বাংলাদেশ
জাতীয় শোক দিবস আজ
আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সূর্য উদয় ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৬ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৮ টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল।
দুপুর ১২ টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। উক্ত কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল, গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়াও, ১৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪ টায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুদীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামি বরখাস্ত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারি (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন।
১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনীদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়।
১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারক বিব্রত হওয়াসহ স্বাধীনতা-বিরোধী চক্রের নানা বাধার কারণে আটবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে, ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় প্রদান করে। বিচারক এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বজায় রাখেন। কিন্তু অপর বিচারক এ বি এম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
পরবর্তীতে ২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে বিচার কাজ বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রদান করেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে ৫ আসামিকে নিয়মিত আপিল করার অনুমতিদানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন।
২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর ২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয় এবং আদালত ১৯ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়।
২০২০ সালের ১২ এপ্রিল ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর আরও একজন খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ৪৫ বছর, নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের মামলার ২৫ বছর এবং উচ্চ আদালতের রায়ে ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকরের প্রায় দশ বছর পর গ্রেপ্তার হয় খুনি মাজেদ। বিদেশে পালিয়ে থাকা বাকী আসামিদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জাতীয়
বিএসটিআই’কে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে : শিল্পমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এণ্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-কে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। অনেক ভালো ব্যবসায়ী আছেন যারা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বাজারজাত করে বিশ্ব বাজারে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ী নামক এক ধরণের প্রতারকরা নকল পণ্য উৎপাদন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এ বিষয়ে বিএসটিআই’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ূন।
সোমবার (২০ মে) রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বির্নিমাণে আজকের পরিমাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক, মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান, বিএসটিআই’র সাবেক মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন, সরদার আবুল কালামসহ শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি পণ্য যেন দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত হয় আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিএসটিআই সফলভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিএসটিআই’র অফিস ও ল্যাবরেটরি বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেন কোন ভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও উচিত বিএসটিআইকে তাদের কাজে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, বিএসটিআইকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিএসটিআইতে আরও বেশকিছু নতুন ল্যবরেটরি স্থাপিত হবে। এরফলে দেশে মানসম্ন্ন পণ্য উৎপাদিত হবে। এভাবে বিএসটিআইকে শক্তিশালী করে আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে এবং আমদানি কমাতে হবে।
এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বিএসটিআই’র সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। সরকারের উচিত আরও নতুন নতুন যন্ত্রপাতি দিয়ে বিএসটিআইকে অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। বিএসটিআই সব সময় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে থাকে। এভাবে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে সবাই মিলে কাজ করলে দেশ এগিয়ে যাবে।
বিএসটিআই’র উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআই’র মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সম্বলিত লাইসেন্স প্রদান, পণ্যের হালাল সনদ প্রদান, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাইপূর্বক সনদ প্রদান শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে বিএসটিআই’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় চালু, নতুন জনবল সৃজন, পণ্য পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিকমানের নতুন নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং বিদ্যমান ল্যবরেটরিসমূহে নতুন নতুন পণ্য পরীক্ষণ প্যারামিটার সংযুক্তিকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি পণ্যের মান এবং ওজন ও পরিমাপ বিষয়ে বিএসটিআই’র প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এএম/
বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার
শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে সরকার। প্রতি দুই বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেয়া হবে।
পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া তিনি ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন।
আজ সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে একটি নীতিমালাও করা হবে।
মাহবুব হোসেন জানান, সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রতি দুইবছর পরপর ১৭ মার্চ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ২৩ মে পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ১ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণের আর্থিক পুরস্কারের সঙ্গে ১৮ ক্যারটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ পদক পাবেন।
জেএইচ
জাতীয়
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারের যাত্রীদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ মে) পৃথক বার্তায় তারা শোক জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি দেশটির নাগরিক ও প্রেসিডেন্টের স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাইসিকে একজন বড় মাপের নেতা উল্লেখ করে বলেন, তিনি সারাজীবন তার দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার কাজের উপকার ভোগ করছেন দেশটির নাগরিকরা। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এরআগে, শনিবার (১৮ মে) কয়েকজন সহযোগীসহ আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের পাশাপাশি হেলিকপ্টারটিতে ইরানের আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাও ছিলেন। এছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
এএম/
-
আইন-বিচার6 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট5 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি6 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়5 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা7 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ6 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
বলিউড3 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
আইন-বিচার4 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা