ঢাকা
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যা, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত
নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহত হওয়ায় আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রায়পুরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় এ উপজেলায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।
এর আগে, গেলো ২২ মে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আবিদ হাসান রুবেল নামে অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সুমনের ওপর হামলা চালায়। এতে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে প্রার্থী সুমনসহ দুপক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়। এসময়ে সুমন প্রাণ বাঁচাতে অন্যদের সহায়তায় স্থানীয় বাঁশগাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সুমন মিয়া মারা যান।
রায়পুরা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
আই/এ
ঢাকা
পুরস্কারের আশায় জীবন্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাজির কৃষক
৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবন্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নিয়ে প্রেসক্লাবে হাজির হয়েছেন রেজাউল খান (৩২) নামে এক কৃষক। তবে সাপটি জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নেয়ার জন্য বন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে বন বিভাগ প্রাপ্তী স্বীকারপত্র দিতে অপরগতা প্রকাশ করে। এর আগে ফরিদপুরে প্রতিটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারার বিপরীতে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
রোববার (২৩ জুন) জীবন্ত সাপ ধরার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া।
কৃষক রেজাউল জানান, ফসলি জমিতে চাষ করার সময় রাসেলস ভাইপারটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সেটিকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দেন।
ফরিদপুর পৌরসভার ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন বলেন, সাপ ধরার বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভুঁইয়া জানান, সরিসৃপ জাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান রেই। ধরাটাই একটি অপরাধ। কারো জালে আটকে গেলে সে অন্য কথা। তাই আইনগতভাবে তিনি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দিতে পারেন না। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন বিভাগে অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেল ভাইপার জমা দেয়া চেষ্টা করছে। এ নিয়ে তারা বিপদের মুখে পড়েছেন।
আই/এ
ঢাকা
প্রেমিকের বাড়িতে ফাঁস নিলেন প্রেমিকা
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন শান্তা আক্তার (২৩)। কিন্তু তার আসার খবরে ঘরে তালা দিয়ে লাপাত্তা হন প্রেমিক সোহাগ। তার বাড়িতে ৪ দিন অবস্থান নেয়ার পরও প্রেমিক না আসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক সন্তানের জননী শান্তা।
শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নাগাবড়ি ইউনিয়নের খালুয়াবাড়ী গ্রামে প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কালিহাতী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পলাতক প্রেমিক সোহাগ ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। এই ঘটনায় সোহাগের বাবা ও মাকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত শান্তা আক্তার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
জানা যায়, এক বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয় গৃহবধূ শান্তার। এরপর থেকে তাদের দুইজনে মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এছাড়া শান্তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছিলেন সোহাগ। পরে বিয়ের জন্য শান্তা সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন ও স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে সোহাগের বাড়িতে চলে আসেন। তবে শান্তার আসার খবরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান সোহাগ। পরে তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে শান্তা। এরপরও প্রেমিক না আসায় তিনি ওই বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন।
এর আগে বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো সমাধান পাননি শান্তা আক্তার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।
এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্বজনদের জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় প্রেমিকের বাবা ও মাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএস/
ঢাকা
আবাসিক হোটেলে অভিযান, আটক ২০ তরুণ-তরুণী
ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটকদের মধ্যে পাঁচ নারী ও ১৫ জন পুরুষ রয়েছেন।
শনিবার (২২ জুন) শহরের হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজার সংলগ্ন হোটেল গুলশান ও খড়িপট্টিতে অবস্থিত ৫টি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন— আবেদ আলী (২৪), চুন্নু মোল্যা (৩৪), তাপস বিশ্বাস (১৯), রোজিনা আক্তার (৩২), ডালিয়া আক্তার (২২), শম্পা আক্তার (২১), সন্ধ্যা (২৫), ফয়সাল ফকির (২৮), ফয়সাল খান (২২), মো. শাহীন শেখ (২৫), মেহেদী হাসান (২৩), আহম্মদ শেখ (২৩)।
ওসি মো. হাসানুজ্জামান জানান, ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, বোর্ডিংয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেলগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এসময় হোটেল গুলশান, হোটেল নুর আবাসিক, সকাল-সন্ধ্যা আসাবিক, ভাই-ভাই হোটেল, নিবর বোর্ডিং থেকে পাঁচ নারী ও ১৫ জন পুরুষকে আটক করে থানায় আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া হোটেল মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করা হবে।
-
বাংলাদেশ4 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বলিউড4 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
বাংলাদেশ3 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
বলিউড7 days ago
‘বাবা চান না আমি বিয়ে করি’, বিস্ফোরক মন্তব্য সোনাক্ষীর
-
অপরাধ4 days ago
পার্কিংয়ে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, শোয়ার ঘরে স্ত্রীর
-
দুর্ঘটনা1 day ago
সেতু ভেঙ্গে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৯
-
টুকিটাকি11 hours ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি