Connect with us

পরামর্শ

চা-কফির সঙ্গে যে খাবার খেলে সারাদিন অস্বস্তিতে কাটবে

Published

on

দিনের শুরুতে কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে দিন শুরু করার কথা বলেন। সারা দিনের কাজের ব্যস্ততায় আর দৌড়ঝাঁপে আলাদা করে শরীরের খেয়াল রাখার সময় হয় না। সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তাই ভালো করে খাওয়াদাওয়া করা উচিত।

ঘুম থেকে উঠেই অনেকে গোসলে ঢুকে পড়েন। বিছানায় বসে মৌজ করে চা কিংবা কফির কাপে চুমুক দেয়ার সুযোগ হয় না। অনেকেই তাই জলখাবার খাওয়ার সময় চায়ে গলা ভিজিয়ে নেন। কিন্তু চায়ের সঙ্গে অনেক খাবারই খাওয়া ঠিক নয়। তাতে শরীরের ক্ষতি হয়। কোন খাবারগুলি জেনে রাখলে বিপদ এড়ানো যাবে।

ভাজাভুজি

অফিস থেকে ফিরে চপ, শিঙা়ড়ার সঙ্গে দুধ চা খেতে মন্দ লাগে না। কিন্তু দুধ চা আর তেলেভাজার যুগলবন্দি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। ভাজাভুজিতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। দুধ চায়ের সঙ্গে সোডিয়াম মিশে গিয়ে হজমের গোলমাল বাধাতে পারে। বিপাকহারও খানিকটা ধীর হয়ে যায়।

চিজ়

Advertisement

পিৎজ়া কিংবা বার্গারের সঙ্গে ভুলেও দুধ চা খাবেন না। কারণ এই ধরনের জাঙ্কফুডে চিজ়, মেয়োনিজ থাকে। ফলে দুগ্ধজাত খাবার দুধ চায়ের সঙ্গে না খাওয়াই শ্রেয়। চিজ়, মেয়োনিজ় আর দুধ চা এই তিনটি একসঙ্গে খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

সাইট্রাসজাতীয় ফল

দুধ চা খাওয়ার আগে কিংবা পরে ভুলেও টকজাতীয় কোনও ফল খাবেন না। দুধ চা আর ফল কয়েক মুহূর্তের তফাতে খেলে মারাত্মক বদহজম হতে পারে। কারণ, ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তার সঙ্গে দুধ চা খেলে অম্বল হয়।

ওট্‌স

স্বাস্থ্য সচেতন, তাই ওট্‌স দিয়ে তৈরি মুখরোচক ‘টা’ খেয়ে থাকেন কফির সঙ্গে। খাসির মাংসের মতোই ওট্‌সের মধ্যেও জিঙ্ক রয়েছে। তাই এই খাবারটিও ব্রাত্য।

Advertisement

ডিম

ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হলেও জিঙ্কের পরিমাণ কম নয়। তাই পুষ্টিবিদেরা এই খাবারটিও কফির সঙ্গে খেতে বারণ করেন। সকালে অনেকেই ডিমসেদ্ধ খান। সেক্ষেত্রে কফি এবং ডিমসেদ্ধর মধ্যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে।

পরামর্শ

ঘড়ি ধরে ওজন কমানোর সহজ উপায়

Published

on

বাঙালি হিসেবে জন্ম থেকেই আমরা ভোজনরসিক! একটা ছুটির দিন বা একটা উৎসব পেলেই হলো, হাজারটা আইটেমের লিস্ট তৈরি হয়ে যায় মাথায়। কিন্তু শুধু পেট আর মন ভরলে আর কি হবে, ওদিকে পকেট তো ফাঁকা হয়ে যায়! এই রোগ ঐ রোগের জন্য ওষুধ কিনতে কিনতে অবস্থা হয়ে যায় আরো ভঙ্গুর! এর থেকে বাঁচার আর প্রিয় শরীরটাকে বাড়তি ওজন নামের দানবটার থেকে বাঁচানোর তাহলে উপায় কী? খুব সোজা, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং! ঘড়ি ধরে ওজন কমানোর সহজ এই উপায়টি সম্পর্কেই জানাবো আজ।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী?

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং, তবে তার আগে চলুন কিছু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্টস জেনে নেই এই সম্পর্কে। ২০১৯ সালে ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দগুলোর মধ্যে বেশ উপরের দিকেই জায়গা করে নিয়েছিলো এই শব্দটি। কী পরিমাণ সাড়া পড়েছিল তাহলে বুঝতেই পারছেন! তবে ২০১৯ সালের আরো আগে থেকেই এই নিয়ে কথা চলছিলো। ইংল্যান্ডের জার্নাল অব মেডিসিন এ নিয়ে একটা গবেষণাপত্রই বানিয়ে ফেললো শুধু একটা ডায়েট স্টাইলের উপর ভিত্তি করে। এছাড়াও ২০১২ সালে বিবিসি-তে একটি প্রোগ্রাম হতো, যার নাম ছিলো ‘Eat Fast, Live Longer’। বুঝতেই পারছেন জ্ঞানীগুণী মহলে এই বস্তুর ভক্তের অভাব নেই।

এই ফাস্টিং আসলে কীভাবে করে? ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হলো সবিরাম উপোস। এটি এমন একটি খাদ্যাভ্যাস যেখানে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটুকু খাচ্ছেন সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং আপনি কোন সময়ে খাচ্ছেন আর কোন সময়ে খাচ্ছেন না সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটো ইন্টারমিটেন্ট পদ্ধতি হলো ১৬:৮ আর ৫:২।

১৬:৮ মানে হলো আপনি দিনের মধ্যে যেকোনো সময়, আপনার সুবিধা অনুযায়ী, ৮ ঘন্টা খাবেন আর বাকি ১৬ ঘন্টা কোনো রকম ক্যালরি গ্রহণ করতে পারবেন না। অনেকটাই আমাদের মুসলমানদের রোজা রাখার মতো। তবে ভয় নেই, আপনাকে একেবারে না খেয়ে থাকতে কেউ বলবে না, বরং চাইলে আপনি একেবারে লো ক্যালরি যুক্ত কিছু যেমন- ফলের ফ্লেভারযুক্ত পানি, শসা বা কম ক্যালরির যেকোনো ফল একেবারে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। ৫:২ হলো সপ্তাহে ৫ দিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করা এবং দুইদিন উপবাস থাকা। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার ক্যালরি ইনটেক যেন কোনোভাবেই আপনার ওজন কমানোর অন্তরায় না হয়ে যায়!

Advertisement

ওজন কমাতে কি আসলেই এটা কাজে দিবে?

মোটামুটি আমরা বুঝলাম যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর ব্যাপারটা আসলে কী, এবার চলুন আরেকটু কাঁটাছেড়া করি পুরো জিনিসটাকে। জেনে নেই ঠিক কীভাবে এই প্রক্রিয়ায় আপনি ওজন কমাতে পারেন।

আমরা যেসব খাবার খাই, কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন বা ফ্যাট যাই হোক, সেগুলোকে বডি দুইভাবে ভেঙে ফেলে। একভাগে থাকে গ্লুকোজ, এই গ্লুকোজ আমাদের দেহের সব কোষের মধ্যে যায় এবং অক্সিডেশনের মাধ্যমে সেখানে শক্তি দেয়। বলাবাহুল্য, সেই শক্তি দিয়েই আমরা কাজ করি। এখন ধরে নিন, আপনি খাবার বেশি খেয়েছেন বা যে পরিমাণ কাজ করলে আপনার প্রতিদিনের এনার্জি বার্ন হবে সেই পরিমাণে আপনি কাজ করেননি। তাহলে কী হবে? খুব স্বাভাবিকভাবেই শরীরে শক্তি জমা থাকবে। এখানে আসছে আমাদের দ্বিতীয় ভাগ, আমাদের শরীরে যত বাড়তি শক্তি আছে বা গ্লুকোজ আছে সেগুলোকে ফ্যাট আমাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মাংসপেশির নিচে জমিয়ে রাখে। আর আমরা মোটা হয়ে যাই এভাবেই!

এবার ভাবুন তো, যখন আমরা রমজান মাসে রোজা থাকি বা সারাদিনের একটা লম্বা সময় না খেয়ে থাকি তখন কই থেকে আসে আমাদের কাজ করার শক্তি? আর শুধু তো কাজ করার শক্তি নয়, বরং আমাদের হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, ব্রেইন এসব ইন্টার্নাল অর্গানগুলোর নিজেদের কাজ চালিয়ে নিতেও তো শক্তি লাগে, তাই না? সেগুলো আসে কোথা থেকে? আমাদের শরীরে জমে থাকা ফ্যাট তখন প্রয়োজন অনুযায়ী গ্লুকোজে ভেঙে যায় এবং শক্তির জোগান দেয়। এভাবেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আমাদেরকে শক্তি দেয় এবং শরীরের জমানো ফ্যাটগুলোকে ভেঙে শরীরকে আরেকটু হালকা বানায়।

এই ফাস্টিং এর সুবিধা কী?

Advertisement

কিছুটা আদ্যোপান্ত তো জানা হলো ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে, এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এটি কি শুধু ওজনই কমায় নাকি আরো কিছু উপকারও দেয় সে সম্পর্কে। এই ফাস্টিং এর সুবিধা-

১. আমাদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

২. শরীরে ইনসুলিন প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয়, যার জন্য শরীরের অতিরিক্ত শর্করা ভেঙে যায়

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

৩. স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ কমিয়ে দেয়

Advertisement

৪. হরমোন ব্যালেন্সিং এর ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে

৫. স্কিনের গ্লো বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও এর কিছুটা প্রভাব আছে বলে ধারণা করা হয়

কাদের জন্য এই ফাস্টিং নয়?

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর প্রচুর উপকারী দিক থাকলেও এটা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য নয়। কারা এই ফাস্টিং করতে পারবেন না চলুন জেনে আসি।

১. যারা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টা করছেন

Advertisement

২. গর্ভবতী নারী

৩. স্তন্যদাত্রী

৪. ডায়াবেটিস রোগী

৫. নিম্ন ওজন আছে এরকম মানুষ

৬. নিম্ন রক্তচাপ আছে এমন কেউ

Advertisement

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর সময়ে আপনার শরীর যেন কোনোভাবেই পানিশূন্যতায় না ভোগে এটা খেয়াল রাখা কিন্তু অবশ্য কর্তব্য! আর খাবার তালিকায় এই সময়টায় প্রসেসড ফুড আর বেশি ভাজাপোড়া জিনিস না রাখাই ভালো। এত সাধ করে যে ওজন কমানোর মিশনে নেমেছেন খেয়াল রাখবেন যেন নিজের ছোট ছোট ভুলের জন্য এই মিশনটা ব্যর্থ না হয়! আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি কয়েকজন মিলে একসাথে এই মিশনে নামেন। আজকাল অনেকগুলো ফেইসবুক গ্রুপে এই ধরনের কার্যক্রম চলমান, আগ্রহী হয়ে একটু সার্চ করে যুক্ত হয়ে যেতে পারেন! সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

নতুন সংসার ও পরিবারের সাথে মানিয়ে নেবেন যেভাবে

Published

on

নিজের পছন্দের মানুষটিকে বিয়ে করতে পারা একটা স্বপ্নের মত। কিন্তু অনেকেই ভয়ে ভয়ে থাকেন শ্বশুর বাড়ি নিয়ে। কেমন হবে, কি করে মানিয়ে নেবেন। অনেকে এই ভয়ে আবার বিয়ের পরে শ্বশুর-শাশুড়ি ছেড়ে স্বামী নিয়ে আলাদা হয়ে যেতে চান। দেখুন যে মানুষটিকে ভালোবাসেন তার পরিবারকে ইগনোর করা কোন স্থায়ী সমাধান নয়, বরং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সুন্দর এবং মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। নতুন সংসার ও পরিবারে মানিয়ে নেয়ার জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। ছোটখাটো কিছু জিনিস লক্ষ্য করলেই খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন নতুন সংসারে। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো নতুন সংসার এবং নতুন পরিবারের সাথে মানিয়ে নেয়ার কিছু কার্যকরী পদ্ধতি।

নতুন সংসার ও পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে হলে আপনাকে কিছু স্টেপস ফলো করতে হবে। সেগুলো হল-

১. নতুন পরিবারকে নিজের করে নিন

আপনাকে আগে এটা বুঝতে হবে যে এটা আপনার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ, আপনার জীবন সঙ্গীর পরিবার। আর তার পরিবার মানেই সেটি আপনার পরিবার, আপনার সংসার একে সাজিয়ে নিন আপনার মতো করে!

যখন এই কনসেপ্ট-টা কারও মাথায় ঢুকে যায় যে এটা আমার পরিবার নয়, অন্য পরিবার, এখানে আমি হুট করেই এসেছি, আমার পরিবারতো আমি ফেলে এসেছি, তখনি শ্বশুরবাড়ির সকলকে প্রতিপক্ষ বলে মনে হতে থাকে। নতুন সংসার ও পরিবারকে আপন করে নিতে হবে।

Advertisement

মনে রাখা দরকার, শ্বশুরবাড়ি কখনই আপনার প্রতিপক্ষ নয়। তাদেরকে নিজের পরিবারের একটা নতুন সংযোজন বলে ভাবুন, দেখবেন যে তা তখন এত অপরিচিত মনে হবে না। আপনার স্বামী এই পরিবারেই বড় হয়েছেন এবং পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে এই পরিবারকে তিনি বেশি ভালবাসেন। আর তার ভালবাসার মানুষরা তো আপনারও ভালবাসার মানুষ।

২. ইগো

ইগো পরিহার করুন। সম্পর্কে তিক্ততা আসার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখে আমাদের ইগো। সবসময় বিনীত থাকুন, ইগোকে দূরে সরিয়ে রাখুন। যেকোনো খালি স্পেস ভালোবাসা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব, সময় লাগতে পারে, কিন্তু অসম্ভব নয়। নতুন সংসার সুন্দর করে গরে তুলতে আপনার ইগোকে পরিহার করতে হবে।

৩. তুলনা করবেন না

তুলনা করা যাবে না। ভুলেও কখনো শ্বশুরবাড়ি আর বাবার বাড়ির তুলনা করতে যাবেন না। দুটো পরিবার দুটো ভিন্ন পরিবেশ, এর মধ্যে কখনো তুলনা হয় না। তুলনা করতে গেলে হয়ত এমনও হতে পারে, যে জিনিস আপনি বাবার বাড়িতে পান নি সেটা হয়তো শ্বশুরবাড়িতে এসে পাচ্ছেন। তখন কি বলবেন, যে আগে বাবার বাড়ি ভালো ছিল না? নিশ্চয়ই না? প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব কিছু নিয়ম কানুন আছে, ধারা আছে। এগুলোকে সম্মান করুন। এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়তো একটু সময় লাগবে, কিন্তু “পারবেন না” বা “করব না” এমন মনোভাব থাকলে কিন্তু অশান্তি বাড়বে।

Advertisement

৪. পরিবারটিকে জানার চেষ্টা করুন

নতুন পরিবারকে ভালোভাবে জানার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আপনার স্বামী হতে পারেন, আপনার সবচেয়ে বড় সহযোগী। তার কাছ থেকে পরিবারের সকলের সম্পর্কে জানুন। আত্মীয়-স্বজনদের চিনুন। তাদের সাথে নিজে থেকে গিয়ে আলাপ করুন। অনেক সময় বাড়ির নতুন বউকে নিয়ে একটু আধটু মজা করা হয়, সেটাকে প্রথমেই নেগেটিভ-ভাবে নেবেন না। একটা বিয়ের পরে বাড়িতে একটা উৎসবের পরিবেশ থাকে, তখন এ ধরনের হাসি ঠাট্টা চলতেই থাকে। কোন বিষয়ে অস্বস্তিবোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।

৫. বাচ্চাদের প্রাধান্য দিন

বাড়ির বাচ্চাদের সাথে মিশুন সবার আগে। বড়দের চাইতে বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব করা অনেক বেশি সহজ। বাড়িতে বাচ্চা থাকলে তাদের গল্প বলুন, তাদের পছন্দের খাবার তৈরি করে দিন, বা ছবি আঁকায় সাহায্য করুন। অথবা তাদের পড়াশনার ব্যাপারে সাহায্য করুন। এতে করে বাচ্চাদের সাথে আপনার একটা সহজ সম্পর্ক তৈরি হবে, পাশাপাশি বাড়ির বড়রাও আপনার ব্যাপারে ভালো একটা মনোভাব পোষণ করবেন।

৬ বড়দের সম্মান করুন

Advertisement

বাড়ির বড়দের সম্মান করুন। কথা বলার সময়, খাওয়ার সময় বা যদি আপনি চুপচাপ বসে থাকেন তখনও। বাড়ির বড়দের সামনে মোবাইল ফোন চাপাচাপি করা একেবারে নিষেধ। এটা খুবই বেয়াদবি। খাবার টেবিলে বসলে অন্যদের সাথে পারিবারিক আলোচনা শুনুন, তবে শুরুতেই নিজের মতামত দিতে যাবেন না। পুরো বিষয়টা আগে বুঝুন, তারপরেই মতামত দেবেন। অবসরে শাশুড়ি বা শ্বশুরের সাথে তাদের পুরনো দিনের গল্প শুনুন, যদি মনে করেন সেটাতে তারা আনন্দ পাচ্ছেন, তাহলে সে ব্যাপারে আপনিও উৎসাহ দেখান। শ্বাশুড়িকে মায়ের স্থানে বসান। বউ-শ্বাশুড়ি সম্পর্ক করে তুলুন মধুর…

৭ পরিবারের কাজে সাহায্য করা

নতুন বাড়িতে এসেই কেউ আপনাকে পুরো বাড়ির রান্নার দায়িত্ব দেবে না। তাই আপনারই উচিত হবে ছোট ছোট বিষয়ে তাদের সাহায্য করা। রান্নার ব্যাপারেই হোক বা ঘর গোছানোর ক্ষেত্রেই হোক, নিজে থেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।তবে একটু সতর্কতা হিসেবে যেকোনো কাজের আগে সেটা শাশুড়ি বা ননদকে জিজ্ঞেস করে নিন, যে কাজটা তারা কিভাবে করেন? এটাতে ছোট হওয়ার কিছু নেই। প্রতিটি বাড়িতেই সব কাজের কিছু আলাদা নিয়ম কানুন থাকে। সেগুলো জেনে নিন, দেখবেন আর কোন সমস্যাই হচ্ছে না। নিজের লাইফপার্টনারের সাথে ছোটখাটো কাজগুলো শেয়ার করলেও বন্ডিং ভালো হয়। এই বিষয়টাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

৮. নিয়মিত যোগাযোগ রাখা

নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। যদি আপনার শ্বশুর-শাশুড়ি বা দেবর-ননদ আপনাদের সাথে না থাকেন, তাহলে প্রতিদিন একবার আপনার শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন করুন, তাদের দিন কেমন কেটেছে জিজ্ঞেস করুন, আপনি সারাদিন কী কী করলেন সেগুলো তাদের বলুন। এতে করে সম্পর্ক অল্পদিনেই সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া অন্য সদস্য যেমন দেবর-ননদ তাদের সাথে সপ্তাহে অন্তত দু-তিন বার যোগাযোগ করুন। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে। মজবুত হবে। ননদ-ভাবী সম্পর্ক যেন হয় বোনেদের মত…

Advertisement

৯. সঙ্গীর প্রশংসা

সম্পর্কের শুরু সবে…আপনার সঙ্গীর প্রশংসা করুন। দেখুন ভালো দিক, বিরক্তিকর দিক সবারই আছে, আপনার ও আমারও আছে। এখন আপনার সঙ্গীর পরিবারের সদস্যরা কিন্তু আগে থেকেই এসব জানেন। তাদের কাছে নতুন করে এগুলো নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করা বা কমপ্লেইন করা ঠিক হবে না। তাদের সামনে বরং আপনার সঙ্গীর প্রশংসা করুন। এতে তারাও খুশি হবেন। আপনার দাম্পত্য সম্পর্ক হোক মধুর চেয়েও মিষ্টি।

১০. সরাসরি কথা বলা

সরাসরি কথা বলুন। কোন সদস্যের সাথে কোন কিছু নিয়ে সমস্যা হলে সেটা আগে ভালোভাবে বুঝুন, আদৌ সেটা সিরিয়াস কিনা, যদি মনে করেন সিরিয়াস তাহলে সরাসরি কথা বলুন, তবে সেটা যেন হয় বিনয়ের সাথে, শাশুড়ির সাথে সমস্যা হল, সঙ্গে সঙ্গে মাকে ফোন করে ডেকে এনে তাকে দিয়ে বলানোর চেয়ে আগে নিজে চেষ্টা করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজের চেষ্টাতেই সবচেয়ে ভালো সমাধান আসে। এগুল-ই সুখী দাম্পত্য জীবনের সহজ রহস্য।

সব শেষে বলবো, বিয়ের পরে নতুন মানুষ, নতুন সংসার একটু আধটু অসামঞ্জস্য থাকবেই। সেগুলো নেগেটিভ-ভাবে না নিয়ে, তাদের বোঝার চেষ্টা করুন।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

শুধু পেট পরিষ্কারই নয়, ত্রিফলায় আরও যে যে সমস্যা নিরাময় হয়

Published

on

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সপ্তাহে দু’দিন নিয়ম করে ত্রিফলা ভেজানো পানি খাচ্ছেন। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে নানা রোগব্যাধি ঠেকিয়ে রাখতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে, গুঁড়ো করে, একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলার মিশ্রণ। পেট ভালো রাখতে জলে ত্রিফলা ভিজিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরনো।

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি পেটের সমস্যা দূর করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিক পদার্থ বের করে দিতেও আমলকি বেশ উপকারী। তা ছাড়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও আমলকির তুলনা নেই। অন্য দিকে, হরিতকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ত্রিফলা খাওয়া যেতে পারে। বহেরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, পেশির জোর বাড়াতে আর হাড় মজবুত করতেও বহেরা বেশ উপকারী। এ ছাড়া আর কী কী উপকার করে ত্রিফলা?

১. ত্বকের নানা সমস্যার দাওয়াই হতে পারে ত্রিফলা। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খেলে ব্রণ, ফুসকুরির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি, ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে এটি।

২.  বিপাকহার কমে গেলে ওজন বেড়ে যায়। বিপাকহার বৃদ্ধি করতে ত্রিফলার মিশ্রণ দারুণ কাজ করে। এর পাশাপাশি হজমের সমস্যা থাকলেও এই মিশ্রণ কাজে আসতে পারে আপনার। সব মিলিয়ে মেদ ঝরিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই মিশ্রণ।

৩. সারাক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটারের সামনে থেকে চোখের বারোটা বাজছে। ত্রিফলা কিন্তু চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। ত্রিফলা চোখের সমস্যা, যেমন ছানি, গ্লকোমা, কর্নিয়াল ডিস্ট্রোফি, কনজাংটিভাইটিস এবং প্রদাহ নিরাময় এবং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

Advertisement

কী ভাবে খাবেন ত্রিফলা?

বেশ কিছু নামী সংস্থার ত্রিফলা বড়ি পাওয়া যায়। সেই ট্যাবলেট খেতে পারেন। এ ছাড়াও ত্রিফলা চূর্ণ পাওয়া যায়। এক চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো এক কাপ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে সেই পানি খেতে হবে। তাতে ১ চামচ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version