Connect with us

ক্রিকেট

উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো প্রোটিয়ারা

Published

on

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে উইন্ডিজরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত করার সামর্থ্য দেখায় প্রোটিয়ারা। ম্যাচটি ১৬ রানের ব্যবধানে হেরে যায় দলটি।

প্রথম ম্যাচটিও দাপটের সাথে জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচটিতে ২০০ এর দেখাও পেয়ে গেছে তারা। এতে বড় ভূমিকা ছিল অপরাজিত রস্টোন চেজের। তিনি একাই ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও অধিনায়ক ব্রান্ডন কিং এর ২২ বলে ৩৬, কাইল মায়ার্সের ১৬ বলে ৩২, আন্দ্রে ফ্লেচারের ১৮ বলে ২৯, রোমারিও শেফার্ডের ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস বড় ভূমিকা রেখেছে।

মূলত ব্যাটাররা সবাই ‘ইম্প্যাক্ট’ রাখতে ভূমিকা রেখেছে। যেখানে একমাত্র চেজের ব্যাটে ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস এসেছে। আর বাকিরা সবাই প্রয়োজন বুঝে ব্যাট চালিয়েছে। ফলে দুইশো রানে পৌঁছে যায় দলটি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকসের ও কুইন্টন ডি কক মিলে ঝড় তোলেন। ডি কক যখন ১৭ বলে ৪১ রানে ফিরছেন- তখন দলের সংগ্রহ ৫ ওভারে ৮১ রান।

হেনড্রিক্সের ব্যাটে আসে ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ইম্প্যাক্ট ধরে রাখার প্রবণতা কম দেখা গেছে। যেখানে অধিনায়ক রাসি ভ্যান ডার ডুসেন কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ২২ বলে ৩০ রানে ফিরেছেন। তবে যে শুরুটা সফরকারী দল করেছিল ব্যাটিংয়ে, তা ধরে রাখা গেলে হয়তো সিরিজ খোয়াতে হতো না তাদের।

শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। উইন্ডিজ বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন গুদাকেশ মোতি। যেটি তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

 

Advertisement

এম/এইচ

ক্রিকেট

দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর চাপ বেশি থাকবে: ট্রট

Published

on

প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দ আরও ‘ভয়ংকর’ করে তুলবে কি না আফগানিস্তানকে, এমন এক সম্ভাবনা চোখে পড়ছে। পড়ছে কারণ, আফগান কোচ জোনাথন ট্রট সেরকম কথা জানিয়েছেন। এমন এক দল হিসেবে আফগানরা সেমিতে উঠেছে, যাদের এই পর্যায়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কোচ ট্রট নির্ভার থাকার বার্তা দিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এমন দিন নতুন নয়। সেমিতে যাওয়াটুকু অন্তত। এরপর ‘চোকার্স’ হিসেবে তাদের এক পরিচিতি আছে। যে নামটি তারা পেয়েছে এমন কিছু ইতিহাস থেকে, যেখানে সুযোগ মিস করে করে অভ্যাস তৈরি করেছে তারা।

আর সেমিতে যাওয়ার কোনো ইতিহাস না থাকায় আফগান দলের ওপর আলাদা কোনো চাপ থাকবে না বলে জানিয়েছেন ট্রট। তিনি বলেন, ‘কোনো ক্ষত বা ইতিহাস ছাড়াই আমরা সেমিফাইনালে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য নতুন এক জায়গা। আমরা সেমিফাইনাল খেলব, সবটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আগের কোনো ধারণা নেই, সেমিফাইনালে আগের বছরগুলোতে সফলতা বা ব্যর্থতার কোনো ইতিহাস নেই। আমাদের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ, হারানোর কিছু নেই, এটাই সেমিফাইনালে আমাদের ভয়ংকর দল বানিয়েছে, অবশ্যই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বেশি থাকবে।’

আফগানদের এই সাফল্য ট্রটের কাছেও দারুণ আনন্দের। দলকে আরও গোছানোর কাজটুকু ভালোই করে এসেছেন এই ইংলিশ কোচ। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমির মতো ম্যাচও চিন্তামুক্ত থেকেই মাঠে নামবে তার দল।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

প্রোটিয়া-আফগান লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত

Published

on

বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামতে যাচ্ছে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানের জন্য এক স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলছে দলটি। এমন মুহূর্ত আর আসেনি আফগানদের সামনে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার সামনেও প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার মঞ্চ প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত সেই সৌভাগ্য ধরা দেয়নি এই দলটির ওপর। আগামীকাল (২৭ জুন) বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৬ টায় ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে দুই দল।

