আমার ওপর আধুনিক কায়দায় অত্যাচার চালানো হয়েছে। দুই হাজার পাওয়ারের বাল্ব লাগিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। বললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গুম-খুন ও সাদা পোশাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এ সমাবেশ করে।
এসময় তিনি পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা যদি এসব বন্ধ না করেন, তাহলে আপনাদের প্রত্যেকের বিচার হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলেই দুই থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ওষুধের দাম অর্ধেক কমে যাবে। কমে যাবে দ্রব্যমূল্যের দাম।
আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ট্রাস্টি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার, সুশাসন দরকার। ২০১৪-১৮ সালের খেলা চলবে না। এবার ইভিএমের চালাকি চলবে না।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, শুধুমাত্র দাড়ি রাখা ও টাখনুর ওপর প্যান্ট পরাকে বাংলাদেশে চরমপন্থি কাজ বলে পোস্টারিং করা হয়েছে। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে, যেখানে বেশির ভাগ মানুষের আবেগের সঙ্গে ইসলাম জড়িত সেখানে এমন ছোট বিষয়কে চরমপন্থি ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এসব নির্যাতনের সঙ্গে বাংলাদেশের আপামর জনতার কোনো সমর্থন নেই।
সমাবেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন আলোকচিত্রী এবং মানবাধিকারকর্মী শহীদুল হক। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ কয়েকটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থেকে সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।
বিআ