সমঝোতা প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালাচ্ছে চা শ্রমিকরা

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট পৌঁছালো ১১তম দিনে। রোববার কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তাতে সায় দেননি বেশিরভাগ চা শ্রমিক।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মৌলভী চা বাগান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাঝদিহি চা বাগান ও ফিনলে কোম্পানির ভারাউড়া চা বাগান ও কমলগঞ্জ উপজেলার মৃত্তিঙ্গা চা বাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেননি।

সোমবার (২২ আগস্ট) মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানের মধ্যে বেশ কিছু বাগানের শ্রমিক কাজে যোগ দেন। আবার কিছু বাগানের শ্রমিকেরা সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভও করেন।
মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানেই কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানের মধ্যে ২৩টিতেই কর্মবিরতি চলছে।

এদিকে, সিলেট ভ্যালির ২৩টি চা বাগানের মধ্যে ৪টি বাগানে গতকাল শ্রমিকরা কাজ করলেও আজ সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন তারাও। এর ফলে জেলার সবকটি চা বাগানেই চলছে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি।
মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা চুক্তি করেছেন অভিযোগ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ চা শ্রমিকরা।

এর আগে রোববার রাতের বৈঠকে ৮ জন শ্রমিক নেতা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ স্বাক্ষর করে আপাতত ধর্মঘট স্তগিত করেন। পরে তারা সাধারণ শ্রমিকদের চাপে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ৮ শ্রমিক নেতা পরে তাদের মুঠোফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে বাগানে চা-পাতা তোলা বন্ধ থাকায় চা উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, গেলো ১৩ আগস্ট দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন চা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের ৮ দিনের মাথায় শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রম অধিপ্তর ও সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন চা শ্রমিক নেতারা। বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়।

টিআর

Recommended For You

Exit mobile version