Connect with us

আবহাওয়া

আবহাওয়ার কোন সংকেতের কী মানে

Published

on

আবহাওয়ার-কোন-সংকেতের-কী-মানে

দেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ইতিমধ্যে এর প্রভাবে বইছে দমকা বাতাস, সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এটি রোববার (২৬ মে) বিকেল থেকে মধ্যরাতের মধ্যে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে দেয়া ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে নতুন করে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সমুদ্রবন্দরের ক্ষেত্রে ১১টি সংকেত নির্ধারিত রয়েছে। এই সংকেতগুলো সমুদ্রবন্দরের ক্ষেত্রে ভিন্ন বার্তা বহন করে। সংকেতগুলোর বিস্তারিত কি রয়েছে জেনে নেই-

১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত

জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝোড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারিসংকেত

গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

Advertisement

৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত

বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগকবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হতে পারে।

৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারিসংকেত

বন্দর ঘূর্ণিঝড়–কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় হয়নি।

৫ নম্বর বিপদসংকেত

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাঁ দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৬ নম্বর বিপদসংকেত

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৭ নম্বর বিপদসংকেত

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরের ওপর বা এর কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

Advertisement

৮ নম্বর মহাবিপদসংকেত

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাঁ দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

৯ নম্বর মহাবিপদসংকেত

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে।

১১ নম্বর যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসংকেত

আবহাওয়ার বিপৎসংকেত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতি দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।

নদীবন্দরের জন্য চারটি সংকেত

১ নম্বর নৌ সতর্কতাসংকেত

বন্দর এলাকা ক্ষণস্থায়ী ঝোড়ো আবহাওয়ার কবলে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগের কালবৈশাখীর ক্ষেত্রেও এই সংকেত প্রদর্শিত হয়। এ সংকেত আবহাওয়ার চলতি অবস্থার ওপর সতর্ক নজর রাখারও তাগিদ দেয়।

Advertisement

২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারিসংকেত

বন্দর এলাকায় নিম্নচাপের সমতুল্য তীব্রতার একটি ঝড়, যার গতিবেগ ঘণ্টায় অনূর্ধ্ব ৬১ কিলোমিটার বা একটি কালবৈশাখী, যার বাতাসের গতিবেগ ৬১ কিলোমিটার বা তদূর্ধ্ব। নৌযান এদের যেকোনোটির কবলে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৬৫ ফুট বা তার কম দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট নৌযানকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।

৩ নম্বর নৌ বিপদসংকেত

বন্দর এলাকা ঝড়ে কবলিত। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ একটানা ৬২-৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগের একটি সামুদ্রিক ঝড় শিগগিরই বন্দর এলাকায় আঘাত হানতে পারে। সব নৌযানকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।

৪ নম্বর নৌ মহাবিপদসংকেত

বন্দর এলাকা একটি প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত এবং শিগগিরই বন্দর এলাকায় আঘাত হানবে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তদূর্ধ্ব। সব ধরনের নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।

 

Advertisement

আবহাওয়া

দুপুরের মধ্যেই চট্টগ্রাম, সিলেটসহ ৬ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া

Published

on

ফাইল ছবি

দেশের ছয়টি অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

ঈদের দিন বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায়

Published

on

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন দুপুরের পর রাজধানীতে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এতে ভ্যাপসা গরমের তীব্র কষ্ট কমার সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুরে ওই দিন সকাল থেকে নামতে পারে বৃষ্টি। দিনভর তা চলতে পারে। আর খুলনাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ঈদের পরের দিনও একই ধরনের পরিস্থিতি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শনিবার (১৫ জুন) খুলনা বিভাগ ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে; যা রোববারও অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামে, ৭৮ মিলিমিটার। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাজধানীতে আকাশ দিনভর মেঘলা থাকলেও কোথাও বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর গণমাধ্যমকে বলেন, মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বাতাসে আর্দ্রতা ব্যাপক বেড়ে গেছে। ফলে বৃষ্টির সম্ভাবনা ও গরমের কষ্ট—দুটিই বাড়তে পারে। রোববার থেকে শুরু হয়ে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত একই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে। তারপর বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঈদের দিন সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। দুপুর থেকে কোথাও কোথাও বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বিকেলে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। তবে বজ্রপাতও হতে পারে। উত্তরাঞ্চল ও সিলেটে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে সতর্কবার্তা হিসেবে দেশের রংপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, সিলেট ও টাঙ্গাইলে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে। ফলে এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার বাতাসের আর্দ্রতা অস্বাভাবিক রকম বেড়ে গেছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশির ভাগ সময় ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ থাকছে। ফলে বাতাসে তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও গরমের অনুভূতি থাকছে ৩৮ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আগামী তিন-চার দিন, অর্থাৎ ঈদের দিন থেকে শুরু করে তার পরের দুই দিনও একই ধরনের ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থাকতে পারে। তবে সামনের কয়েক দিনে বৃষ্টিও বাড়তে পারে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

২৪ ঘণ্টায় কয়েক বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

Published

on

দেশের তিন বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং পাঁচ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। খুলনা বিভাগসহ গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version