Connect with us

বাংলাদেশ

কাউকে পায়ে ধরে নির্বাচনে আনবে না ইসি : নির্বাচন কমিশনার

Published

on

কাউকে লোভ দেখিয়ে, সন্তুষ্ট করে, অনুরোধ করে, পায়ে ধরে নির্বাচনে আনবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। তবে কতগুলো আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বললেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

আজ রোববার (২১ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কাউকে লোভ দেখিয়ে, সন্তুষ্ট করে, অনুরোধ করে, পায়ে ধরে নির্বাচনে আনবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বাইরে বিভিন্ন দাবি তুললেও তা আমলে নেয়া হবে না, বিএনপিকে ইসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ইভিএমের অসুবিধার চেয়ে সুবিধা বেশি। ইভিএমে কারচুপি নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তা প্রমাণে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও কেউ সেটা প্রমাণ করতে আসেনি। বিএনপি ইভিএম নিয়ে অভিযোগ তুললেও তারা সংলাপে এসে বা অন্য কোনো ভাবে ইসির কাছে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ না দেয়ায় তা আমলে নেয়া হয়নি। অন্য দলের মধ্যে যারা ইসিতে গিয়ে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ দিয়েছে, তারা তা যাচাই করছেন।

আলমগীর বলেন, ইভিএমে ভোট কম পড়া ও কারচুপির অভিযোগ একটা অপপ্রচার। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। আপনি আমাকে বলবেন, আমি খারাপ। এর তো প্রমাণ দিতে হবে। না হলে আমি খারাপ হিসেবে গণ্য হবো কেন? তার মানে এটা অপপ্রচার। যতক্ষণ না আপনি প্রমাণ দেবেন ইভিএমে ভোট কারচুপি করা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এটা বিশ্বাস করবো না। কারচুরির বিষয়টি হচ্ছে অভিযোগ, কিন্তু প্রমাণিত নয়। যারা অভিযোগ দিয়েছেন সেগুলো আমরা যাচাই করছি। কিন্তু যারা আমাদের কাছে এসে অভিযোগ দেননি, সেটা তো আমরা আমলে নেইনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, কত আসনে এবং কোন কোন আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে, কেন ইভিএম ব্যবহার হবে, সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত জানানো হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্যে যারা টকশোতে অংশগ্রহণ করেছেন তারা ইভিএমের পক্ষে বলেছেন। বলেছেন, ইভিএমে ভোট হলে জাল-জালিয়াতি করা যায় না। ভোট ভালো হয়। অর্থাৎ ইভিএমের পক্ষে তারা বলেছেন। আবার কেউ বলেছেন ইভিএমের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। এটা আমরা এখনো বুঝি না। ইভিএমে জালিয়াতি করা যায়। তখন বলা হলো জালিয়াতি করা যায় তার প্রমাণ দিয়ে যান। আপনারা থিওরিটিক্যালি বলেছেন। যেমন- মনে করেন একজন মানুষ চুরি করতে পারে। চুরি তো মানুষই করে। তাই বলে পৃথিবীতে এখন ৮শ কোটি মানুষ আছে, সবাই কি চোর?

ইভিএমে কারচুপির বিষয়ে ইসি চ্যালেঞ্জ দিলেও কেউ সাড়া দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কয়েকবার ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম। লিখিতভাবে বললাম। সেই চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, আপনারা শুধু বাইরে থেকে বলেন, তার ভিত্তিতে তো একটি দেশ বা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। একটি প্রতিষ্ঠান চলে তার প্রমাণের ভিত্তিতে, তার দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। এজন্য ইভিএমের পক্ষ যেমন আছে, তেমনি বিপক্ষও আছে। আবার ইভিএমের অনেকগুলো সুবিধাও আছে। যেমন- এতে একজনের ভোট অন্যজন দিয়ে দিতে পারে না। ব্যালটে যেমন একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে। ইভিএমে সেই সুযোগ নেই।

তিনি জানান, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ৩০০ আসনে চায় আবার কোনো কোনো দল একটি আসনেও চায় না। আমরা সবার কথা সমানভাবে গুরুত্ব দিতে পারবো না। আমরা সক্ষমতা ও ইভিএমের যৌক্তিকতার ওপর গুরুত্ব দেবো।

