Connect with us

ক্রিকেট

দর্শক, আপনি কি আর উৎসাহ খুঁজে পান!

Published

on

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন দিনের দেখা পাবে টাইগাররা, তা আসলে ভাবার কথা নয় কারও। তবে বাংলাদেশি সমর্থকরা এখন অনেকটা প্রস্তুত হয়ে থাকে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সময় আসতে পারে তাদের কাছে, যেন এটাই এখন নিয়তি। তবুও মানতে কষ্ট হয়। যে উত্থানের স্বপ্ন দেখা হয়েছে এই দেশের ক্রিকেট নিয়ে, তা কী কোনো ‘মিথ’- এমন সন্দেহ জাগার উপলক্ষ তৈরি করে দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।

বাংলাদেশের ম্যাচ দেখার জন্য সমর্থকরা অনেক কষ্ট করেন। মিরপুরের প্রতিটি জায়গা তার প্রমাণ। শুধু মিরপুরই বা কেন, এখন যে ঢাকার বাইরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেওয়ার চর্চা দেখা যায়- সেখানেও তো একই চিত্র। টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে মাঠে বসে খেলা দেখা, সবকিছুতেই সংগ্রাম থাকে দর্শকদের।

দীর্ঘ সময় আশা নিয়ে স্টেডিয়ামে বসে থাকে এদেশের মানুষ, তারা ক্ষুধার্ত হয়- কিন্তু তাদের খাবারের ব্যবস্থাও কী খুব সম্মানের সাথে করতে পারে ক্রিকেট বোর্ড? দাম দেখেই হতাশ হতে হয়। তবুও খুব বেশি অভিযোগ নেই তাদের। এই দর্শকেরা চায় শুধু বাংলাদেশের একটি জয়। তাতেই সকল কষ্ট, সারাদিনের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায় তাদের। তবে এখানেই সবচেয়ে বড় ‘আইরনি’ মেনে নিতে হয় বোধহয়।

তোমার ভালোবাসা আছে কিন্তু প্রাপ্তি নেই। প্রাপ্তির পাতা দিয়ে ভরে যাবে এদেশের ক্রিকেট, এমন ভাবনাও তো নেই। আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে, কিছু কিছু জয়, দলের পরিবেশ- সবকিছু দেখে একটা মানসিক শান্তি পাওয়ার বিষয় আছে। সেখানেও ‘মিসিং’- তবে এত মানুষ এদেশে, তাদের ভালোবাসা- সবকিছু নিয়ে তারা কোথায় যাবে?

এখন অনেকেই ছেড়ে যাচ্ছে। আপনারা ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে দেখুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকালে অনেককিছুই স্পষ্ট হয়ে যায়। মানুষ খেলা দেখা কমিয়ে দিচ্ছে। সাধারণ কিছু বিশ্বাস আর ভরসা নিয়ে তারা তাকিয়ে থাকতো, সেই জায়গা বারবার নোংরা হচ্ছে। সবকিছু ভুলে গিয়ে আবারও টেলিভিশনের সামনে যেয়ে বসার যে আয়োজন, সেটিও যেন আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আগামী ২ জুন থেকে। বাংলাদেশ সেখানে অংশ নেবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলবে। যা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে। এমনই কথা ছিল সব। সেখানে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫ উইকেটে হারের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানে পরাজিত হয় নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল।

আর একটি ম্যাচ বাকি আছে। সেই ম্যাচের ফলাফল নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ থাকার কথা নয় বাংলাদেশি সমর্থকদের। সবকিছু এমন মলিন হয়ে গেল বিশ্বকাপ শুরুর আগেই। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে এই দল আবার কীভাবে নিজেদের সামলিয়ে উঠবে- তা এক প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগ্রহও কী পাচ্ছে বাংলাদেশি সমর্থকেরা? নাকি সব উৎসাহ হারিয়ে বসেছে তারা!

ক্রিকেট

পাকিস্তানের বিদায়ে খারাপ লাগছে তামিমের  

Published

on

২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছিলো পাকিস্তান। অথচ এবছর গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

পাকিস্তানের এমন বিদায়ে খারাপ লাগছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানের বিদায়ে খারাপ লাগা নিয়ে তামিম ইকবাল লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তান বাদ পড়ায় খারাপ লাগছে। আশা করছি তারা পরেরবার ভালো করবে, শহীদ আফ্রিদির মতো সিনিয়র ক্রিকেটার পথ দেখাবেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে পাকিস্তান।  প্রথমে ব্যাট করে ক্রিকেটের নবাগত দলটিকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। পরে ব্যাট করতে নেমে সেই ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্র টাই করলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।  এরপর সুপার ওভারে এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির কাছে হেরে যায় তারা।

পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে।  সেই ম্যাচটিতেও প্রায় জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিলো তারা।  শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ৬ রানে।

দুই ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে জয় পায় বাবর আজমের দল।  এই জয়ের পর সুপার এইটের আশা কিছুটা জেগে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বিদায় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

জিততে জিততে হেরে গেলো নেপাল

Published

on

প্রথম ইনিংসে দারুণ বলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৫ রানে আটকে দেয় নেপাল। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং শুরু করে দলটি। কিন্তু ইতিহাস গড়তে শেষ বলে ব্যর্থ হয় নেপাল। শেষ বলে ১ রান নিতে পারলেই হয়ে যেত ড্র। কিন্তু সেই ১ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গুলশান। স্বপ্ন ভেঙে যায় নেপালের।

১৮ বলে ১৮ রানের সমীকরণ নেমে আসে ১২ বলে ১৬ রানে। নরকিয়ার করা ১৯তম ওভারে ফেরেন কুশাল মাল্লা। এরপরেই সোমপাল কামির ১০৫ মিটারের ছক্কা বদলে দেয় দৃশ্যপট। সেই ওভারে আসে ৮ রান। শেষ ওভারে নেপালের দরকার ছিল আরও ৮ রান। ওটনিয়েল বার্টম্যানের সেই ওভারের প্রথম দুই বল ছিল ডট। পরের বলেই গুলশান ঝায়ের চার।

শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান। কিন্তু বার্টম্যানের শেষ বলে ব্যাটে বলে হয়নি। সেখানেই রানআউট হয়ে ১ রানে হারের হতাশায় ডুবতে হয় নেপালকে। সেইসঙ্গে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের।

এর আগে প্রথমে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন কুশাল ব্র‍ুটালরা। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে আসে ৫৭ রান। এরপর ১১.২ ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কুশালের শিকার হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ২২ বলে ১৫ রানে ফেরেন তিনি। এর আগে ৩.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ডি কক ফিরলে, দীপেন্দ্রর প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন ১০ রানে।

তবে এরপরই প্রোটিয়াদের আরও চেপে ধরেন নেপালের স্পিনাররা। হেনরিখ ক্লাসেন ৩ ও মার্কো জানসেন ফেরেন ১ রানে। একপাশ আগলে রাখা রেজা হেনড্রিকসও ফেরেন এর মাঝেই। ১৫.৩ ওভারে ৪৯ বলে ৪৩ রানে দীপেন্দ্রর বলে আউট হন তিনি।

Advertisement

ডেভিড মিলার বিতর্কিতভাবে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি, ৭ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। তবে প্রোটিয়ারা তিন অংকের ঘরে পৌঁছে মূলত ট্রিস্টান স্টাবসের ব্যাটে। ১৮ বলে অপরাজিত ২৭ রান তুলে দলকে পৌঁছান ১১৫ রানে।

দীপেন্দ্র সিং ৩ ও কুশাল ব্রুটাল নেন ৪ উইকেট। উইকেট না পেলেও দারুণ বল করেন সন্দিপ লামিচানে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড

Published

on

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। প্রথম দুই ম্যাচ হারায় শেষ আটে ওঠা হল না আগের আট আসরে গ্রুপ পর্বের বাঁধা উতরাতে পারা কিউইদের। আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে উগান্ডার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল কেইন উইলিয়ামসনের দল। পুঁচকে উগান্ডাকে পেয়ে যেন গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার ঝাঁঝ মিটিয়েছেন কিউই ক্রিকেটাররা।

শনিবার (১৫ ‍জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করা উগান্ডাকে বোলিং দাপটে ১৮.৪ ওভারে ৪০ রানে থামায় নিউজিল্যান্ড। চলতি বিশ্বকাপেই এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল উগান্ডা।

এদিকে ৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজ একটি উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দলীয় ২৪ রানে ফিন অ্যালেন আউট হলেও ৩২ বলেই জয় তুলে নিতে পেরেছে কিউইরা।

১৫ বলে ২২ রান করে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন ডেভন কনওয়ে। এদিকে ৩২ বলে ম্যাচটি জিতে নিয়ে একটি রেকর্ডও গড়েছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের তালিকায় কিউইদের এই জয় আছে তালিকার তিনে।

একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের সবথেকে বেশি হাতে রেখে জয়ও এখন এটি। এর আগের রেকর্ডটি ছিল কেনিয়ার বিপক্ষে। ২০০৭ সালে সেই ম্যাচটি কিউইরা জিতে নিয়েছিল ৭৪ বল হাতে রেখে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version