Connect with us

লাইফস্টাইল

অফিসে কাজের মাঝে মেক-আপ

Published

on

অফিস,-মেকআপ

চাকরিজীবী প্রায় সব নারীই সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় একটা বেসিক মেক-আপ করেই থাকেন। যারা একেবারের মেক-আপে পারদর্শী নন, তারা ময়শ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন লাগানো ত্বকে অল্প বিবি ক্রিম ব্লেন্ড করে কমপ্যাক্ট বুলিয়ে নিন। এবার যে কোনও ম্যাট পিচ বা কোরাল বা মভ ব্লাশ আঙুলে নিয়ে তা আইলিডে এবং চিকবোনে ব্লেন্ড করুন। মাসকারা পরতে পারেন। ইচ্ছে হলে বা অফিসে অ্যালাওয়েড হলে, অল্প কাজলও লাগাতে পারেন। শেষে লাগান পছন্দের হালকা রঙা লিপস্টিক। এটা মোটামুটি সব বয়সের, সব পেশার মানুষই বেসিক রুটিন হিসেবে মেনে চলতে পারেন।

তবে এখানেই শেষ নয়। এই মেক-আপ সারাদিন মেন্টেন করতে চাইলে একটা কথা খেয়াল রাখবেন। বার বার মুখে হাত দেবেন না। এতে মেক-আপ স্মাজ হয়ে যাবে। আর হাতের ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়া ত্বকে চলে যেতে পারে। সেখান থেকে কিন্তু র‍্যাশ ও হতে পারে।

যারা দিনের বেশিভাগ সময়টাই এসি-র মধ্যে কাটান তাদের ত্বকের উপর খুবই খারাপ প্রভাব পড়ে। এসিতে থাকলে ত্বক ক্রমশ শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে ত্বক ক্রমশ রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে যায়। ত্বকে কোনও জেল্লা থাকে না। এসি থেকে নিজের ত্বককে রক্ষা করতে চাইলে দু’ঘণ্টা অন্তর অন্তর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগন। যারা সারাদিন এসিতে থাকেন তারা ওয়াটার বাইন্ডিং ময়শ্চারাইজার বা ক্রিমবেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে এরা।

যারা দিনের অনেকটা সময় রোদে বাইরে থাকেন বা কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন, তারা এসপিএফযুক্ত ময়শ্চারাইজার লাগাতে পারেন। মনে হতে পারে অফিসের ভিতরে সানস্ক্রিনের আবার কিসের প্রয়োজন! প্রয়োজন আছে, কারণ কম্পিউটারের সামনে বসে বেশিক্ষণ কাজ করলেও ত্বক ট্যান হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।সানস্ক্রিনযুক্ত ময়শ্চারাইজার ইউভি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে যে ক্ষতি হয়, তার থেকে রক্ষা করবে। শুধু তাই নয়, ত্বকের স্বাভাবিক ময়শ্চারাইজার ব্যালান্সও বজায় রাখবে।

তবে শুধু মুখের যত্ন নিলেই কিন্তু হবে না। এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাত ও পায়ের ত্বক ক্রমশ রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রতিবার হাত ধোওয়ার পর অবশ্যই হ্যান্ড লোশন লাগাবেন। এতে হাতের ত্বকের ময়শ্চার ব্যালান্স বজায় থাকবে। প্রয়োজনে লোশন ব্যাগে রাখুন। দু’ঘণ্টা অন্তর অন্তর হাতে ভাল করে লাগিয়ে নিন। লাগাবার পর কবজি থেকে কনুইয়ের দিকে সার্কুলার মুভমেন্টে মাসাজ করুন। হাতের চেটোতেও ক্রিম লাগাবেন।

Advertisement

লাঞ্চের পর বা বাইরে কোথাও থেকে অফিসে ফিরে একবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালভাবে ধুয়ে নিন। তারপর সানস্ক্রিনযুক্ত ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। তারপর কমপ্যাক্ট লাগিয়ে নিন।

অফিসে কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যেই (বিশেষ করে যাঁদের দীর্ঘক্ষণ এসিতে বসে কাজ করতে হয়। কারণ, দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে ত্বকের সঙ্গে ঠোঁটও শুষ্ক হয়ে যায়। ঘন ঘন ঠোঁট ফাটে) এসপিএফযুক্ত লিপবাম বা ময়শ্চারাইজিং গ্লস লাগিয়ে নিন। ঠোঁট ফাটবে না। আর প্রতিবার খাবার খেয়ে মুখ ধোওয়ার পরও কিন্তু ঠোঁটে ময়শ্চারাইজার বা লিপবাম লাগাতে ভুলবেন না। লিপবাম লাগানোর পর ঠোঁট দু’টো ১৫-২০ সেকেন্ড সামান্য চেপে ধরুন। এতে ঠোঁটের ভিতরে ভাল করে ময়শ্চারাইজার যাবে, ঠোঁট কোমল, মসৃণ ও মোলায়েম হবে।

মনে রাখুন

অফিস ব্যাগে অথবা ড্রায়ারে এক সেট ফেসওয়াশ, ময়শ্চারাইজার, সানস্ক্রিন লোশন, ছোট সাইজের আয়না, কাজল পেনসিল রেখে দিন। আর হ্যাঁ, কমপ্যাক্ট অবশ্যই রাখবেন। প্রয়োজন পড়লে একটু পাফ করে নেবেন। ইনস্ট্যান্ট ফ্রেশ লুক পেয়ে যাবেন।

ব্যাগে একটা বেসিক রঙের লিপস্টিক অবশ্যই রাখবেন। খাওয়ার পর বা প্রয়োজনমতো টাচ-আপ করে নিতে পারবেন।

Advertisement

একটা বডি স্প্রেও রাখুন ব্যাগে। মাঝে মাঝে স্প্রে করে নিতে পারেন। রিফ্রেশড লাগবে।

লাইফস্টাইল

যে খাবার খেলে অফিস-বাসায় ফিট থাকবেন নারীরা

Published

on

সংসার, অফিস, বাড়ির সকলের দায়িত্ব— এত কাজ একা সামলাতে গিয়ে আলাদা করে নিজের খেয়াল রাখার সময় থাকে না মেয়েদের। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় খাওয়াদাওয়ায়। আর তাতে পুষ্টির অনেকটা অভাব ঘটে। পুষ্টির ঘাটতিতে নানা রকম রোগবালাই বাসা বাঁধে শরীরে। প্রতিরোধশক্তির অভাব ঘটে। তা ছাড়া আরও অনেক শারীরিক সমস্যা হানা দেয়। তাই হাজার ব্যস্ততার মাঝেও নিজের খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে মেয়েদের। ঘড়ি ধরে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খেতে যেগুলি শরীরের যত্ন নেবে। রইল তেমন কিছু খাবারের খোঁজ।

নানা রকম বাদাম

বিভিন্ন ধরনের বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন থাকে। কাঠবাদাম, পেস্তা, আখরোট, কাজু বাদাম, চিনে বাদাম— সবই স্বাস্থ্যকর জলখাবার হিসেবে খেতে পারেন। কিছু বাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখলে সকালে ঘুম থেকে উঠে জলখাবারের আগে খেয়ে নিন। অনেক বেশি উপকার পাবেন। এবং সকালের ব্যস্ততায় চটজলদি খাওয়াও হয়ে যাবে। এ ছাড়া চিয়া বীজ, তিসির বীজ, কুমড়োর বীজ বা অন্য কোনও বীজ দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিন। বিকেলের দিকে খিদে পেলে অল্প একটু খেয়ে নিতে পারেন।

শাকসব্জি

নানা রকমের শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ শাক-সব্জি মরসুম অনুযায়ী রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন কমে যায় আমাদের শরীরে। তাই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই প্রত্যেক দিন নানা রকম দামি প্রসাধনী ব্যবহার করার বদলে যদি খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দেন, তা হলে বেশি উপকার পাবেন।

Advertisement

ওট্‌স

চটজলদি স্বাস্থ্যকর জলখাবারের জন্য ওট্‌সের মতো ভাল জিনিস হয় না। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ওট্‌স। গ্লুটেন যদি সহ্য না হয়, তা হলে ওট্‌স ভাল বন্ধু হয়ে উঠবে। ওট্‌স গুঁড়ো করে তা দিয়ে রুটি, কেক, প্যানকেক— সব রকমই বানাতে পারেন। দুপুরের খাবারেও চলতে পারে ওট্‌সের খিচুড়ি। বিশেষ করে আপনি যদি ওজন কমানোর ডায়েট করেন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

আজ নেইল পলিশ দিবস

Published

on

নানা রঙে নখ রাঙাতে নেইল পলিশ বেছে নেন নারীরা। ১লা জুন নেইল পলিশ দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটিতে নারীরা তাদের নখে নেইল পলিশ দিয়ে সাজিয়ে উদযাপন করে থাকেন। অনেকে নেইল পলিশ দেয়া ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন।

একটু বেশি সাজসচেতন নারীদের কাছে নেইল পলিশের কদরই আলাদা। গায়ের পোশাক, হাতের ব্যাগ, পায়ের জুতা, অঙ্গের অলংকার-সবকিছুর সঙ্গে মিলিয়ে তারা নখও সাজান যত্ন করে। আর এই সুন্দর নখ, তাতে বাহারি আলপনা নারীর সৌন্দর্যে যোগ করে অন্য মাত্রা।

গবেষণা বলছে, প্রাচীন চীনে, ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে প্রথম শুরু হয়েছিল নেইল পলিশের ব্যবহার। সে সময় অবশ্য রাজবংশের মানুষজনই কেবল এটি ব্যবহার করত। শুরুতে সোনালি ও রুপালি রঙের নেইল পলিশ ব্যবহার করলেও পরে লাল ও কালো রংও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

প্রাচীন ব্যাবিলনের সৈন্যরাও নখ রাঙাত বলে জানা যায়। এ কাজে তারা অবশ্য বিভিন্ন সবজি ও মেহেদির রং ব্যবহার করত। ১৮ শতকের শেষের দিকে ইউরোপের অভিজাত মহলে নেইল পলিশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এমনকি ১৯ শতকের গোড়ার দিকে প্যারিসে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নেইল সেলুন’। একসময় নেইল পলিশের ব্যবহার, রঙের বৈচিত্র্য নারীদের সামাজিক অবস্থানের তারতম্য নির্দেশ করত। তবে সময়ের আবর্তে এটি এখন সাধারণ নারীদের অপরিহার্য সৌন্দর্য-উপকরণ হয়ে গেছে।

আজ ১ জুন, নেইল পলিশ দিবস। মার্কিন এক প্রসাধনসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০১৭ সালে দিনটির চল হয়। আপনিও দিনটি পালন করতে পারেন। নারী হলে নতুন রঙে সাজাতে পারেন হাত-পায়ের নখ। পুরুষেরা প্রিয় নারীকে কিনে দিতে পারেন তার পছন্দের ব্র্যান্ডের কোনো নেইল পলিশ।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

মাছ ছাড়াই মাছের ঝোল!

Published

on

গরমে আমিষের থেকেও নিরামিষ খাবার খেতে যেন বেশি ভাল লাগে। আজকে আপনাদের এমনই এক রেসিপি জানাচ্ছি যা দেখতে মাছের ঝোলের মতো হলেও মাছ কিন্তু এতে নেই।

উপকরণ:

সেদ্ধ আলু- ১টা

আলুর টুকরো- ৫/৬ টুকরো

কাঁচকলা সেদ্ধ- ২ টা

আদা বাটা- ৩ টেবিল চামচ

Advertisement

রসুন বাটা- ৩ টেবিল চামচ

লবন- পরিমাণ মতো

চিনি- পরিমাণ মতো

ধনে গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

জিরে গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

Advertisement

হলুদ গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

গোলমরিচ গুঁড়ো- ১ টেবিল চামচ

মরিচের গুঁড়ো- ২ টেবিল চামচ

লেবুর রস- সামান্য

তেল- পরিমাণমতো

Advertisement

সুজি- ৫/৬ টেবিল চামচ

চালের গুঁড়ো- ৩ টেবিল চামচ

টমেটো বাটা- ১টা

শুকনো মরিচ- ২/৩ টা

গোটা জিরে- আধ চা-চামচ

Advertisement

পদ্ধতি

প্রথমেই একটা মিক্সারে সেদ্ধ আলু, অল্প একটু আদা বাটা, রসুন বাটা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাল করে পেস্ট বানিয়ে নিন। পানি দেবেন না যাতে একটু আঠালো মাখা মাখা হয় মিশ্রণটা সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবার পেস্টটা একটা আলাদা পাত্রে তুলে রেখে দিন।

এবার সেই মিশ্রণের মধ্যে একে একে কাঁচকলা সেদ্ধ, পরিমাণমতো লবন, সামান্য চিনি, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো আর গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিন। হাত দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। উপর দিয়ে একটু লেবুর ছড়িয়ে দিন এতে স্বাদটা আরও ভাল হবে।

এবার মিশ্রণের উপর একটু হালকা ময়দা ছড়িয়ে শুকনো হাতে কিছুটা করে মিশ্রণ নিয়ে বরফির আকারে গড়ে নিন। এবার সেটার মাঝখানে আঙুল দিয়ে একটা ফুটো করে নিন দেখবেন দেখতে অনেকটা মাছের পিসের মতো লাগছে। এভাবে এক এক করে পুরো মিশ্রণ থেকে যে কটা পিস বেরোবে সেকটা তৈরি করে নিতে হবে।

অন্য একটা প্লেটে সুজি, চালের গুঁড়ো, সামান্য লবন আর সামান্য মরিচের গুঁড়ো নিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার বরফিগুলোকে উপর একটু হাত দিয়ে তেল মাখিয়ে নিন তাতে উপরে সুজির কোটিংটা ভালভাবে বসবে। এবার এক এক করে বরফি গুলো সুজিতে কোট করে আলাদা পাত্রে সাজিয়ে রেখে দিন। এবার প্যানে সর্ষের তেল গরম করে তাতে আলতো হাতে বরফিগুলো দিয়ে দুপিঠ উল্টেপাল্টে ভেজে নিন। দুপিঠ লাল লাল করে ভাজা হয়ে গেলে সেগুলো একটা থালায় তুলে রাখুন।

এবার ওই কড়াইতেই আরও কিছুটা সর্ষের তেল গরম করে তাতে ফোড়ন দিন শুকনো মরিচ আর গোটা জিরে। এবার দিয়ে দিন টমেটো বাটা, তারপর টুকরো করে রাখা আলু দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। একটু কষে এলে দিয়ে দিন বাকি আদা বাটা, রসুন বাটা, স্বাদমতো নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো। আঁচ কমিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কষান। ঢাকনা খুলে দেখবেন ঝোল অনেকটা টেনে গেছে আবার আলুও সেদ্ধ হয়ে গেছে। ঝোল ঘন হয়ে এলে ভেজে রাখা মাছের শেপে তৈরি বরফিগুলোকে ঝোলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন।

এবার উপর থেকে এক চা-চামচ ঘি আর গরমমশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মাছ ছাড়া মাছের ঝোল।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version