ঢাকা
নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩
![সংঘর্ষ](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/05/narsingdi-1.jpg)
নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে সরকারী প্রকল্পের বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজন গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে আলোকবালীর খোদাদিলা গ্রামে যুবলীগকর্মী জাকির হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জাকির গ্রুপের নৈপত্যে রয়েছেন ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাদির মিয়া এবং জয়নাল আবেদিন গ্রুপে রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দীপু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ফাহিম।
আহতরা হলেন, আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে কুতুবউদ্দিন (৩৫), খোদাদিলা গ্রামের হক মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬), ফিরোজ মিয়ার ছেলে তৈয়ব মিয়া (১৮)। এদের মধ্যে কুতুবউদ্দিন হচ্ছে বিএনপি নেতা জয়নালের সমর্থক এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে বাকি দুইজন কোন গ্রুপের তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। আরও কমপক্ষে ৭ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মেঘনা নদী ও তার শাখা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে নদী থেকে বালু উত্তোলন গেলো দুই মাস আগে শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী এসব বালু নদীর পাশে রাখার কথা হলেও প্রভাব বিস্তার করে আলোকবালী ইউনিয়নের সাতপড়া ও খোদাদিলাসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলী জমি, পুকুর, ডুবাসহ বিভিন্নস্থান ভরাট করা হচ্ছে।
আর এসব ভরাট করা বালুর জন্য প্রতি শতাংশ জায়গা ভরাটে জয়নাল আবেদিন ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রুপকে ১০-১৫ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে, জাকির গ্রুপ তাদের ভাগ না পাওয়া ও পূর্ব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়াও আধিপত্যকাল বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির গ্রুপ এলাকার বাহিরে ছিল। পুনরায় গ্রুপটি এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে আজ ভোর ৪ টার দিকে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ বলেন, ‘যুবলীগকর্মী জাকিরসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীকে বিএনপির ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচিব কাইয়ুম ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিনের লোকজন অত্যাচার ও নির্যাতন করে ৪ বছর ধরে বাড়িঘর ছাড়া রেখেছে। তারা জোরপূর্বক নিরীহ মানুষের বাড়িতে সরকারি প্রকল্পের বালু দিয়ে ভরাট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মূলত এলাকার নিরীহ মানুষ তাদের অত্যাচারের প্রতিবাদ থেকে এ সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। তবে, এ ঘটনায় আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। এখানে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর লোকজন ও বিএনপির লোকজন দ্বন্দ্ব জড়িয়েছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুর রহমান ফাহিম কল রিসিভ করেন নি।
আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন বলেন, “জাকির ডাকাতের নির্দেশে ও খোদাদিলা গ্রামের মালেক মেম্বারের ছেলে আল আমিনের অর্থায়নে নিরীহ এলাকাবাসীর ওপর হামলা করেছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনকে গুলি করে আহত করা হয়। সরকারি বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই, সরকারের লোকজনই নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার ধান্ধা। এটা রাজনৈতক কোনো দ্বন্দ্ব নয়।”
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। জাকির গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। খোদাদিলা গ্রামটি অনেক বড়। এক দিকে ধাওয়া করলে অন্য দিক দিয়ে পালাচ্ছে। খবর পেয়ে ভোর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
কেএস/
ঢাকা
পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর আত্মহত্যা, স্বজনদের দাবি গলা টিপে হত্যা
মাদারীপুরের কালকিনিতে নাদিয়া বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ নিহত নাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
শনিবার (২২ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মামুন।
নিহত নাদিয়া উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার খাসের হাটের কানুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শরীয়তপুরের ডামুডা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য জাহিদ হোসেনের স্ত্রী।
তবে নিহত নাদিয়ার স্বজনদের দাবি, যৌতুকের দাবিতে নাদিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী।
হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশগাড়ি এলাকার পরিপত্ত গ্রামের জুলহাস তালুকদারের মেয়ে নাদিয়াকে নিজ বসত ঘরের ভেতরে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করে।
নিহত নাদিয়ার আত্মীয় মাদারীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, ছুটিতে এসে নাদিয়াকে যৌতুকের দাবিতে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো তার স্বামী জাহিদ। গেলো শুক্রবার (২১ জুন) রাতেও নাদিয়াকে প্রচণ্ড মারধর করে জাহিদ।
তিনি বলেন, নাদিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর জাহিদ গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা মামলা করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা জাহিদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয় জানতে জাহিদকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কালকিনি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তা জানান, নাদিয়ার মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাকে জীবিত অবস্থায় পাইনি।
ওসি সরকার মামুন জানান, লাশ ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে আসলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএস/
ঢাকা
রাসেলস ভাইপারের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেলের দুর্গম চরে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে হোসেন ব্যাপারী (৫১) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) হেলালউদ্দিন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৮ দাগ এলাকায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত হোসেন ব্যাপারী ওই এলাকার পরেশউল্লা ব্যাপারীর ছেলে।
হেলালউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরের দিকে হোসেন ব্যাপারীকে রাসেল ভাইপার সাপে কামড়ায়। পরে তাকে ট্রলারযোগে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তার আগেই শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
কেএস/
ঢাকা
মৃত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
রাজবাড়ীর পাংশায় রাসেলস ভাইপারের ছোবলে আহত হয় এক কৃষক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সাপটিকে মেরে মধু বিশ্বাস (৫০) নামে ঐ কৃষক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই কৃষক বর্তমানে সুস্থ আছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরআফড়া এলাকায় পদ্মা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. এনামুল হক।
কৃষক মধু বিশ্বাস জানান, সকালে পদ্মা নদীর চরের চর আফড়া এলাকায় ক্ষেত থেকে বাদাম তোলার সময় একটি সাপ তাকে ছোবল দেয়। এসময় চিৎকার করলে আশপাশের অন্য কৃষকরা এগিয়ে এসে সাপটি মেরে ফেলে। পরে মৃত সাপসহ তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে চিকিৎসকরা এটিকে রাসেলস ভাইপার বলে শনাক্ত করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জানান, ওই কৃষক বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
আই/এ
-
বাংলাদেশ4 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বলিউড3 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
আইন-বিচার6 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
-
বাংলাদেশ2 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
বাংলাদেশ7 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
-
অপরাধ3 days ago
পার্কিংয়ে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, শোয়ার ঘরে স্ত্রীর