বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার: ৬ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, পলাতক ৫
Published
2 years agoon
By
অনন্যা চৈতী১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের দিন। কিছুসংখ্যক বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। সবশেষ দণ্ড কার্যকর করা হয় ভারতে পালিয়ে থাকা আসামি আবদুল মাজেদের।
২০২০ সালের ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বাকি ছয় আসামির মধ্যে দণ্ডিত আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান। অন্য পাঁচজন এখনো পলাতক।
পলাতক আসামিরা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এ এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন। তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এদিকে আত্মস্বীকৃত এসব খুনিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয় মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রথম রায়
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঐতিহাসিক ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল বিচার শেষে ১৫ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় রায়
নিম্ন আদালতের এ রায়ের পর দেশের উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন বা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) আসে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ প্রথমে দ্বিধা বিভক্ত রায় দেন। হাইকোর্টের বিচারপতি এম রুহুল আমিন ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। খালাস দেন পাঁচ আসামিকে। অন্য বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ আসামির মধ্যে সবারই মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায় বহাল রাখেন।
এরপর মামলাটি শুনানির জন্য আবার নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পরে সেখানে আবারও রায় ঘোষণা করা হয়। সেটি ছিল মামলার তৃতীয় রায়।
তৃতীয় রায়
২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চের বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের একক বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। আর খালাস দেন বাকি তিনজনকে। এই ১২ আসামির মধ্যে একজন মারা যান, ছয়জন পলাতক থাকেন। অন্য পাঁচজন কারাগারে আটক ছিলেন।
দীর্ঘ ছয় বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
চতুর্থ রায়
২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর ২৯ দিনের শুনানির পর আপিলের ওপর শুনানি শেষ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে আপিল আদালত ওই বছরের ১৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। পরে ওইদিন (১৯ নভেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হলে ২৮ জানুয়ারি পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়। ফাঁসি কার্যকর করা পাঁচ খুনি হলেন- লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার)।
সবশেষ ফাঁসি কার্যকর করা হয় ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের। দুই দশকেরও বেশি সময় ভারতে পালিয়ে থাকার পর ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল দেশে ফেরা মাজেদ ঢাকার গাবতলী থেকে গ্রেফতার হন। এর পরের বছর ২০২০ সালে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ওই বছরের ১২ এপ্রিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
২১ বছর পর মামলা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। কেননা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। সে কারণে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে (পরে তিনি খালাস পান) গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন। পরে আরেক আসামি মহিউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, সেখানে আসামি করা হয় ২৪ জনকে। একই বছরের ১২ মার্চ আদালতে বিচার শুরু হয়।
১৯৯৮ সালে অন্য আসামি বজলুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। সবশেষ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পলাতক অন্য খুনি এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, পরিবারের সদস্যসহ যারা শহীদ হন
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মেজো ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ছোট ছেলে শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত ও ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু ও আত্মীয় বেন্টু খান, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক ও এসবি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। এসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
এসি
অন্যরা যা পড়ছেন
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আট জনের মৃত্যু
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
আজ দেশের আকাশে দেখা যাবে শিংওয়ালা ধূমকেতু
মালয়েশিয়ায় জঙ্গল ও খাটের নিচ থেকে ৪৫ বাংলাদেশি আটক
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
জাতীয়
উপজেলা নির্বাচনে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
Published
5 mins agoon
এপ্রিল ২৩, ২০২৪By
Anik Mahmudউপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সাথে চূড়ান্ত তালিকা এলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইসি।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, দিনাজপুরের হাকিমপুরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, গাইবান্ধার সাঘাটায় চেয়ারম্যান, পাবনার বেড়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, নাটোরের সিংড়ায় চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মুন্সিগঞ্জ সদরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মাদারীপুরের শিবচরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে চেয়ারম্যান এবং রাঙ্গামাটির কাউখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান রযেছেন।
এর আগে ইসি জানায়, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬টিসহ মোট ১ হাজার ৮৯১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আই/এ
সার্টিফিকেট বাণিজ্যে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
হারুন বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, বোর্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণ লোক ছিল না। তাই নজরদারি রাখতে পারেননি।
ডিবিপ্রধান বলেন, আকবর এই জালিয়াতির দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা অনেক প্রশ্ন করেছি। তিনি দুই-এক দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানিয়েছেন। তাকে আজকের মতো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তাকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি এখনো আমাদের নজরদারিতে আছেন। বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে আবারো তার সঙ্গে বসব। আমাদের যদি মনে হয় তিনি জড়িত তাহলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
এ সময় হারুন জানান, সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় আলী আকবর খানের স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। যারা এই সনদগুলো কিনেছেন তারাও জড়িত। তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে।
টিআর/
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন৷
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বিকেলে সেয়া ৩টার দিকে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গভবনে পৌঁছালে কাতারের আমিরকে ফুলেল অভ্যর্থনায় বরণ করে নেন রাষ্ট্রপতি। এরপর বৈঠকে বসেন রাষ্ট্রপতি ও কাতারের আমির।
এ সময় বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নিতে ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এ বৈঠকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পেও বিনিয়োগ সুবিধা নিতে পারে কাতার বলে আমিরকে অবহিত করেন রাষ্ট্রপতি৷
দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আলোচনা হয় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও।
পরে বঙ্গভবনের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এরপর রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তিনি।
এরপর দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়েন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি৷
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় দুই নেতার উপস্থিতিতে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
জাতীয়
উপজেলা নির্বাচনে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও...
আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যা বললেন ডিবি হারুন
সার্টিফিকেট বাণিজ্যে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর...
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন৷ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো....
ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ না করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ...
বান্দরবানের তিন উপজেলার ভোট স্থগিত: ইসি সচিব
বর্তমানে বান্দরবানের থানচি, রোমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এই জন্য এ তিন উপজেলার নির্বাচন স্থগিত। জানিয়েছেন...
ডিবি কার্যালয়ে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সদ্য সাবেক...
বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাভারের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক...
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন কাতারের আমির, চুক্তি-সমঝোতা সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি...
রাজধানীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
বৃষ্টির প্রার্থনায় রাজধানীতে সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে। নামাজে ইমামতি করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে...
তীব্র তাপপ্রবাহে পুলিশ সদস্যদের প্রতি ১১ নির্দেশনা
সারা দেশে সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি রয়েছে। তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোক...
উপজেলা নির্বাচনে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
‘তুফান‘ নিয়ে আসছে রায়হান রাফি
এক যুগ পরে ‘সঞ্জীব’অ্যালবাম নিয়ে ‘দলছুট’
লাইনে নেমেই ঠিক আছি: স্বস্তিকা
আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যা বললেন ডিবি হারুন
ছাত্রলীগ নেতাসহ কেএনএফের ৭ সদস্য কারাগারে
পাউডার ব্যবহারেও বাড়তে পারে ঘামাচি
‘গোলাপী’ চাঁদের দেখা মিলবে আজ রাতেই
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ১৭ জনের নাম ঘোষণা
মোস্তাফিজ দেশে ফিরবেন বলে মন খারাপ ধোনিদের
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি
ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
চড়-থাপ্পড়েই বাড়বে নারীদের সৌন্দর্য!
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ4 days ago
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি
- ইসলাম7 days ago
ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- বাংলাদেশ4 days ago
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
- বাংলাদেশ5 days ago
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
- লাইফস্টাইল6 days ago
চড়-থাপ্পড়েই বাড়বে নারীদের সৌন্দর্য!
- আবহাওয়া3 days ago
রাতে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে যে সব এলাকায়