বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার: ৬ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, পলাতক ৫
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের দিন। কিছুসংখ্যক বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। সবশেষ দণ্ড কার্যকর করা হয় ভারতে পালিয়ে থাকা আসামি আবদুল মাজেদের।
২০২০ সালের ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বাকি ছয় আসামির মধ্যে দণ্ডিত আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান। অন্য পাঁচজন এখনো পলাতক।
পলাতক আসামিরা হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এ এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন। তাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এদিকে আত্মস্বীকৃত এসব খুনিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয় মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রথম রায়
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঐতিহাসিক ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল বিচার শেষে ১৫ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় রায়
নিম্ন আদালতের এ রায়ের পর দেশের উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন বা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) আসে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ প্রথমে দ্বিধা বিভক্ত রায় দেন। হাইকোর্টের বিচারপতি এম রুহুল আমিন ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। খালাস দেন পাঁচ আসামিকে। অন্য বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ১৫ আসামির মধ্যে সবারই মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায় বহাল রাখেন।
এরপর মামলাটি শুনানির জন্য আবার নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। পরে সেখানে আবারও রায় ঘোষণা করা হয়। সেটি ছিল মামলার তৃতীয় রায়।
তৃতীয় রায়
২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চের বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের একক বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। আর খালাস দেন বাকি তিনজনকে। এই ১২ আসামির মধ্যে একজন মারা যান, ছয়জন পলাতক থাকেন। অন্য পাঁচজন কারাগারে আটক ছিলেন।
দীর্ঘ ছয় বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
চতুর্থ রায়
২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর ২৯ দিনের শুনানির পর আপিলের ওপর শুনানি শেষ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে আপিল আদালত ওই বছরের ১৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। পরে ওইদিন (১৯ নভেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হলে ২৮ জানুয়ারি পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়। ফাঁসি কার্যকর করা পাঁচ খুনি হলেন- লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার)।
সবশেষ ফাঁসি কার্যকর করা হয় ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের। দুই দশকেরও বেশি সময় ভারতে পালিয়ে থাকার পর ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল দেশে ফেরা মাজেদ ঢাকার গাবতলী থেকে গ্রেফতার হন। এর পরের বছর ২০২০ সালে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ওই বছরের ১২ এপ্রিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
২১ বছর পর মামলা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। কেননা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। সে কারণে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে (পরে তিনি খালাস পান) গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন। পরে আরেক আসামি মহিউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, সেখানে আসামি করা হয় ২৪ জনকে। একই বছরের ১২ মার্চ আদালতে বিচার শুরু হয়।
১৯৯৮ সালে অন্য আসামি বজলুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। সবশেষ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পলাতক অন্য খুনি এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, পরিবারের সদস্যসহ যারা শহীদ হন
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মেজো ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ছোট ছেলে শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত ও ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু ও আত্মীয় বেন্টু খান, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক ও এসবি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান। এসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
এসি
অপরাধ
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচির পর সংঘর্ষ, শিক্ষার্থী নিহত
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচির পর সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান বাড্ডার নুরের চালা এলাকার বাসিন্দা। তিনি এ বছর ভাটারার সোলমাইত হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। তার মা লিপি সিকদার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের মামা মো. চয়ন গণমাধ্যমে বলেন, আমরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করি। র্যালিটি রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত ছিল। র্যালি শেষে হেঁটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পার হচ্ছিলাম। এ সময় পিকআপ ভ্যানে চড়ে র্যালিতে যোগ দেয়া আরেক দল নেতাকর্মীর সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এর মধ্যে কেউ একজন মেহেদির বুকে ছুরিকাঘাত করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে গণমাধ্যমে বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি শেষে দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় মারামারি হয়েছে। সেখানে মেহেদী হাসান নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
এএম/
জাতীয়
বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপর কিরগিজস্তানের স্থানীয়দের হামলা, নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশিরা
কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন দেশটিতে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সাথে শিক্ষার্থীদের +998930009780 নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে চলমান সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিজস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে ঘোষিত নাম্বারে যোগাযোগ করবার পরামর্শ দেয়া হল।
জানা যায়, গেলো ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।
রয়েল মেট্রোপলিটন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই সহিংসতা শুরু হয়েছে। ফলে সবাই যে নিজ নিজ রুমে ফেরত আসতে পেরেছে বিষয়টি এমন নয়। যে যেখানে পেরেছে, আত্মগোপন করেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে তিনি দেশে ফেরত যেতে চান। এসময়ে তাকে উদ্ধারেরও আকুতি জানান এ শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, দেশটিতে বাংলাদেশের কোন মিশন নেই। সেখানে একজন অ্যাম্বাসেডর অ্যাক্রিডিটেড আছেন। তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আই/এ
অপরাধ
রাজধানীতে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
রাজধানীতে ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাফরুল থানা পুলিশ। গেলো বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে কাফরুলের তালতলা ও মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৮ মে) কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, রাজু হোসেন ও মো.রাসেল ওরফে হৃদয়।
ওসি মো. ফারুকুল আলম বলেন, একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গত ১৫ মে ভিকটিমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চুরি মামলা রুজু হয়। এরপর আশপাশের সিসিটিভি পর্যালোচনা ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজু হোসেনকে কাফরুলের তালতলা এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রাজুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হৃদয়ের কাছ থেকে আরও দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
এএম/
-
আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়4 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
শিক্ষা7 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
-
শিক্ষা7 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল