আন্তর্জাতিক
গাজায় বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৩৫
![ফিলিস্তিন-হামলা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/12/%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE.jpg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছেন ৩৫ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। রাফায় বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে ইসরায়েল ভয়াবহ হামলা চালালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৭ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফাতে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও বলছে, নিহতদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু যাদের ওপর ‘গণহত্যার হাতিয়ার’ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এসব মানুষ আগে থেকেই পানি, খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত ছিল।
আল জাজিরা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত লোকদের তাঁবু ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের অনেকেই নারী ও শিশু।
তাল-আস-সুলতান এলাকায় এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলি বাহিনী গেলো ২৪ ঘণ্টায় জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ গাজার বিভিন্ন এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বোমাবর্ষণ করেছে এবং ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে এতে কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করে হামাস যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী স্বীকার করেছে, হামলায় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছেন এবং এই ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯৮৪ জন নিহত এবং আরও ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহী-জান্তা সৈন্যদের ব্যাপক লড়াই
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জান্তা সৈন্যদের সঙ্গে সেখানকার জাতিগত সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।
নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে অন্তত দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে বুধবার স্থানীয় বাসিন্দারা ও গণমাধ্যম জানিয়েছে।
শান রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরের দিকে কিয়াউকমি শহরে জান্তা সৈন্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। মিয়ানমারের সাথে চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটে শহরটির অবস্থান।
চীনের মধ্যস্থতায় টিএনএলএর সাথে মিয়ানমারের সাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে জাতিগত সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। এর আগে, শান রাজ্যে জান্তা বাহিনী এবং টিএনএলএ ও অন্য দুটি সহযোগী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের অবসানে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছিল।
স্থানীয় একজন উদ্ধারকর্মী নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বুধবার সকালের দিকে টিএনএলএর যোদ্ধারা কিয়াউকমি শহরে জান্তা নিয়ন্ত্রিত একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছে
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে বসবাসরত বেসামরিক নাগরিকরা তাদের বাড়িঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। অপর একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, মঙ্গলবার কামানের গোলার আঘাতে শহরটিতে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও দু’জন আহত হয়েছেন। তবে শহরের কোন প্রান্তে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।
আন্তর্জাতিক
ন্যাটোর নতুন মহাসচিব ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর পরবর্তী মহাসচিব হচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে। বর্তমান মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
বুধবার (২৬ জুন) প্রকাশিত ন্যাটোর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্রাসেলসে ৩২ দেশীয় জোটের সদর দপ্তরে এক বৈঠকে উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিল ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটেকে ন্যাটোর পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ জোটের নেতারা আগামী ৯ থেকে ১১ জুলাই ওয়াশিংটনে একটি শীর্ষ সম্মেলনে রুটকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন। এছাড়া আগামী ১ অক্টোবর বর্তমান মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ এক দশকেরও বেশি সময় ন্যাটো জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ধারাবাহিকতা প্রদানের জন্য একাধিক তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে মার্ক রুটের এই নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ এবং তার সাফল্য কামনা করেছেন।
স্টলটেনবার্গ এক্স-এ (টুইটার) লিখেছেন, ‘ আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই, মার্ক একজন সত্যিকারের ট্রান্সঅ্যাটলান্টিসিস্ট, একজন শক্তিশালী নেতা এবং একজন সম্মতি-নির্মাতা। ন্যাটোকে শক্তিশালী করার জন্য আমি তার সাফল্য কামনা করছি। আমি জানি আমি ভালো হাতে ন্যাটো ছেড়ে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট- উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন বা ন্যাটো। মূলত ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যার মাধ্যমে এর স্বাধীন সদস্য রাষ্ট্রগুলো কোনো বহিরাগত পক্ষের আক্রমণের জবাবে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ৩২টি। এদের মধ্যে ৩০টি দেশ ইউরোপের, আর বাকি ২টি দেশ উত্তর আমেরিকার৷
কেএস/
আন্তর্জাতিক
সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার পরামর্শ আইএমএফের
দুর্নীতি কমাতে সরকারি চাকরিজীবীদের কাছ থেকে প্রতিবছর তাদের সম্পদের তালিকা নিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি সেই তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করতে বলেছে বহুপাক্ষিক ঋণদানকারী সংস্থাটি।
বাংলাদেশকে দেওয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন করে মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফ এর ‘স্টাফ রিপোর্ট’ এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
আইএমএফ বলেছে, উঁচু-স্তরের দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে, এ বিষয়ে অ-সম্মতি (নন-কমপ্লায়েন্স) দেখা দিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ নিয়মিত হালনাগাদের জন্য একটি মানসম্মত পন্থা অবলম্বন করে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদ ঘোষণার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে হবে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির ক্ষেত্রে সুশাসনের উন্নয়ন এবং দুর্নীতি রোধ ব্যাপক অবদান রাখবে। রাজস্ব ও আর্থিক সুশাসনের উন্নতি, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং নীতি কাঠামো শক্তিশালীকরণও উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান ১৯৭৯ সালে চালু হয়। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী আছেন। চাকরিজীবীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। তবে চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মটি পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি।
-
বলিউড6 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
বাংলাদেশ2 days ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের
-
বাংলাদেশ5 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
টুকিটাকি3 days ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
-
বাংলাদেশ3 days ago
জমিকাণ্ডে আলোচিত ডিআইজি জামিলকে বদলি
-
অপরাধ1 day ago
পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্যতামূলক অবসরে সেই পুলিশ কর্মকর্তা
-
জাতীয়2 days ago
দেশে হাজি ফিরেছেন ১১ হাজার ৬৪০, মৃত্যু ৪৪
-
আবহাওয়া2 hours ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা