Connect with us

অপরাধ

ইটের স্তূপের নিচে চাপা পড়লো ঘর, নামাজরত বৃদ্ধ দম্পতি নিহত

Published

on

নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের স্তুপ করে রাখা ইটের নিচে চাপা পড়ে বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। পরে এলাকার লোকজন ইট সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ভোরে জেলা সদরের নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন ছগরিয়াপাড়া এলাকার কালু মিয়া (৭৫) ও তার স্ত্রী সবমেহের বেগম (৬৫)।

তাদের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন তার বাবা-মা। টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে পাশে বিশাল স্তূপ করে রাখা ইট ঘরের ওপর হেলে পড়ে। এ সময় টিনের বেড়া ও চালা ভেঙে তাদের ওপর পড়ে। তাতে ঘটনাস্থলেই বাবা-মার মৃত্যু হয়। পরে এলাকার লোকজন ইট সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল হক স্বপন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। ঘরের পাশেই এক ব্যবসায়ীর ইটের স্তূপ ছিল। সেই ইটের নিচে চাপা পড়ে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

Advertisement

এ বিষয় নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রতিবেশী ও নিহতের ছেলেরা লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

অপরাধ

এনবিআরের ফয়সাল ও স্বজনদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন: দুদক

Published

on

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও তার ১১ স্বজনের নামে ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তার শ্বশুর-শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। ফয়সাল তার অপরাধলব্ধ আয় লুকানোর জন্য স্বজনদের নামে ৭০০টির মতো ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন। এর মধ্যে ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে দুদক।

শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা জমা এবং পরে তার বড় অংশ উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

আদালতে জমা দেয়া দুদকের নথি থেকে জানা যায়, ফয়সালের শ্বশুরের নাম আহম্মেদ আলী। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তার শাশুড়ি মমতাজ বেগম পেশায় গৃহিণী।

দুদক বলছে, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামের ব্যাংক হিসাবে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা ফয়সালেরই অপরাধলব্ধ আয়। ফয়সাল ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নিজের ও স্ত্রীর নামে রাখার পাশাপাশি স্বজনদের নামেও রেখেছেন।

জানা গেছে, ফয়সাল ২০০৫ সালে বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারি কর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে এনবিআরের আয়কর বিভাগের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

Advertisement

ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গেলো বছর ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে সংস্থাটি।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠার প্লট জব্দ এবং ৮৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।

দুদকের নথিতে ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন, ফয়সালের ভাই কাজী খালিদ হাসান, শ্বশুর আহম্মেদ আলী, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, শ্যালক আফতাব আলী, খালাশাশুড়ি মাহমুদা হাসান, মামাশ্বশুর শেখ নাসির উদ্দিন, আত্মীয় খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ ও রওশন আরা খাতুনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আদালতে জমা দেয়া দুদকের তথ্য বলছে, ফয়সালের নামে ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা জমা হয়। ফয়সালের স্ত্রী আফসানা জেসমিনের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ফয়সালের শ্বশুর আহম্মেদ আলীর আটটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তার নামের আটটি ব্যাংক হিসাবের দুটি ২০০৭ ও ২০১০ সালে খোলা। বাকিগুলো খোলা হয় ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি টাকা জমা হয়। তার নামের ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে একটি ২০০৯ সালে খোলা হয়। বাকিগুলো খোলা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শ্যালক আফতাব আলীর ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জমার তথ্য পেয়েছে দুদক।

বিভিন্ন সময়ে এসব টাকা জমা হয়েছে। পরে তার বড় অংশ তুলে নেয়া হয়েছে। জমা ও উত্তোলনের পর ফয়সাল, তার স্ত্রী, শ্বশুর ও তার স্বজনদের ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে রয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। তাদের নামে রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১  

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ৯০১ পিস ইয়াবা, ৫৮ গ্রাম হেরোইন ও ৪ কেজি ৩১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

 

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক টেকনাফে

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে হঠাৎ মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। মাসখানেকের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, বাইকের মাথা লক করা থাকলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা ও সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।

উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াছিন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে ফুটবল খেলা দেখার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ফয়াজ এর বাড়িতে যাই। এ সময় মোটর সাইকেলটি বাড়ির সামনে উঠানে রেখে বাড়িতে প্রবেশ করি। যাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বর- কক্সবাজার-ল-১২-১৩৬০, সিসি- ১৫৫, রং-কালো, ইঞ্জিন নং- BGA1-786520, চেসিস নং- RMBL- EB11J-105433। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মোটর সাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।

একই কায়দায় মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ করে পুরান পাড়ার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ৭ জুন রাতে আমার নিজ বাড়ির ভিতরে নীল কালারের ভার্সন-২ গাড়িটা রেখেছি। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির গেটের তালা ভেঙে মোটর সাইকেলটি নাই।

লবণ ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ভুলু নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, চলতি মাসের ১৪ তারিখে গভীর রাতে আমার ফেজার মোটর সাইকেলটি বাড়ির উঠানে রেখেছি। ঘণ্টাখানেক পর বের হয়ে দেখি বাইকটি উধাও। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান মেলেনি।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গনি বলেন,  অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে আয়ুদের দায়িত্ব দিয়েছি। এ বিষয়ে যথেষ্ঠ তৎপর রয়েছি। তারপরও বিষয়টি দেখছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version