বাংলাদেশকে সুপার এইটের ম্যাচে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। সমীকরণের মারপ্যাঁচে পড়তে হয়নি আফগানদের। ম্যাচ জিততে পারলেই নিশ্চিত হবে সেমিফাইনাল। এই ছিল আফগানিস্তানের সহজ হিসাব। যা সহজভাবেই পেরিয়ে গেছে তারা।

দেশটিতে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীদের চোখে মুখে আনন্দের উজ্জ্বল ঝলমলে বিচ্ছুরণ দেখা গেছে। প্রাপ্তির অনেকটুকু পাওয়া হয়ে গেছে দলটির। তাই চাপের প্রসঙ্গ এলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর তা ফেলা যায়।

আর আফগানিস্তানকে নির্ভার বলেই বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ রব ওয়াল্টারও সেই কথা জানিয়েছেন। সংবাদকর্মীর উপস্থিতি ছিল না কক্ষে। কেবল নাকি একজন ছিলেন সেখানে। এই দৃশ্য দেখে ওয়াল্টার বেশ খুশি হয়ে উঠেছিলেন।

প্রোটিয়ারা যে চাপ অনুভব করারা কথা, তা নাকি কম মনে হচ্ছে এতে। গণমাধ্যমের যেহেতু তেমন আগ্রহ নেই, তাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন কোচ। আর তাদের সাথে তো ‘চোক’ শব্দের এক তুমুল যোগাযোগ রয়েছে।

Advertisement

সেমিফাইনাল আর চোক- দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য পরিচিত ও পুরনো সম্পর্ক। এবার অন্তত সেই দল হিসেবে নিজেদের পরিচিতি করিয়ে দিতে চায় না তারা। এইডেন মার্করামের অধীনে ফাইনাল খেলার আশা দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ প্রতিদন্দিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলে আজ সেমিতে এসেছে দলটি।

আর ওদিকে স্বপ্ন বুনছে আফগানিস্তান। আর দলটির কোচ জোনাথন ট্রট আফগানদের অনেকটুকু এগিয়ে রাখছেন। এই জায়গাই তো নতুন দলটির জন্য। এর আগে কখনো বিশ্বকাপ সেমিতে আসা হয়নি তাদের। ফলে নেই কোনো সাফল্য ও ব্যর্থতা। সেভাবে কোনো চাপ অনুভব করছে আফগানরা।

টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অপরাজেয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের হারাতে পারলে অপরাজেয় হিসেবেই ফাইনাল নিশ্চিত হবে তাদের। আর আফগানরা যদি সবকিছু ছাপিয়ে নিজেদের দিন করে নিতে পারে, তবে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভাবনীয় এক স্বপ্ন তাদের সামনেও হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে ইনজামামের ঘোরতর অভিযোগ

Published

on

ভারতীয় বোলারদের দিকে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক অভিযোগ তুলেছেন। বিশেষ করে পেসার আর্শদ্বীপ সিংয়ের কথা আলাদা করে বলেছেন ইনজামাম। মূলত বল টেম্পারিং করার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ম্যাচে একটি নির্দিষ্ট সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন।

ভারতীয় বোলাররা দারুণ করে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বিশেষ করে জাসপ্রীত বুমরাহ, আর্শদ্বীপদের কথা বলতে হয়। যারা ভারতের জয়ে একের পর এক ভূমিকা রেখেছেন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপরাজিত রোহিত শর্মার দল।

পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে ইনজামাম বলেন, ‘আর্শদ্বীপ সিং, সে যখন ১৫তম ওভারে বল করছিল, বল রিভার্স করছিল। এটা কী নতুন বলে জন্য খুব বেশি তাড়াতাড়ি ছিল না? এর মানে হচ্ছে বলটা ১২ বা ১৩তম ওভারের দিকে রিভার্স সুইং হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। আম্পায়ারদের এই ব্যাপারগুলোর দিকে চোখ খোলা রাখা দরকার, এটা যদি পাকিস্তানি বোলারদের ক্ষেত্রে হতো, এটা অনেক বড় এক ইস্যু হতো। আমরা রিভার্স সুইং খুব ভালোই জানি। আর্শদ্বীপ যদি ১৫তম ওভারে বল করতে আসে এবং বল রিভার্স করানোর শুরু করে, মানে হচ্ছে এর আগে বিশেষ কিছু কাজ হয়ে গেছে।’

ইনজামাম এর সাথে একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার সেলিম মালিক। মালিকও একই প্রসঙ্গে নিজের মতামত দেন। পাশাপাশি বলেন, ভারতের মতো দল খেললে এসব জিনিস কেউ দেখে না। বরং চোখ বন্ধ করে রাখা হয়।

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version