Connect with us

আন্তর্জাতিক

লাদেনের নামে বিয়ার!

Published

on

বিয়ার

নাইন-ইলেভেনে টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনায় দায়ী করা প্রধান ব্যক্তি ও আল কায়েদার সাবেক নেতা ওসামা বিন লাদেনের নামে একটি বিয়ারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। বিয়ারটির নাম ‘ওসামা বিন লেগার’।

নেট দুনিয়ায় বিয়ারটি নিয়ে এতো আলোচনা হয়েছে যে, এর চাহিদা প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিয়ারটিতে অ্যালকোহলের মাত্রা রাখা হয়েছে ৪.৫ শতাংশ। গ্রাহকদের চাপে বিয়ার কারখানাটির মালিক তার ব্যক্তিগত ফোন এবং দোকানের ওয়েবসাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কারখানাটির মালিক লুক ও ক্যাথরিন মিচেল, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

Advertisement

লুক মিচেল বলেন, শেষ কয়েকটি সকালে ঘুম ভাঙার পরে আমরা দেখেছি, হাজার হাজার নোটিফিকেশনে আমাদের ফোন ভর্তি হয়ে আছে। সবাই যখন প্রথমবার এটি দেখেছে, বেশ হেসেছে। আমি যতদূর খেয়াল করেছি কেউ এতে বিক্ষুব্ধ হয়নি বরং আনন্দ পেয়েছে।

অপরদিকে মিসেস মিচেল বলেন, গেলো ৪৮ ঘণ্টায় আমাদের ফোন ননস্টপ চলেছে। সেখানে কাস্টমারদের প্রশংসার পাশাপাশি আরও অর্ডার পেয়েছি আমরা।

উল্লেখ্য, নাইন-ইলেভেনে হামলার শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা করে এমন একটি দাতব্য সংস্থাকে ওসামা বিন লেগারের প্রতিটি ব্যারেল থেকে ১০ পাউন্ড দান করে থাকে বিয়ার বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানটি।

কেএস/

Advertisement

আন্তর্জাতিক

গাজায় ২০ হাজারের বেশি শিশু নিখোঁজ

Published

on

টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজা উপত্যকায় ২০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশু নিখোঁজ হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে, অনেককে আটক করা হয়েছে, অনেককে আবার অচিহ্নিত কবরে সমাহিত করা হয়েছে আবার অনেকেই তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিশ্বজুড়ে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই তথ্য সামনে এনেছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক এই দাতব্য সংস্থা বলেছে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েল নিরলসভাবে স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে তথ্য সংগ্রহ এবং তা যাচাই করা ‘প্রায় অসম্ভব’। তবে গাজায় কমপক্ষে ১৭ হাজার শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া আনুমানিক ৪ হাজার শিশু ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে এবং বিভিন্ন গণকবরেও অসংখ্য শিশুকে সমাহিত করা হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, ‘অন্যান্যদের জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে, যার মধ্যে অজ্ঞাত সংখ্যক শিশুকে আটক করা হয়েছে এবং জোরপূর্বক গাজা থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নির্যাতন করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া তাদের পরিবারের কাছে তাদের অবস্থান এখনও অজানা।’

সেভ দ্য চিলড্রেনস-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর ফর মিডল ইস্ট জেরেমি স্টোনার বলেন, ‘পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জন কোথায় অবস্থান করছে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। কোনো অভিভাবককে যেন তাদের সন্তানের মৃতদেহ খুঁজে বের করার জন্য ধ্বংসস্তূপ বা গণকবর খুঁড়তে না হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো শিশুর একা ও অরক্ষিত অবস্থায় থাকা উচিত নয়। কোনো শিশুকে আটকে রাখা বা জিম্মি করাও উচিত নয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসকে নির্মূলের যুদ্ধের নামে ইসরায়েল গেলো আট মাসে ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি এই আগ্রাসন গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

কেএস/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফারাক্কা-তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার অভিযোগ সঠিক নয়

Published

on

ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে বাংলাদেশ ও নয়াদিল্লির মধ্যে সমঝোতার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলেছেন তা সঠিক নয় বলে জানায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদন বলছে, অতি সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফর করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় এ দুই ইস্যুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে ঢাকার সঙ্গে সমঝোতা করেছে নয়াদিল্লি। এ বিষয়ে সোমবার (২৪ জুন) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণের এই চুক্তির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে।’ পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এই ধরনের চুক্তিতে ‌‌সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

Advertisement

তিস্তা প্রসঙ্গে চিঠিতে তিনি লেখেন, গেলো কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে— যদি বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

‘এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতেও তিস্তার পানির প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়,’ ২৪ জুনের চিঠিতে লিখেছেন মমতা।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই ফারাক্কা ও তিস্তা ইস্যুতে লিখিতভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চিঠিতে ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন ও এই সংক্রান্ত পর্যালোচনায় অংশ নেয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছিল।

সেই আহ্বান মেনে গেলো বছর ২৫ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি নয়াদিল্লিতে পাঠানোও হয়েছিল। তারপর গেলো ৫ এপ্রিল রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের পানির চাহিদা সংক্রান্ত কী কী দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে মানতে হবে— তা লিখিতভাবে জানান নয়াদিল্লিকে।

১৯৯৬ সালে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে। যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

অফিস ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৮

Published

on

রাশিয়ার মস্কোতে একটি অফিস ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন জানালার মধ্য দিয়ে নিচে ঝাঁপ দিয়ে।

সোমবার (২৪ জুন) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কোর কাছে একটি বড় অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত আটজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ।

জরুরি বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদসংস্থা তাস নিউজ এজেন্সি জানায়, রাজধানীর প্রায় ২৫ কিলোমিটার (১৫.৫ মাইল) উত্তর-পূর্বে ফ্রাইজিনোতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাত্র একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিভ বলেছেন, আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার পর জানালা থেকে ঝাঁপ দেয়ার পর দুইজন নিহত হন এবং অফিসের অভ্যন্তর আগুনে বাকি ছয়জন মারা যান।

Advertisement

আন্দ্রে ভোরোবিভ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া আগুনে আহত দুই দমকলকর্মীকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি আগুন থেকে উদ্ধার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০ টি কোম্পানি ভবনটিতে অফিসের জায়গা ভাড়া নিয়েছিল। বিল্ডিংয়ের দুই কর্মচারীর ভাগ্য এখনও অজানা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করছেন প্রসিকিউটররা।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version