Connect with us

আবহাওয়া

খুলনার কয়রায় বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

Published

on

খুলনার-কয়রায়-বাঁধ-ভেঙে-২০-গ্রাম-প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের চাপে বাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রায় ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাতে তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে এসব গ্রাম তলিয়ে গেছে ।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৬ মে) রাতে জোয়ারের তীব্র চাপে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ধসে গেছে কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট, ভেঙেছে গাছপালা।

স্থানীয়রা জানান, বাঁধের দুর্বল অংশের ওই ৩টি স্থানে প্রায় ১৫০ মিটার ভেঙে নদীর নোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে এলাকা। এছাড়া বাঁধের নিচু কয়েকটি জায়গা ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব জায়গায় এলাকার মানুষ রাতভর মেরামত কাজ চালিয়েছে।

মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রোববার রাতে জোয়ারের চাপে ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে কয়েকটি গ্রাম ও কয়েকশ চিংড়ির ঘের তলিয়ে গেছে।

মহেশ্বরীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি বলেন, ইউনিয়নের সিংহেরকোণা এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া নয়ানি এলাকায় বাঁধ উপচে সারারাত পানি ঢুকেছে। এতে অন্তত ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব ও ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, তার ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকায় রাতের জোয়ারে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে ৫-৭টি গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নিচু বাঁধ ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করেছে।

পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় মানুষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি স্থানে বাঁধ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) দুপুরে জোয়ারের আগে তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।

কয়রার ইউএনও এবিএম তারিক উজ জামান বলেন, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এছাড়া ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি।

আবহাওয়া

শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

Published

on

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে আগামী ২৮ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ছয় দিন বৃষ্টি্র সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে আগামীকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। বললেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে এই আবহাওয়াবিদ জানান, সারাদেশে বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি জানান, শুক্রবার (২৮ জুন) থেকে জুলাইয়ের ৩ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত হবে। এ ছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসবে।

তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত ঢাকায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেটে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

আষাঢ়ের অঝোর বৃষ্টিতে ভিজছে নগরী!

Published

on

কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলো। আষাঢ় মাসের বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও ঢাকায় তেমন একটা বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে আজ সকালে আকাশ কালো মেঘের আনাগোনা। এরপরই অঝরে নামলো বৃষ্টি। কিছুটা স্বস্তি পেলো রাজধানীরবাসী।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০টার কিছু আগ থেকেই রাজধানীতে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে।

এর আগে আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণেরও আশঙ্কা রয়েছে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজ করতে পারে।

লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

ধেয়ে আসছে ঝড়, আঘাত হানতে পারে দুপুরে

Published

on

সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে দেশের ৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড় হতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গরবার (২৫ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপিতে বলা হয়, রংপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version