Connect with us

বাংলাদেশ

সিলেটে নারী এশিয়া কাপের আসর

Published

on

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০২২ নারী এশিয়া কাপের আসর অনুষ্ঠিত হবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে সাতটি দল। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নারী এশিয়া কাপের আসর অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ক্রিকেট নিউজ পোর্টাল ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিভালক ও নারী ক্রিকেট কমিটির প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চলতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। এর পরই অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। আইসিসি গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো নারী ক্রিকেটের ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) প্রকাশ করেছে, যেখানে অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহ এই বছরের মহিলা এশিয়া কাপের জন্য নির্ধারিত ছিল।

ইএসপিএন-ক্রিকইনফো টুর্নামেন্টের সফর সূচী অনুযায়ী স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভেন্যু শহরে পৌঁছাবে।

শফিউল ইসলাম নাদেল ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেন, ‘মাঠের খুব কাছেই বিমানবন্দর এবং হোটেল থাকায় বিসিবি সিলেট স্টেডিয়ামকেই এশিয়া কাপের ভেন্যু করেছে।’

Advertisement

নাদেল চৌধুরী আরও বলেছেন, ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ১ নম্বর মাঠে এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে এবং ২ নম্বর মাঠে অনুশীলন করবে দলগুলো।’

নারী এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল ভারত। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের আসরে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ফাইনাল হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতে বাংলাদেশ।

জাতীয়

৫০ বছরে পাচার হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা: অর্থনীতি সমিতি

Published

on

বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত পাচার হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। কালোটাকা ও পাচার হওয়া অর্থ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নেতারা।

সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির মিলনায়তনে বিকল্প বাজেট উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আইনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান ও সাবেক সভাপতি আবুল বারকাত। সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে মোট পুঞ্জীভূত কালোটাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ কোটি টাকা। আর পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে আগামী অর্থবছরে যদি কালোটাকার মাত্র দশমিক ৯৮ শতাংশ ও পাচার হওয়া অর্থের দশমিক ৪৯ শতাংশ উদ্ধার করা যায়, তাহলে সরকারের আয় হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রতিবছরের মতো এবারও বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে অর্থনীতি সমিতি। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য তারা ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেটের আকার চলতি অর্থবছর সরকারের বাজেটের তুলনায় ১ দশমিক ৫৭ গুণ বেশি। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিতে যাচ্ছেন, তার তুলনায় ১ দশমিক ৪৯ গুণ বেশি হবে। জাতীয় সংসদে আগামী ৬ জুন অর্থমন্ত্রী প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন।

অবশ্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২০ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বিকল্প বাজেটে প্রস্তাব করেছিল।

Advertisement

অর্থনীতি সমিতির নেতারা বলেন, অন্য কোনও ধরনের বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ-রূপান্তর সম্ভব নয়। বিকল্প বাজেট বাস্তবায়ন করলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে একদিকে বিপজ্জনক বৈষম্যপূর্ণ অবস্থা থেকে স্বল্প বৈষম্যপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব। পাশাপাশি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে দরিদ্র, বিত্তহীন, নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থান থেকে একটি শক্তিশালী টেকসই মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উত্তরণ ঘটাবে।

আইনুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবিত ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেটে রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১০ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৯২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর বাকি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন জোগান দেবে সম্মিলিতভাবে বন্ড বাজার, সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্ব। প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট অর্থায়নে কোনও দেশি-বিদেশি ঋণের প্রয়োজন হবে না।

সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়াতে অর্থনীতি সমিতির নেতারা সম্পদ কর, অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর, অর্থ পাচার ও কালোটাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি, বিদেশি নাগরিকের ওপর কর, বিভিন্ন কমিশন ও বোর্ড থেকে আহরণ বৃদ্ধি এবং সরকারের সম্পদ আহরণের প্রচলিত বিভিন্ন উৎস থেকে আদায় বাড়াতে জোর দেন।

অর্থনীতি সমিতি বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায় শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, কৃষিতে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, স্বাস্থ্যে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, জনপ্রশাসনে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, পরিবহন ও যোগাযোগে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘বেনজীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নেই, বিদেশে যেতেই পারেন’

Published

on

এন্টিগা ও নিউইয়র্ক সফর নিয়ে সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়েপররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সংগৃহীত ছবি

‘পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাই তিনি তার প্রয়োজনে কোথাও যেতেই পারেন। তিনি আগামী ৬ জুন দুদকের তলবে হাজির হচ্ছেন কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়।’

সম্প্রতি নিজের এন্টিগা ও নিউইয়র্ক সফর নিয়ে সোমবার (৩ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান,  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে আসছে ৬ জুন তলব করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ি, বেনজীর ও তার পরিবারের কোনো সদস্য দেশে নেই।  এ পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না।

জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাঁর দেশত্যাগে তো কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কোর্টও দেয়নি। দুদকও দেয়নি। কারও ওপর যখন দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে, তিনি তো যেকোনো জায়গায় যেতেই পারেন।’’

জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডয়েচেভেলের প্রতিবেদনের সারমর্ম বোঝা বড় মুশকিল। কারণ কোনো তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন করা হয়নি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে আমাদের অবদানকে খাটো করার জন্য, বাংলাদেশের অবদানকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই ডয়েচেভেলের প্রতিবেদন। যেখানে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রম বিশ্বের চোখে প্রশংসনীয়, জাতিসংঘের মহাসচিবও এক্ষেত্রে আমাদের প্রশংসা করেছেন। সেখানে ডয়েচেভেলের প্রতিবেদনের কোনো ভিত্তি নেই।’

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর ভারত ও চীন সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কখন কোন দেশে সফরে যাবেন সে ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি। তবে ভারত আমাদের থেকে অপেক্ষাকৃত কাছে।’’

১৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি। এসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় শ্রমিকরা যেতে না পারার পেছনে কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’’ মালয়েশিয়ায় যাওয়ার তারিখ বাড়ানা যায় কি না, তা নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান ড. হাছান মাহমুদ।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

বিজিবির সঙ্গে চোরাকারবারিদের গোলাগুলি, যুবক নিহত

Published

on

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলিতে নেজাম উদ্দিন নামের এক যুবক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি। সোমবার ভোরে বাংলাদেশ মিয়ানমারের গর্জনিয়া সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৩ জুন) বিকালে বিজিবির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নেজাম ডাকাতের নেতৃত্বে এক থেকে দেড়শ জন দুষ্কৃতকারী বিজিবির টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা সেখানে বোমা ছোড়ে। এতে বিজিবির কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধারে যায়। এ সময় হত্যা, অপহরণসহ একাধিক মামলার প্রধান আসামি নেজাম ডাকাত গুলিবিদ্ধ হন। অভিযানে ৯৮ কার্টুন বার্মিজ সিগারেট এবং ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, বিজিবির সঙ্গে চিহ্নিত চোরাকারবারিদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিজিবির তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের নেজাম উদ্দিন নামে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে।

গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকার লোকজন বিজিবির সঙ্গে চোরাকারবারির গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশকে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

Advertisement

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিহত নিজামের পিতা আবুল বশরে বলেন, গর্জনিয়ায় গত ৩ দিন আগে এক বন্ধু বাড়িতে আমার ছেলে নেজাম বেড়াতে গিয়েছিল। সোমবার সকালে তার বন্ধুরা ফোন দিয়ে জানায় বিজিবির গুলিতে নেজাম নিহত হয়েছে। তার বন্ধুরা নেজামের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছিল।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের পর জানা যাবে কার গুলিতে এই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version