অর্থনীতি
ধনী ও গরিবের বৈষম্য বেড়েছে :সিপিডি
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF.jpg)
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা। ২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ। ধনী ও গরিবের বৈষম্য বেড়েছে। গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।
রোববার (২ জুন) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৩-২৪ : তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতিতে আমরা ৯ ও ১০ শতাংশে অবস্থান করছি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা। যেমন- ২০১৯ সালের তুলনায় মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে ১৭ ভাগ, পাইজামের দাম ১৫ ও মোটা চাল ৩০ ভাগ। অর্থাৎ মুনাফাখোররা বেশি লাভ যেখানে করছে, যে পণ্য গরিব ও মধ্যবিত্তরা ব্যবহর করে এবং বাজারে বেশি বিক্রি হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি মুসর ডাল ৯৫, আটা ৪০-৫৪ ময়দা ৬০, খোলা সয়াবিন ৮৪ ভাগ, বোতলজাত সয়াবিন ৫৬ ও পামওয়েলে ১০৬ ভাগ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মাংসের দামও বেশি, ব্রয়লার মুরগি ৬০ ভাগ, চিনির দাম ১৫২ ভাগ, গুড়া দুধ ৪৬-৮০, পেঁয়াজ ১৬৪, রসুন ৩১০ ও শুকনা মরিচ ১০৫ ভাগ বেড়েছে। যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশী। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছি।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছি। আমরা আয় করি কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ। আমরা কোন অর্থনীতির দেশে রয়েছি? সরকারের প্রচেষ্টা রয়েছে। অনেক সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক ট্যারিফ কমিয়ে দেয়, তার সুফল তোলেন এক ধরনের ব্যবসায়ীরা।
ধনী ও গরিবের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় ২৬৭৫ মার্কিন ডলার, আর মাথাপিছু জাতীয় আয় ২৭৮৪ ডলার। মাথাপিছু গড় আয় যতটুকু পেয়েছি, মূলত উচ্চ আয় করেন তাদের কারণে। গরিব মানুষদের কথা বিবেচনা করলে তাদের আয় কমে গেছে। এখানে বৈষম্য বেড়েছে। তাদের উন্নতি হয়নি। বেসরকারি বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। সরকারের অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া একটি বড় কারণ। বিষয়টি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারের ৭.৫ শতাংশ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা তা অর্জিত হবে না বলে মনে করছি।
তিনি বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। কিন্তু জানুয়ারিতে তা সংশোধন করে সাড়ে ৬ শতাংশ। আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তা আরও কম প্রাক্কলন করেছে। বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে রয়েছে সরকার। জিডিপির বৃদ্ধির সঙ্গে কর্মসংস্থানের ধারাটি বাড়ছে না। বরং কমছে। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না বা কম সহায়তা করছে। যতটুকু কর্মসংস্থান হচ্ছে তা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বাড়ছে। যা আসলে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ওই কর্মসংস্থানে মজুরি ও নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে।
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রাজস্ব আদায়ের ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি, যা গতবছরের জুলাই-জানুয়ারি হিসেবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। গত বছর নেতিবাচক ছিল। সেখান থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিলে এসেছি, সেটা ভালো দিক। যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হয়, তাহলে ৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অর্জন করা অসম্ভব।
অন্যদিকে এনবিআরের ক্ষেত্রে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১৬ শতাংশ। আয়ের বড় অংশ হচ্ছে ভ্যাট ও শুল্ক থেকে। অভ্যন্তরীণ মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বেড়েছে। আমদানির ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানের কারণে আমদানি শুল্ক কমেছে। এতোকিছুর পর আইএমএফের নির্দেশনা অনুসরণ করে সরকার যে রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে, তা বাস্তবায়ন হবে না বলে মনে করছি।
সিপিডি মনে করে, বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে সরকার অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ সুদে ঋণ নিচ্ছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিচ্ছে, ফলে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধে রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে। এটা ভবিষ্যত মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে কর ফাঁকি ও কর এরিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। কর কাঠামোকে ডিজিটালাইজেন ও অর্থ পাচার বন্ধ করার দিকে নজর দিতে হবে। সরকারের প্রাথিকার প্রজেক্ট জনবান্ধব হতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য গাড়ি কেনা ও বিদেশ ভ্রমণ এটা বন্ধ করতে হবে। এই মুহূর্তে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের বিকল্প নেই।
রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট পেয়ে থাকেন। তাদের জন্য সময়, ব্যয় ও বরাদ্দ বৃদ্দি করা হয়। অর্থাৎ সরকারে ক্রয়ে যদি স্বচ্ছতা না আনা যায়, তাহলে সরকারি ব্যয় কমিয়ে আনার সম্ভাবনা কম বলেও মনে করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
টিআর/
অর্থনীতি
আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৬০৯ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৯১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আগামী ৮ জুলাই থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৯৭ হাজার ২৭৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৩১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে দাম বেড়েছে ১৬ বার, আর কমানো হয়েছে ১৫ বার।
আই/এ
অর্থনীতি
জুনে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে
গেলো দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। মাঝখানে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও লাগাম টানতে পারেনি। তবে সদ্যবিদায়ী জুন মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।
রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সব সূচকেই ভালো ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদায়ী মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার শতকরা ৯ দশমিক ৭২ ভাগ। মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। পাশাপাশি ওই জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। মে মাসে এই হার ছিল শতকরা ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে, গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা আগের মাসের (মে) চেয়ে সামান্য কমেছে। গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি একধরনের কর, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়েন।
এএম/
অর্থনীতি
রপ্তানি আয়ের গরমিল নিয়ে যা বললেন সালমান এফ রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সমন্বয়ের অভাব আছে। ইপিজেড থেকে যে পরিমাণ পণ্য রফতানি হয়েছে, ইপিবি তা ডাবল গণনা করায় রপ্তানি আয়ের তথ্যে গরমিল হয়েছে। বললেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাজই হচ্ছে যারা বেশি রাজস্ব দেয় তাদের ওপর আরও ট্যাক্সের বোঝা চাপানো। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এনবিআরকে ডিজিটালাইজড করা গেলে এ প্রবণতা কমবে।
গেলো ৩ জুলাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এতে পরিষ্কার হয় ইপিবি দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানি আয় ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। এনবিআরের সংশোধিত পদ্ধতিতে গেলো অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের তথ্যে এ প্রমাণ মেলে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য জাহাজীকরণ করা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৮০ শতাংশ কম। অথচ ইপিবি বলছে, এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ, পণ্য জাহাজীকরণেই পার্থক্য ১৩.৮০ বিলিয়ন ডলার।
আই/এ
-
ঢাকা6 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
-
ফুটবল7 days ago
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ পেলো আর্জেন্টিনা
-
জাতীয়6 days ago
হাতিরঝিল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেল যে বাহিনী
-
ঢালিউড5 days ago
দীঘির বিয়ে? যা বললেন অভিনেত্রীর বাবা সুব্রত
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
জেলের মধ্যেই কয়েদির সাথে শারীরিক সম্পর্ক, বিপাকে নারী কর্মকর্তা
-
অন্যান্য6 days ago
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
-
ফুটবল5 days ago
নির্ধারিত হলো কোপার কোয়ার্টার ফাইনালের দল ও সময়
-
অপরাধ6 days ago
মেয়ের পরিকল্পনায় খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী: পিবিআই