তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

ইরানে এখন গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরম চলছে বলে দিনের বেলা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। সন্ধ্যার পর ভোটারদের সারি বাড়তে থাকে এবং রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সারি আরো দীর্ঘায়িত হয়।

Advertisement

এর আগে গতকাল (শুক্রবার) রাজধানী তেহরানে দিনের প্রথম প্রহরেই ভোট দেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। ভোটাধিকার প্রয়োগের পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ আজ একটি ভালো দিন। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে আজ আমাদের প্রিয় জনগণের সক্রিয় হওয়ার দিন। অর্থাৎ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার দিন। ইনশাআল্লাহ আমাদের প্রিয় জনগণ ভোট দিয়ে সেরা প্রার্থীকে বেছে নেবেন। এই পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় কাজটি শেষ করবেন।

গেলো ২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে কেউ এককভাবে শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান অফে গড়ায়। ২৮ জুনের নির্বাচনে ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটার ভোট দেন। এরমধ্যে সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেশকিয়ান পান এক কোটি ৪ লাখ ভোট। অন্যদিকে, সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক ও বিপ্লবের মূলনীতির অনুসারী সাঈদ জালিলি পান ৯৪ লাখ ভোট।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

এবার কারাগারের টয়লেট ভেঙে পালালো তিন কয়েদি

Published

on

পাকিস্তানেরর কারাগার থেকে ছয় কয়েদির পালানোর ঘটনার বেশ কাটতে না কাটতেই এবার পালালো আরও তিন কয়েদি। তবে এবার কারাগারের টয়লেট ভেঙে বিচারাধীন অবস্থায় পালিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) কোয়েটা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের বেলুচিস্তানের কেন্দ্রীয় শহর দুকির একটি সাবজেল থেকে ওই তিন আসামি পালিয়ে যান। ‘দ্য ডন’র প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

দুকি থানার এসএইচও জলিল আহমেদ মারির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন বলছে, ডাকাতি ও খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত তিনজন কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুকি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। ওই কারাগারে রাখা ১৩ জন বিচারাধীন কয়েদিকে সকালে টয়লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়। তখন ওই তিনজন পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, জেল পালানো কয়েদিরা হলেন, আসমাতুল্লাহ, আবদুল কবির ও মুহাম্মদ সাদিক। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।

এ ঘটনায় কয়েদিদের নজরদারির কাজে নিয়োজিত কারা ওয়ার্ডেন ও দুই পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনজন পুলিশ সদস্য হলেন- ওয়ার্ডেন গুল খান, হেড কনস্টেবল আব্দুল গনি ও কনস্টেবল ইসমাইল মারি। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া বেলুচিস্তানের কারা মহাপরিদর্শক এ ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

এর আগে গেলো রোববার (৩০ জুন) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনসহ ১৯ কয়েদি আজাদ কাশ্মিরের রাওয়ালাকোটের একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে একজন কয়েদি আহত হয়েছিলেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৭ হাজার ৯০০ জনে।

স্থানীয় সময় রোববার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৭ হাজার ফিলিস্তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৮৬ হাজার ৯৬৯ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

Advertisement

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাতে ৯ মাসে ইসরাইলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব মারণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা, হেলফায়ার মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version