যেসব দল তিনশ আসনে ইভিএম ব্যবহারের দাবি করেছে সেটার প্রতি গুরুত্ব দেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কারও মুখের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো না। আমরা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট করার জন্য সক্ষমতা ও ইভিএমের সুবিধা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো।

Advertisement

ভোট বাতিলের বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বড় ধরনের অনিয়মে ইসির হাতে ভোট বাতিলের বিধান যুক্ত করে সংশোধনী প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের আরপিও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ঠ। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় একটু অস্পষ্টতা আছে। আমাদের মনে হয়েছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু কিছু জায়গায় যদি সংশোধন করা হয়, বিষয়টি আরও ভালো হবে। কমিশন মনে করেছে অল্প কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলো দেখি, সহজে সেটা মোকাবিলা করা সম্ভব।

জাতীয়

ইউএএল’র সম্মানসূচক ডক্টরেট ফিরিয়ে দিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

Published

on

আলোকচিত্র এবং আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালের ৭ জুলাই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমকে। ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের (ইউএএল) দেয়া সেই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ফিরিয়ে দিয়েছেন এই আলোকচিত্রী।

ড. শহিদুল আলমকে ইউএএল থেকে ফটোগ্রাফি ও অ্যাক্টিভিজম ক্যাটাগরিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একটি ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৮ জুলাই লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভাল হলে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি।

এ আলোকচিত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ওই সময় আর্ট ও ডিজাইনের জন্য ইউএএল ছিল বিশ্বের শীর্ষ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম। ডিগ্রিটি আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে ইউএএল’র চ্যান্সেলর গ্রেসন পেরি থেকে গ্রহণ করেছিলাম। কেননা, ওই সময় একাডেমিক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি ইউএএল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পান জেমস পুরনেল নামের একজন স্বীকৃত জায়নবাদী। আর ইউএএল’র শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রদর্শন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দেশটিতে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানানোর দাবিতে ব্রিটেনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বলেও আশ্বস্ত হয়েছিলাম। তবে এই স্বস্তি কেটে যায়, যখন দেখতে পাই ইউএএল প্রশাসন, বিশেষ করে বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের অবস্থান থেকে অনেক অনেক দূরে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, তাদের ছকে ফেলা হচ্ছে এবং তারা উপেক্ষিত।

শিক্ষার্থীরা আরও বলছে, পুমা, করনিট, এলভিএমএইচ, ল’রিয়েলসহ ইসরায়েল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড লিমনোলজিক্যাল রিসার্চ, শেনকার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বেজালেল একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড ডিজাইনসহ বিভিন্ন ইসরায়েলি বা এ দেশটির অনুষঙ্গী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইউএএল ইসরায়েলের দখলদারিত্ব, বর্ণবাদ এবং চলমান গণহত্যার অংশীদার। আর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টির এই অংশীদারত্বের অবসান দাবি করছে।

Advertisement

ড. শহিদুল আলম বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সঙ্গে কোনোভাবেই আমি যুক্ত থাকতে চাই না। এলসিসির ডিন অব মিডিয়া স্টিফেন ক্রসকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের সম্মানসূচক ডক্টরেটটি ফিরিয়ে দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এ আলোকচিত্রী।

প্রসঙ্গত. ড. শহিদুল আলম দৃক পিকচার লাইব্রেরি, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও মেজরিটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৩ সালে লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজ থেকে জৈব রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন এই আলোকচিত্রী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২   

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার (২ জুন) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময়  ২২১ পিস ইয়াবা, ২৪ গ্রাম হেরোইন ও ৫২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালু করতে কাজ করছে সরকার : প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

Published

on

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে সরকার আশাবাদী। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বলেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন কর্মী মালয়েশিয়া গেছেন। ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। তবে বায়রার কাছে লিস্ট চাওয়া হলেও তারা দেয়নি। এ বিষয়ে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে। অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুব কমিটির প্রধান। যারা দোষী হবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিমান ভাড়া বেশি নেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সিন্ডিকেটে সরকারের আস্থা নেই উল্লেখ করে বলেন, সব এজেন্সি যেন কর্মী পাঠাতে পারে সেটা চায় সরকার। তবে যে দেশ নেবে তারা চায় বলেই সিন্ডিকেট করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবে। তাদের টাকা ফেরত দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version